নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:০২ পিএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:২৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় দক্ষ ও প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পুলিশ গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমপ্নত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালকানাধীন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জনগণ পুলিশের কাছ থেকে যেন স্বল্প সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পুলিশ গড়ে তোলা হচ্ছে। পুলিশের সেবা তাৎক্ষণিক পেতে জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু করা হয়েছে। পুলিশ খুব দক্ষতার সঙ্গে এক্ষেত্রে কাজ করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, জনবল বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে সরকার, যার সুফল ইতোমধ্যে দেশের জনগণ পেতে শুরু করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক দমনে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। পুলিশ এক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে ভূমিকা রাখছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুতপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে নারী পুলিশ সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে চলবে। এক্ষেত্রে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় হতে হবে। কারণ, মাদক একটি পরিবার ও সমাজকে নষ্ট করে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আন্দোলনের নামে যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হয়েছে, সেভাবে পুলিশের ওপরও হামলা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যেভাবে জনগণের সেবা করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। দেশের প্রত্যেকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাতে নির্বিঘ্নে মানুষ ইবাদাত, উপাসনা করতে পারে, এ জন্য তারা নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু তাই নয় ২০১৩-১৫ সালে আন্দোলনের নামে যারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারা পুলিশের ওপরও হামলা করেছে। তাদের নৃশংসতায় এ সময় ২৭-২৮ জন পুলিশ সদস্যকে আত্মাহুতি দিতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যখন আসে তখন পুলিশ বাহিনী রেশন পেত ২০ শতাংশ। দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় ক্ষমতায় আসলে তা ৪৬ শতাংশে উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ বাহিনীর উন্নত চিকিৎসা সেবা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার জন্য ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ভাতা। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য বাহিনীর ন্যায় পুলিশ বাহিনীরও আজ কমিউনিটি ব্যাংক চালু হলো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশি সেবার প্রতি আরও জোর দিতে হবে। এ সেবা বাড়াতে পারলে মানুষের কাছে আস্থার জায়গা আরও অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।’