মহাকাশের সেরা কিছু ছবি

আপ ইন দ্য ক্লাউডস: বৃহস্পতি গ্রহের কাছাকাছি একটি ছবিও তুলেছে জুনো। গ্রহটির ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে তোলা এই ছবিটি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মেঘের আস্তর গ্রহটির ওপর এমন একটি আবহ তৈরি করেছে যেন জেট বিমানের ধোয়া।

দ্য স্নোম্যান: ২০১৫ সালে প্লুটো গ্রহে অভিযান শুরুর পর নাসার নতুন হরিজন'স মহাকাশযান নেপচুন গ্রহের কুইপার বেল্টের কয়েকটি ছবি পাঠিয়েছে। এটি রয়েছে নেপচুনের কক্ষপথের নিচে। এখানে এমন সব আদিম, বরফের উপকরণ আছে, যা থেকে সৌরজগতের উৎপত্তির ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এই বস্তুটির নাম এমইউ৬৯, এটি দুই ধরণের বরফের বলের উপকরণ আস্তে আস্তে মিলে তৈরি করেছে।

স্টেলার ফায়ারওয়ার্কস: ইটা কারিনে এমন একটি তারকা বলয়, যা পৃথিবী থেকে সাড়ে সাত হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এখানে অন্তত দুইটি তারকা রয়েছে, যা আমাদের সূর্যের চেয়ে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন গুণ তাপ বিকিরণ করে। দশকের পর দশক ধরে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ভাবতেন এটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ও একটি সুপারনোভায় পরিণত হবে। এই ছবিটি হাবল টেলিস্কোপ থেকে নেয়া।

মার্টিন সেলফি: নাসার কিউরিওসিটি রোভার যান মঙ্গল গ্রহে ২০১২ সাল থেকেই অভিযান চালাচ্ছে। একটি পাহাড় চূড়ায় ওঠার সময় এই 'সেলফি' তুলেছে রোবটটি। এখানে পাথর খুড়ে পাওয়া দুইটি নমুনায় কাদার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। কাদায় অনেক সময় পানি মিশে থাকে, যা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

ফার সাইড অব দ্য মুন: চাঁদের অন্য পিঠের ছবি। এ বছরের শুরুতে চীনের চ্যাঙ্গ'ই-চার মহাকাশ প্রথমবারের মতো চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ করে, যে পিঠ পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। অবতরণের কয়েক দিন পর রোবোটিক রোভার ও সেটার ল্যান্ডারকে একে অপরের ছবি তুলতে বলা হয়। এটি হচ্ছে রোভার।

ফার সাইড অব দ্য মুন: চীনের এই মহাকাশযানে ক্যামেরা, রাডার আর স্পেকট্রোমিটার রয়েছে, যা চাঁদের পিঠের খনিজ পরীক্ষা করে দেখবে ও একটি ক্ষুদ্র জীবমণ্ডল তৈরি করে উদ্ভিদ জন্মানোর চেষ্টা করবে।

এ গ্যাল্কটিক্যাল রাইভাল: হাবল টেলিস্কোপের তোলা এনজিসি ৭৭২ নামের একটি সর্পিল ছায়াপথের ছবি, যা পৃথিবী থেকে ১৩০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এই ছায়াপথের সঙ্গে আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের অনেক মিল আছে। তবে অনেক অমিলও রয়েছে।