নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৫০ পিএম
সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য গৃহঋণে সুদের হার আরো কমিয়েছে সরকার। গৃহঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। আগামী বুধবার অর্থাৎ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে। এই হার আগে ছিল সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ।
অর্থ বিভাগের উপসচিব দিল আফরোজা স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ পুনর্নির্ধারণ করা হলো। এটি হবে সরল সুদ এবং ঋণগ্রহীতা কর্মচারী কেবলমাত্র ব্যাংক রেটের সমহারে সুদ পরিশোধ করবেন। এ পুনর্নির্ধারিত সুদের হার কেবলমাত্র নতুন ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন প্রজ্ঞাপন কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ থেকে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে এসব ঋণের সুদহারের ক্ষেত্রে বলা হয়, এ ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদ নেবে। অর্থাৎ চক্রবৃদ্ধি সুদ (সুদের ওপর সুদ) নেয়া হবে না। তবে ঋণগ্রহীতাকে দিতে হবে পাঁচ শতাংশ। বাকিটা সরকারের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হবে ভর্তুকি হিসেবে।
নীতিমালা অনুযায়ী চাকরির গ্রেড মেনে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ ঋণ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। শুরুতে বেসামরিক ও সামরিক কর্মচারীদের জন্য এ সুবিধা চালু করা হলেও পরে বিচারক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরাও এ তালিকায় যুক্ত হন।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনসহ সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক প্রায় এক বছর ধরে স্বল্প সুদে এ ধরনের ঋণ দিয়ে আসছে।