ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:৫২ পিএম | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:৫৩ পিএম
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ১৯৮০’র দশকে মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির যে কর্মসূচি ছিল, সেই অস্ত্র এখনো থাকতে পারে।
তবে এ ধরনের অস্ত্রের মজুদ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। দেশটির সেনা মুখপাত্র জ্য মিন তুন গতকাল মঙ্গলবার দাবি করেছেন, এধরণের অস্ত্র রাখার কোনো আকাঙ্ক্ষাও তাদের নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট টমাস ডিন্যানো বলেন, ওই কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমার মাস্টার্ড গ্যাস তৈরি করতো। এখনো সেই স্থাপনা ধ্বংস না করা সংক্রান্ত নিশ্চিত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে বলে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থাকে (ওপিসিডাব্লিউ) জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার ২০১৫ সালে ‘কেমিক্যাল উইপনস কনভেশন’ সই করেছিল। এর সদস্যরা রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি, জমা রাখা ও তা ব্যবহার করতে পারে না। ফলে মিয়ানমার এই চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের সময় যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারকে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
মিয়ানমারের ওই সেনা মুখপাত্র বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মসূচি তাদের অতীতেও ছিল না আর এখনো নেই। কেবল রাসায়নিক অস্ত্র নয় আমাদের কোনো পারমাণবিক ও বায়োক্যামিকেল অস্ত্র উৎপাদন, মজুদ বা পরীক্ষার স্থাপনাও নেই।
২০১২ সালে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের এক খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফসফরাস ব্যবহার করেছিল বলে সংসদীয় এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এরপর দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ এনে প্রতিবেদন করেছিলেন দেশটির পাঁচ সাংবাদিক। সে কারণে ২০১৪ সালে তাদের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে বাস করা কচিন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে মিয়ারমার সরকার তা অস্বীকার করেছে।
২০০৫ সালে লন্ডনের মানবাধিকার সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল। -ডয়চে ভেলে