নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০১:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৪২ এএম
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬১ জনকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করতে পেরেছে আইইডিসিআর। এছাড়া বিশ্বব্যাপী ১০ লাখের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে দেশের তৈরি পোশাকখাতেও।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা পর্যন্ত এক হাজার ৯২টি কারখানায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদন ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
তাছাড়া আর্থিক সংকটের কারণে গত ১৪ মাসে (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সদস্যভুক্ত ১০৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে এখন পর্যন্ত মোট এক হাজার ৯২টি কারখানার ৯৪৩ কোটি ১২ লাখ অর্ডার বাতিল হয়েছে। এর আর্থিক পরিমাণ তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব কারখানার মোট ২০ লাখ ১৬ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান রয়েছে।
বিজিএমইএর মতে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে ভয়াবহ অবস্থা দেশের পোশাকখাতে বিরাজমান। বিভিন্ন দেশ থেকে সব ক্রেতারা তাদের সব ক্রয়াদেশ (অর্ডার) আপাতত বাতিল করছেন। বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে এ খাতে।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ মার্চ শ্রমিকদের সুরক্ষায় পোশাক কারখানা বন্ধ রাখতে কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কেউ চাইলে কারখানা খোলা রাখতে পারবেন। পিপিই ও মাস্ক বানাতে কারখানাগুলো খোলা থাকবে। পাশাপাশি খোলা রাখা কারখানাগুলোতে শ্রমিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং শ্রমিকদের সব দায়িত্ব মালিকদের নিতে হবে।
অর্ডার বাতিলে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. রুবানা বলেন, ভয়াবহ অবস্থা চলছে আমাদের তৈরি পোশাকখাতে। বিভিন্ন দেশ ও মহাদেশ থেকে সব ক্রেতারা তাদের সব ক্রয়াদেশ (অর্ডার) আপাতত বাতিল করছেন। তারা বলেছেন স্থগিত, তবে আমাদের জন্য স্থগিত ও বাতিল একই জিনিস।
অন্যদিকে বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।