সাফওয়ানা জাবীন
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:০৯ এএম
কোথা থেকে শুরু করব-এমন সংকটে বছরের পর বছর কেটে যায় অনেকের। শত শত পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে বছর শুরুর পরিকল্পনা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আর বাস্তবে ঘটে না। তাই পরিবার, কর্মক্ষেত্র আর ব্যক্তিগত পরিকল্পনা- এই তিন ক্ষেত্রে সারাবছরের পরিকল্পনা বছরের শুরুতেই নিতে হবে।
ছোট করে শুরু করলে সাফল্যের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে। তাই বছরের শুরুতে আমরা যেভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি তা জেনে নেয়া যাক-
পরিবারকে সময় দিন
বছরের শুরুতেই পরিবারের জন্য কতটুকু সময় দিতে চান, তা ঠিক করে নিন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বছরে দুই-তিন জায়গায় ঘুরে আসুন। উৎসব-পার্বণে পরিবারের জন্য ছুটি হাতে রাখুন। সন্তানকে সময় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবুন। সন্তানের বনভোজন, স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন সামাজিক উৎসবে সময় দেয়ার কথা মাথায় রাখুন।
বাবা-মাকে সময় দেয়ার কথা মাথায় রাখতে হবে। বছরের শুরুতে আত্মীয়দের কতটা সময় দেবেন, কার বাড়িতে বেড়াতে যাবেন, তা পরিকল্পনা নিয়ে তাদের জানিয়ে রাখতে পারেন। বছরের নির্দিষ্ট কিছু কেনাকাটার জন্য পরিকল্পনা নিয়ে টাকা জমানো শুরু করতে পারেন। আগের বছরের কোনো দেনা থাকলে তা দ্রুত পরিশোধের পরিকল্পনা করুন।
নতুন বছরে কর্মক্ষেত্রে
সারাবছরের অফিসের প্রোজেক্ট কিংবা কাজের লক্ষ্যমাত্রাগুলো আগেই ঠিক করে নিন। আগের বছরের কোনো কাজ বাকি থাকলে তার অগ্রগতি জেনে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। অফিসের চারপাশটা গুছিয়ে রাখুন বছরের প্রথম থেকেই। কাজের ডেস্ক অগোছালো না রেখে পরিচ্ছন্ন রাখুন। নিয়মিত অফিস ডায়েরি লেখার অভ্যাস করতে পারেন।
এতে প্রতি মাস শেষে আপনার অগ্রগতি, দুর্বলতা কিংবা ভুলগুলো নিজেই দেখার সুযোগ পাবেন। কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য বছরের কোন মাসে কোন কর্মশালা কিংবা সেমিনারে অংশ নিতে চান, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। নিজের ই-মেইল, ম্যাসেজার, ইমো ও হোয়টসআপে আরও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিন।
ব্যক্তিগত পরিকল্পনা
নতুন বছরে অন্তত চার-পাঁচটি বই পড়ুন। পেশাসংশ্লিষ্ট দক্ষতা বিকাশে সহায়ক বই পড়ার পাশাপাশি গল্প-উপন্যাস পড়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। নিজেকে বিকাশের জন্য মাস হিসাব করে চ্যালেঞ্জ গ্রহণের চেষ্টা করতে পারেন। নিজের সুস্থতার দিকে মনোযোগ দিন। মানসিক চাপ কমানো থেকে শুরু করে শারীরিক কোনো ব্যথা কিংবা অসুস্থতা নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সুস্থ না থাকলে সাফল্যের কোনো মূল্য নেই।
দৈনন্দিন পরিকল্পনা গুছিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করুন বছরের প্রথম থেকেই। সামাজিক যোগাযোগের দুনিয়ায় আসক্তি কমিয়ে বাস্তব দুনিয়ায় সময় ও মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতিদিন মুঠোফোন কিংবা ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকার অভ্যাস করে নিজের মনোযোগ বিকাশে সময় দিন। ডায়েরি লেখার অভ্যাস করতে পারেন।
নিজের কোনো শখ থাকলে তা পালনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আর্থিক স্বাধীনতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পুরোনো ঋণ থাকলে দ্রুত পরিশোধ করে নিজের ইতিবাচক জীবন নিশ্চিত করুন।