ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১১:০৯ এএম | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:২২ পিএম
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু।
নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের সংক্রমণজনিত বা প্রদাহজনিত একটি রোগ। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক কিংবা ভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্টি হয়। অ্যাডেনো ভাইরাস, রাইনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এবং প্যারেনোফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণে দেখা দেয় এ রোগ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে নিউমোনিয়ার কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
কারণ
ফুসফুসে স্ট্রেপ্টোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া ও শ্বাসযন্ত্রের আর এসভি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে এই রোগের উৎপত্তি হয়। এই সংক্রমণের ফলে ফুসফুস ফুলে ওঠে এবং নিঃশ্বাস নেয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে অক্সিজেন গ্রহণে সমস্যায় পড়তে হয়।
এই রোগ মূলত শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। কারণ এই বয়সে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে।
এই রোগ ছোঁয়াচে নয়। তবে আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচি থেকে এই রোগের জীবাণু অন্য ব্যক্তির মধ্যে প্রবেশ করতে পারে।
লক্ষণ
১. জ্বর ও ক্লান্তি অনুভব করা।
২. শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট।
৩. মাত্রাতিরিক্ত ঘাম ও কাশি হওয়া।
৪. বুকে ব্যথা ও শরীরে কাঁপুনি।
৫. মাথাব্যথা ও শরীরের মাংসপেশি ব্যথা।
৬. খাওয়ার প্রতি অনীহা ও বমি বমি ভাব।
চিকিৎসা
১. জ্বর, সর্দি-কাশি হলে যদি দুই থেকে তিন দিনেও না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২. চিকিৎসকের পরামর্শে সিটিস্ক্যান এবং বুকের এক্সরে করাতে হবে।
৩. সঠিক রক্ত পরীক্ষা এবং কফ বা শ্লেষ্মা পরীক্ষা করতে হবে।
৪. ওষুধ চলাকালীন পাঁচ থেকে ছয় দিনের মাথায় না কমলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. চিকিৎসা চলাকালীন অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স গ্রহণ করতে হবে।