মুহাম্মদ মাহবুবর রহমান
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৫৫ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:২৩ পিএম
বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদুল ফিতরের ছুটি, ঈদুল আযহার ছুটি, পূজার ছুটিসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসের ছুটি একই সময়ে হয় না।
একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক, তার স্ত্রী মাদ্রাসার শিক্ষক, তার এক ছেলে হাইস্কুলে পড়ে, এক মেয়ে কলেজে পড়ে তো তাহলে দেখা যায় গ্রীষ্মকালীন/শীতকালীন/ঈদের ছুটিতে ছেলে মেয়ে তাদের বাবা মায়ের সাথে মামা বাড়িতে বেড়াতে যেতে চায় তাহলে তা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। কারণ, একজনের ছুটি শুরুতো আরেকজনের ছুটি শেষ।
কেন একই ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন/শীতকালীন ছুটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়? এসব ছুটি কি একেক প্রতিষ্ঠানে একেক সময়ে আসে?
এ বছর ঈদুল আযহা হাইস্কুলের ছুটি ১০ দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ দিন আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাত্র ৫ দিন।
তাহলে কেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে সকল বিষয়ে এতো বৈষম্য?
কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত নিবেদন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্তঃ সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেজি, মাদ্রাসা, হাইস্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ছুটির অভিন্ন তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা সময়ের দাবী।
কিশোর কিশোরীদের নৈতিকতা অবক্ষয় রোধে সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে পরিবারের সাথে থাকা আবশ্যক তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ছুটি হওয়া আবশ্যক।
এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিন্ন ছুটিতে সরকারের কোন বাড়তি অর্থের প্রয়োজন পড়বে না বলে আমি মনে করি।
মুহাম্মদ মাহবুবর রহমান
সহকারী শিক্ষক
ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।