প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০৬ এএম
ছবি: আইরিশ টাইমস
ক্যান্সারের মতো লিভার সিরোসিসও একটি মরণব্যাধি। সাধারণত লিভারের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের কারণে এটি হয়। দীর্ঘমেয়াদে লিভারের সমস্যা হলে একসময় লিভারের মধ্যে কিছু গুটি তৈরি হয়। লিভার তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এই অবস্থাকে লিভার সিরোসিস বলা হয়।
লিভার সিরোসিস হয় মূলত ভাইরাসের কারণে। সাধারণত হেপাটাইটিস 'বি' ও 'সি' আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এই দুটি ভাইরাস দিয়েই সাধারণত লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা প্রতিষ্ঠান ওয়েব এমডি ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে লিভার সিরোসিসের কারণ সম্পর্কে।
অ্যালকোহল পান
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান লিভার সিরোসিসের অন্যতম কারণ।সাধারণত ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
লিভারে প্রদাহ
লিভারে প্রদাহ লিভার সিরোসিসের অন্যতম কারণ। সাধারণত এ,বি, সি ভাইরাসের আক্রমণ করলে লিভার সিরোসিস হতে পারে।এগুলো রক্তদান বা গ্রহণের সময় শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
জাঙ্ক ফুড
মসলাদার, জাঙ্কফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলো লিভারের ক্ষতি করে। এছাড়া রাস্তাঘাটে সহজপ্রাপ্য খাবার না খাওয়াই ভাল। এসব খাবারে অনেক ধুলাবালি ও পোকামাকড় পড়ে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ানক। এসব না খেয়ে দৈনিক খাদ্য তালিকায় বেশি করে শাকসবজি রাখুন এবং কম তেলযুক্ত খাবার খান।
কফি পান
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে ২ থেকে ৩ বার কফি খান তাদের লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় কম থাকে।
পেঁয়াজ ও রসুন
কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুন শরীরের টক্সিনকে বের করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কিছুটা কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুন রাখুন।
অল্প ব্যথাতেই ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ
ব্যথানাশক ওষুধে ব্যবহৃত নানা উপাদান লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে লিভারের ক্ষতি করে। তাই অল্প ব্যথায় কিংবা ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
পানি পান না করা
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। নয়তো লিভারের ক্ষতি হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি আপনার শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখবে। পানি লিভার, কিডনিসহ আপনার পুরো শরীরকে সুস্থ রাখবে।