প্রতিনিধি, ফরিদপুর
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:২৯ এএম
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার ইয়াসিন মোল্লা (২২) নামে এক যুবক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
শহরের রথখোলা লঞ্চঘাট জোড়া ব্রিজের সামনে গতকাল রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ইয়াসিন শহরের ওয়ারলেসপাড়ার মনি মোল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফরিদপুর কোতোয়ালী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসাইন জানান, গতকাল রাতে শহরের ওয়ারলেস পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইয়াছিনকে। পুলিশের কাছে তিনি ফাতেমাকে অপহরণ এবং ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় ইয়াছিন যে কাপড় পরিহিত ছিল ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাকে পূর্ব খাবাসপুর জোড়া ব্রিজের ওখানে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি পুলিশের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ধস্তাধস্তিতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আহত দুই পুলিশ সদস্যকেও ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার সরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায় ইয়াসিন নামে ওই যুবক। পরের দিন পাশের টেলিগ্রাম অফিসের পাশ থেকে তার বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফরিদা রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা এলাহি শরিফের মেয়ে। তিন বোনের মধ্যে সে বড়। পুলিশ ধারণা করে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা।