ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:৪১ এএম
শিগেলোসিস বা রক্ত আমাশয় ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়ে আমাদের হজম ক্ষমতাকে ব্যাহত করে। শিগেলা নামের একটি ব্যাকটেরিয়া দূষিত পানি, খাবার বা দূষিত মলের মাধ্যমে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের শিগেলা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে যেকোনো বয়সেই এটি হতে পারে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে শিগোলোসিসের কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
লক্ষণসমূহ
এর প্রাথমিক লক্ষণ হলো ডায়রিয়া। ব্যাকটেরিয়া সংস্পর্শে আসার এক বা দুই দিন পর থেকে লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
শিগেলোসিসের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
ক. ডায়রিয়ার সাথে প্রায়ই রক্ত বা শ্লেষ্মা বের হওয়া
খ. জ্বর
গ. পেটে ব্যথা বা টান অনুভব করা
ঘ. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
কারণ
ক. হাত না ধুয়ে খাওয়া বা মুখে ছোঁয়া।
খ. দূষিত বা নোংরা পরিবেশে রান্না করা খাবার খাওয়া।
গ. দূষিত পানি পান করা।
শিগেলোসিস নির্ণয়
রোগীর শিগেলোসিস হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে একজন চিকিৎসক রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা করেন। শিগেলা ব্যাকটেরিয়া বা টক্সিনের উপস্থিতির জন্য চিকিৎসক রোগীর মল পরীক্ষা করারও পরামর্শ দেন।
ক. এসময় চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করার পরামর্শ দেন। কারণ কিছু শিগেলা ব্যাকটেরিয়া ড্রাগ-প্রতিরোধী। তাই কেবল সংক্রমণ তীব্র হলেই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
খ. প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, ডায়রিয়ার নানান প্রভাবগুলি প্রতিরোধ করার জন্য পানি পান করা যথেষ্ট। শিশুরা ওরাল রি-হাইড্রেশন সমাধান থেকে উপকৃত হতে পারে। গুরুতরভাবে ডিহাইড্রেটেড ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন।
প্রতিরোধ
ক. শিশুরা যখন হাত ধোয় তখন খেয়াল রাখতে হবে।
খ. বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
গ. দূষিত পুকুর, সুইমিং পুল এড়িয়ে চলতে হবে।
ঘ. ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন ক্রিয়াকলাপ এড়িয়ে চলতে হবে। ঙ. আপনার ডায়রিয়া হলে অন্যের জন্য খাবার প্রস্তুত করবেন না।