ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৩৪ এএম | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৩০ পিএম
নিকলীর হাওরের সাথে লাগোয়া ছোট জনপদ ও অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ছবি: সংগৃহীত
কর্মব্যস্ততা থেকে ছুটি নিয়ে একদিন যদি ঘুরে আসা যায়, দিগন্তবিস্তৃত জলরাশির মেলা থেকে, তাহলে কেমন হয় বলুন তো? ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের মাত্র দেড় দুই ঘন্টার দুরত্ব। নিকলীর হাওর কিশোরগঞ্জ সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। নিকলীর হাওরে আপনি পেতে পারেন জলরাশির খেলা, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো, দ্বীপের মতো ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম এবং স্বচ্ছ জলের দেখা।
নিকলীর হাওরে ট্রলার কিংবা নৌকায় আপনি ঘুরে বেড়াতে পারবেন। মাথার উপর খোলা আকাশ আর জলের উপর নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দই আলাদা। জলের উপর ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলে, আপনি নৌকা থামিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন, ছোট ছোট গ্রামের ভেতর থেকে। এখানকার মানুষের সারল্য, আচরণ ও কথাবার্তায় আপনি মুগ্ধ হবেন। গ্রামের বাজার থেকে নাস্তা কিনে নৌকায় বসে বসে খেতে পারবেন। নৌকায় ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পাবেন জেলেদের মাছ ধরার ব্যস্ততা। নিকলীর হাওরে ঘুরতে যাওয়ার আগে খেয়াল রাখবেন, হাওর যেন উত্তাল না থাকে। প্রাকৃতিক আবহাওয়া বৈরি হলে, না বেরোনোই ভালো। ভরা বর্ষায় যখন পানিতে ভরা থাকে তখন হাওর দেখতে মনোমুগ্ধকর লাগে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে নিকলীর সরাসরি বাস আছে। আবার সায়েদাবাদ থেকে কিশোরগঞ্জের বাসে গিয়ে, কালিয়াচাপরা সুগার মিল এলাকা থেকে টেম্পুতে কিংবা সিএনজিতে নিকলী হাওরের সামনেই নামা যাবে। সময় লাগবে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। তাছাড়া ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনে সরারচর কিংবা মানিকখালি ষ্টেশনে নেমে সিএনজি দিয়ে যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা। নদীর ঘাটে গিয়ে বিভিন্ন আকারের ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করতে পারেন। অথবা আগে থেকে চুক্তি করে নিতে পারেন মসিয়াপুর বাজারের নজরুল সাউন্ড থেকে।
যেথায় থাকবেন
নিকলীতে কোনো আবাসিক হোটেল নেই। রাতে থাকতে চাইলে কিশোরগঞ্জে থাকতে হবে। কিশোরগঞ্জে রয়েছে গাঙচিল, শ্রাবণী আর আল-মুসলিমের মতো উন্নত হোটেল। চাইলে এই হোটেলগুলোর একটিতে থাকতে পারবেন। নিকলী থেকে ফেরার পথে নতুন বাজার থেকে নদীর টাটকা মাছ নিয়ে আসতে পারেন।