ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০১:০৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১৩ পিএম
ব্রিটির রাজবধূ মেগান মারকেল। ছবি: গুগল
বাবার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ব্রিটির রাজবধূ দ্য ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মারকেল। ব্রিটেনের ট্যাবলয়েড ‘মেইল অন সানডে' তা হাতে পেয়ে প্রকাশ করে দেয়।
আর এ কারণে মেগান ও তাঁর স্বামী প্রিন্স হ্যারি পত্রিকার প্রকাশকের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্যাবলয়েডটি মেগানের হাতে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করে, যেটি তিনি তাঁর বাবা টমাস মারকেলকে পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি বাবার সঙ্গে তাঁর ভেঙে পড়া সম্পর্ক ও ট্যাবলয়েড গণমাধ্যমের সঙ্গে বাবার যোগাযোগের কারণে সৃষ্ট মনোবেদনার কথা জানান। মেয়ের লেখা সেই চিঠিটিও মেইল অন সানডেকে দিয়েছেন টমাস।
হ্যারি দম্পতি তাদের পক্ষে মামলা লড়ার জন্য সিলিংস আইনজীবীদের নিয়োগ দিয়েছেন। তারা ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডটির বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার, মেধাসত্ব আইন ভঙ্গ ও তথ্য সুরক্ষা অ্যাক্ট ২০১৮'' অবমাননার অভিযোগ এনেছেন।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মারকেল
এদিকে নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছেন হ্যারি। সেখানে তিনি পত্রিকাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি লিখেছেন, বার বার চেষ্টার পরও পত্রিকাটিতে মেগান ও তার বাবার মধ্যকার তিক্ত সম্পর্ক নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখালেখি থামানো যায়নি। পত্রিকাটি মেগানের ব্যক্তিগত চিঠি প্রকাশ করায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডটি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংসাত্মক মানসিকতা' নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছে উল্লেখ করে এর কুফলের উদাহরণ হিসেবে নিজের মায়ের কথা লিখেছেন প্রিন্স হ্যারি।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি দেখেছি যে, আমি ভালোবাসি এমন একজনকে এমনভাবে পণ্যে পরিণত করা হয়েছিল যে, তাদের আর প্রকৃত মানুষ হিসেবে দেখা বা বিবেচনা করা হতো না। আমি আমার মাকে হারিয়েছি এবং এখন একই শক্তিশালী শক্তি আমার স্ত্রীকেও ভুক্তভোগী বানাতে চাচ্ছে।’
হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়না ১৯৯৭ সালে প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। তাকে সেই সময় পাপারাজিরা তাড়া করছিল। -ডয়চে ভেলে