শীতে শিশুর সুস্থতায় করণীয়

ডা. সাজেদা আক্তার

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২০, ১২:০৬ পিএম

শীতের নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে শিশুরা। তাই এ সময় তাদের ওপর বাড়তি নজর রাখা উচিত। শীতের মৌসুমে শিশুদের সাধারণত সর্দি, ঠান্ডা, কানের সমস্যা, নাকে পানি পরা, হাঁচি-কাশি এবং ভাইরাস জনিত রোগ বেশি হয়।

নবজাতকদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া এবং জ্বরও দেখা দিতে পারে। শীতকালে ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের ভাইরাল ডায়রিয়া হয়ে যাকে ‘রোটা ডায়রিয়া’ বলে।

এ ছাড়া নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া বা খাবারে বিষক্রিয়া, অ্যাজমা (আগে থেকে থাকলে এ সময় সেটা আবার অ্যাটাক হয়), টনসিল, প্যারোটাইটিস বা মামস, ইনফ্লুয়েঞ্জা (যেসব শিশুর অ্যালার্জি থাকে তাদের শ্বাসকষ্ট হয়)।

প্রতিকার

এই সময়ে শিশুদেরকে রোগ থেকে দূরে রাখতে হলে সচেতনতা বেশি দরকার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বাবা-মা বা স্বজনদের খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশুকে কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগিয়ে না ফেলে।

এ বিষয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার:

১. প্রথম যেটি করতে হবে তা হলো শিশুদের শরীর গরম রাখতে হবে। ঘরের পরিবেশ গরম রাখতে হবে।

২. শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিশুদের ঠান্ডা লেগে গেলে অনেক সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এ সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন নাক বন্ধ হয়ে না থাকে। নাক-মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে।

৩. একটা বাচ্চা অসুস্থ হলে তাকে অন্য বাচ্চাদের থেকে একটু সরিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

৪. এ ছাড়া পরিবারের অন্যদের রোগ হলে শিশুদের সামনে আসার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

৫. বাচ্চাদের গরম পানি খাওয়াতে হবে। 

৬. প্রতিদিন গোসল না করিয়ে দু-তিন দিন পর পর গোসল করাতে হবে এবং গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। 

৭. বাচ্চারা বাইরে বের হলে পুরো শরীরের সঙ্গে সঙ্গে কান ঢাকতে হবে, টুপি, হাত-পা মোজা পরাতে হবে, যাতে বাতাস না লাগে। 

৮. বাইরের খাবার খাওয়ানো যাবে না। 

৯. ঠান্ডা জাতীয় খাবার যেমন আইসক্রিম, কোমলপানীয় এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh