রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৫৫ এএম | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৫৬ এএম
ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী শহরে ভয়ংকর ক্ষুধার্ত পাঁচটি কুকুর চিড়িয়াখানায় ঢুকে চারটি হরিণকে ছিঁড়ে খেয়েছে।
নগরের শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় গতকাল শুক্রবার (৩ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে।
পরে হরিণ চত্বরের ভেতরেই হরিণগুলোর হাড়গোড় মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত প্রতিবেদন চেয়েছেন। এটি পরিচালনা করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা বলেন, চারটি হরিণ খাওয়ার পর কুকুরগুলোর আর বের হওয়ার পথ পায়নি। সকালে এগুলোকে বের করে দেয়া হয়। চিড়িয়াখানায় গত ৩ মাসে হরিণের ১৫টি বাচ্চা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৭৫টি ছিল। কুকুরে খাওয়ার পর এখন রয়েছে ৭১টি।
চিড়িয়াখানার ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, যেখানে হরিণগুলোর হাড়গোড় মাটি চাপা দেয়া হয়েছে, সেই জায়গা ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে হরিণেরা। চত্বরের ভেতরে ঢুকতেই এরা দূরে সরে যায়।
কুকুর ভেতরে কীভাবে ঢুকল, জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব আবু হায়াত মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, গতকাল সকালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি দেখেছেন এক সময় হরিণ চত্বরের ভেতরে কিছু নির্মাণসামগ্রী ঢোকানোর জন্য একটা রাস্তা করা হয়েছিল। পরে সেটি বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কোনোভাবে এই বাঁশগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। অথবা কুকুরই ঢোকার চেষ্টা করার কারণে ফাঁক হয়ে গেছে। ওই দিক দিয়েই কুকুর ঢুকেছে।
তিনি বলেন, চার-পাঁচটি কুকুর চিড়িয়াখানার ভেতরেই থাকে। দর্শনার্থীদের দেয়া খাবার খায়। এখন দর্শনার্থী ঢোকা বন্ধ রয়েছে। ওরাও অভুক্ত রয়েছে। তাই ভেতরে ঢুকে হরিণশাবককে আক্রমণ করেছে। পরে মা ছুটে এসেছে, মাকেও মেরেছে।
হরিণ খাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও চিড়িয়াখানা জুড়ে এখনো কুকুরের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা গেছে। কুকুরগুলোকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
কুকুরগুলো এখনই সরানোর ব্যবস্থা করা না হলে এমন ঘটনা আবার ঘটতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।