খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০৭:৫৬ পিএম | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০৭:৫৮ পিএম
খাগড়াছড়িতে কমছে না হামের প্রাদুর্ভাব। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর শিশুরা। মূলত নিয়মিত টিকাদান না করা এবং পুষ্টিহীনতার কারণে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় হামের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
জেলার দীঘিনালায় নতুন করে হাম রোগে আক্রান্ত হয়েছে আরো ৫ শিশু। বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা রথীচন্দ্র কার্বারী পাড়া এলাকা থেকে আক্রান্ত ১৮ শিশুকে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আক্রান্তদের বয়স ২ থেকে ১৭ বছর।
গ্রামবাসীর মাধ্যমে হাম আক্রান্তদের খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য গণেশ ত্রিপুরা প্রশাসনের সহায়তায় সরলতা ত্রিপুরা, মন্ত ত্রিপুরা, প্রিয় মনি ত্রিপুরা, জিন্তু ত্রিপুরাসহ ১৮ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদের মধ্যে ৫ শিশুর মধ্যে হামের লক্ষণ দেখা যায়। বাকীরা সাধারণ জ্বর সর্দি আক্রান্ত বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তনয় তালকুদার।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ১৪ জন হামের আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হলেও পরবর্তীতে ৯ জনের মধ্যে র্যাশ না উঠায় তাদেরকে এখনই হামের রোগী বলা যাচ্ছে না। আমরা তাদের পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোনের পক্ষ থেকে হাসপাতালে ভর্তি শিশু ও তাদের স্বজনদের খাবার সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আক্রান্ত শিশুদের ওষুধের খরচ বহন করছে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়।
দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তনয় তালকুদার জানান, শনিবার থেকে হাম আক্রান্ত রথিচন্দ্র কার্বারী পাড়া, জেরক পাড়া, হেম পাড়া, হাজাপাড়া, তৈদু পাড়া, নয় মাইল পাড়াসহ ৭ টি গ্রামে হামের টিকাদান শুরু হবে।
সকাল থেকে একাধিক স্বাস্থ্য কর্মীর টিম গ্রামে গ্রামে ঘুরে ৯ মাস উপরের থেকে ১৫ বছরের নীচে বাচ্চাদের হাম রুবেলা টিকা দেয়া হবে।
এর আগে ২৯ মার্চ হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় রথীচন্দ্র কার্বারী পাড়ার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ধনিকা ত্রিপুরা। এই পর্যন্ত হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলায় চিকিৎসা নিয়েছে ৬৭ জন।