যেসব খাবার মানসিক অবসাদ দূর করে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৩:১৩ পিএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৩:১৫ পিএম

অ্যাভোকাডো, বাদাম, রসুন ও নারকেল।

অ্যাভোকাডো, বাদাম, রসুন ও নারকেল।

মানুষ বিভিন্ন কারণে বিষণ্নতায় ভোগেন। গবেষণা বলছে বিষণ্নতা তথা মানসিক অবসাদ স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে যতোটা না ক্ষতি হয়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বিষণ্ণতার কারণে। তাই যতোটা সম্ভব চিন্তামুক্ত থাকা উচিত।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বোল্ড স্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে মানসিক অবসাদ দূর করে এমন কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

অ্যাভোকাডো

অ্যাভোকাডোতে রয়েছে কিছু উপকারি ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৯, বি৬ এবং বি৫। এটি মস্তিষ্ককে সুরক্ষা করে।


ফলে এটি খেলে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গিয়ে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই রোজ অ্যাভোকাডো খাওয়ার অভ্যাস গড়তে পারেন।

জাম

মানসিক অবসাদ ও স্ট্রেস দূর করে জাম। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করা মাত্র টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে একদিকে যেমন ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি মন-মেজাজ চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

বাদাম

বাদামে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন বি২, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক।


এই সবকটি উপাদান সেরাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। 

টমেটো

টমেটোতে থাকা লাইকোপেন শরীরের জন্য উপকারি। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মন ভালো রাখে। তাই অতিরিক্ত অবসাদ কিংবা চিন্তায় টমেটো খেতে পারেন।  

মাছ

মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, বি৬ এবং বি১২। এগুলো শরীরের উপকার করে। মানসিক অবসাদও দূর করে। 

দই

দইয়ের গুণ অনেক। রোজ আপনার সন্তানকে দই খেতে দিন। তাহলে তাদের শরীরে সরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাবে। এটি স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

নারকেল

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেলে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিষ্কে ভালো হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।


এর ফলে মানসিক অবসাদের প্রকোপ তো কমেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে। 

সাইট্রাস ফল

পাতি লেবু, কমলা লেবুর মতো সাইট্রাস ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রকৃতিক সুগার, যা স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমায়। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদ দূর করতেও ভূমিকা রাখে। 

পালং শাক

পালং শাক শরীরে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। আর এর  প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্দরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে। ফলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শারীরিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। 

রসুন

রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে হার্টের কর্মক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh