ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ০১:১৯ পিএম
ক্যন্সার প্রতিরোধ, হজমের উন্নয়নসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ফুলকপি।
ফুলকপি শীতকালিন সবজি। এতে পানির পরিমাণ শতকরা ৮৫ ভাগ। গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্য ফাইটোকেমিকেলের পাশাপাশি এতে অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন থাকে। ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে বলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
জানুন ফুলকপির উপকারিতা সম্পর্কে:
ক্যান্সার প্রতিরোধ
ফুলকপিতে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে। এতে থাকা সালফোরাফেন ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
হজমে সহায়তা
ফুলকপিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার রয়েছে। এ দুটি উপাদান খাবার হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া ফুলকপিতে থাকা ফাইবারও খাবার হজমে ভূমিকা রাখে।
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা
ফুলকপি হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। সালফোরাফেন রক্তচাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে। তাছাড়া ধমনীর প্রদাহ রোধ করতেও সাহায্য করে এটি।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
ফুলকপিতে আছে কলিন (এটি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ এক ধরনের পানিজাতীয় পুষ্টি উপাদান) ও ভিটামিন বি। এগুলো মস্তিষ্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কলিন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শিশুদের দ্রুত শিখতে সাহায্য করে। এছাড়া বার্ধক্যজনিত কারণে স্মৃতিবিভ্রমের সম্ভাবনা, মস্তিষ্কের দুর্বলতা কমায়।
ভিটামিন ও মিনারেল
ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। পাশাপাশি এতে আছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। এই প্রতিটি উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।