রাবেয়া পারভীন
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:২৮ এএম
সারাদেশে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। কমতে শুরু করেছে দিন-রাতের তাপমাত্রা। বাড়ছে শীতকালীন নানা রোগের প্রকোপ। সর্দি-কাশি, বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমার সমস্যা, জ্বর, গলাব্যথা, খাবারে অরুচি, মাথাব্যথা, বার বার হাঁচি দেওয়ার মতো সমস্যায় স্বাভাবিক জীবনযাপনে বেশ প্রতিবন্ধকতা দেখা দিচ্ছে।
তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময়ে হালকা ঠান্ডা জ্বর হতেই পারে। এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কিছু নেই। একটু সচেতন হলেই আমরা ঘরেই প্রাকৃতিকভাবে এসব সমস্যা মোকাবেলা করতে পারি। ঠান্ডাজনিত রোগ সারাতে আমাদের সাহায্য করতে পারে এমন কিছু পরামর্শ:
তরল পানীয়
ঠান্ডায় আমাদের নাক বন্ধ হয়ে থাকে। নিঃশ্বাস নিতে ও ঘুমাতে কষ্ট হয়। অনেক সময় গলা ব্যথা থাকায় খাবার খেতেও কষ্ট হয়। শরীর আর্দ্র রাখতে এসময় গরম তরল পানীয় পান করতে হবে। স্যুপ, হারবাল চা, কফি, মধু দিয়ে গরম পানি বারবার পান করুন।
জ্বর হলে
শরীরের অতিরিক্ত তাপ হলেই আমরা জ্বর বলি। সিজনাল জ্বর হলেও থার্মোমিটার দিয়ে নিয়মিত জ্বর মেপে একটি ছক করে লিখে রাখুন।
শরীর মুছে নিন
হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে বারবার শরীর মুছে নিন। এতে জ্বরের তাপ কমবে।
নাকে ক্রিম ব্যবহার করুন
ঠান্ডা সর্দিতে আমাদের নাক চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, টিস্যু দিয়ে বারবার নাক মোছার ফলে অনেক সময় নাকের চামড়া ছিলে যায়। এ জন্য নাক বেশি ঘষা যাবে না। নাকে ক্রিম ব্যবহার করুন।
আর নাক বেশি আটকে থাকলে গরম পানিতে লেবু কেটে দিয়ে সেই ভাপ নিঃশ্বাসের সঙ্গে টেনে নিন। তারপরও নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে ডাক্তারের পরামর্শে মেন্থল ব্যবহার করুন।
একটি অতিরিক্ত বালিশ নিয়ে ঘুমান
ঠান্ডা লাগলে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ায় ঘুম ঠিকমতো হয় না। দ্রুত সুস্থ হতে পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। এ জন্য একটি অতিরিক্ত বালিশ মাথায় দিয়ে ঘুমান।
খাদ্য
এ সময় একবারে না খেয়ে বারে বারে অল্প অল্প খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাদ্য বেশি রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। লেবু, কমলা, পেঁপে, পেয়ারা, আমলকি বেশি বেশি খান। ঠান্ডা কমবে আর খাবার খেতেও রুচি হবে। সরিষা, গ্রিন টি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে তাই নিয়মিত এগুলো খেতে হবে।