নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:২০ পিএম | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:২১ পিএম
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) বহিষ্কার হওয়া সব শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
একইসঙ্গে বহিষ্কারের সংখ্যাসহ তথ্যাদি না জানানোয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেছেন আদালত। ৮ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব রুলের জবাব না দেয়ায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল। তার সঙ্গে ছিলেন এম মাহমুদুল হাসান, গাজী ফরহাদ রেজা ও মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) পিএইসি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চান আদালত। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডিজিসহ চারজনকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একটি দৈনিকে গত ১৯ নভেম্বর 'পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন' শিরোনাম নামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে এ আদেশ দেন আদালত। প্রতিবেদনটি নজরে আনেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৮ সালের নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে 'শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা'র বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় পিইসি পরীক্ষায় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল বলেছিলেন, যাদের বহিস্কার করা হয়েছে তাদের বয়স ১০ বা ১১ বছর। এ বয়সের একজন শিশুকে বহিষ্কার করা তার মানসিক জগতে প্রভাব ফেলবে। তাদের বহিষ্কার করা অনুচিত। বহিষ্কার না করে অন্য উপায় অবলম্বন করা যেতে পারতো।