অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি নববর্ষভাতা ও পেনশন নিয়ে কিছু প্রশ্ন

ওয়াহিদুল ইসলাম আখন্দ

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:১৫ পিএম | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:১৬ পিএম

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রজ্ঞাপন/সিদ্ধান্ত সমূহের অপূর্ণতা ও অসপষ্টতার কারণে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী মৃত কর্মচারীর পরিবার (বিধবা স্ত্রী/বিপত্নীক স্বামী) নানা আর্থিক সুযোগ-সুবিধা থেকে হয় সম্পূূর্ণ না হয় আংশিক বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রথমত, সরকার ২০১৭ সালের জুলাই থেকে পেনশনারদের পেনশনে বার্ষিক ৫% ইনক্রিমেন্ট ঘোষণা করেন যা পেনশনাররা প্রতি মাসের পেনশনে ও উৎসবভাতায় এবং পেনশন সমর্পণকারীগণ তাদের উৎসবভাতায় পাচ্ছেন। মৃত পেনশনারদের বিধবারা উৎসবভাতা ৫% ইনক্রিমেন্টসহ পাচ্ছেন। পেনশন সমর্পণকারী মৃতদের পরিবার উৎসবভাতা পাচ্ছে কিন্তু ইনক্রিমেন্ট নয়। 
এক সময় বলা হয়েছিল, পেনশন সমর্পণকারী/পারিবারিক পেনশনভোগীদের উৎসবভাতায় ইনক্রিমেন্ট যোগ হবে না। পরে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। তাহলে মৃতদের পরিবারকে উৎসবভাতায় ইনক্রিমেন্ট না দেওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, পেনশন সমর্পণকারীরা শুরুতে বাংলা নববর্ষভাতা পেতেন না। বঙ্গাব্দ ১৪২৪ অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে এই ভাতা তাদের দেওয়া হচ্ছে। ঐ সময় মৃতদের পরিবারকে কোনো ভাতা দেওয়া হতো না। তাই প্রজ্ঞাপনে তাঁদের কথা উলে­খ ছিল না। এখন যেহেতু তারা চিকিৎসাভাতা ও উৎসবভাতা পাচ্ছেন, সেহেতু নববর্ষভাতাও তাদের পাওয়ার কথা। কিন্তু প্রজ্ঞাপনে নাই এই অজুহাতে তা দেওয়া হচ্ছে না।
সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় অবসরের ১৫ বছর পর পেনশন সমর্পণকারীরা পেনশনে পুনঃস্থাপিত হয়েছেন। এ সংক্রান্ত (৩) প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ নাই বিধায় পেনশনে পুনঃস্থাপিত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের পরিবারকে পেনশন দেওয়া হচ্ছে না।
পরিশেষে, অসঙ্গতি ও অস্পষ্টতা সমূহ দূর করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছাই যথেষ্ট বলে মনে করি।

ওয়াহিদুল ইসলাম আখন্দ।
অবসরপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক, অগ্রণী ব্যাংক।
৫৭০/১-বি, সেনপাড়া-পর্বতা, ঢাকা ১২১৬।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh