মহানবী (সা.) এর প্রিয় সুগন্ধি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০১:১০ পিএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০১:১৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মহানবী (সা.) সুগন্ধি পছন্দ করতেন। তার পছন্দের সুগন্ধির মধ্যে অন্যতম মেশক।

মেশককে কস্তুরিও বলে। এটি অত্যন্ত মূল্যবান সুগন্ধি। পুরুষ হরিণের পেটে অবস্থিত সুগন্ধি গ্রন্থি নিঃসৃত সুগন্ধির নাম। মিলন ঋতুতে পুরুষ হরিণের পেটের কাছের কস্তুরি গ্রন্থি থেকে সুগন্ধ বের হয়, যা মেয়ে হরিণকে আকৃষ্ট করে।

ঋতুর শেষে তা হরিণের দেহ থেকে খসে পড়ে যায়। সেটি সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে কস্তুরি তৈরি করা হয়। একটি পূর্ণাঙ্গ কস্তুরির ওজন ৬০ থেকে ৬৫ গ্রাম হয়।

এই সুগন্ধি এতটাই শক্তিশালী যে কথিত আছে, কস্তুরির একতিল পরিমাণ কোনো বাড়িতে ফেললে বহু বছর সেখানে এর ঘ্রাণ থাকে। তিন হাজার ভাগ নির্গন্ধ পদার্থের সঙ্গে এর এক ভাগ মেশালে সব পদার্থই সুবাসিত হয় কস্তুরির ঘ্রাণে।

কখনো কখনো রাসুল (সা.) চন্দন ও জাফরানের সুগন্ধিও ব্যবহার করতেন।

আল্লামা ইবনে আবদুল বার (রহ.) ‘তামহিদ’ নামক কিতাবে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-এর একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) জাফরানের সুগন্ধি ব্যবহার করেছেন।’

রাসুল (সা.) যে সুগন্ধিগুলো ব্যবহার করতেন, তার আরেকটি হলো আম্বর। একবার হজরত আয়েশা (রা.)কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল-রাসুলুল্লাহ (সা.) কী ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করতেন।

জবাবে তিনি বলেন, ‘মেশক ও আম্বরের সুগন্ধি রাসুলুল্লাহ (সা.) ব্যবহার করতেন।’ (নাসায়ি শরিফ, হাদিস : ৫০২৭) 


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh