প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৫৬ পিএম | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:১০ পিএম
মৌলভীবাজার জেলা
মৌলভীবাজারের সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এই তালিকা থেকে বাদ পড়া কেউ যাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর থানা এলাকায় বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বড়লেখার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে ওসি বলেন , 'ইতোমধ্যে বিজিবিকে নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। বিজিবির পাশাপাশি সীমান্তে নিয়মিত পুলিশও টহল দিচ্ছে।’
শ্রীমঙ্গল সেক্টরের ৪৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বলেছেন, ‘আসামের সঙ্গে যেসব সীমান্ত রয়েছে সেখানে বিজিবির বাড়তি নজরদারি ও বিশেষ সতর্কতা রয়েছে। এ জেলার দুটি উপজেলা জুড়ী ও বড়লেখা আসাম সীমান্তে। সেটি ৫২ বিজিবির আওতাধীন।’
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের (বিয়ানীবাজার) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান এসপিপি, পিএসসি বলেন, ‘বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার, সীমান্ত হত্যা-নির্যাতন, মাদকদ্রব্য ও গবাদিপশু চোরাচালান বন্ধের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লাঠিটিলা সীমান্তের ১৪০০ নং পিলার এলাকায় বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়েছে। সেখানে বিএসফের ১৩৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট এল হাওলাই উপস্থিত ছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিশেষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।’
ভারত সীমান্তে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়ায়, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার অবস্থান।
আসামের প্রকৃত নাগরিকদের চূড়ান্ত তালিকা এনআরসি শনিবার প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন। ভারতের আসাম রাজ্যের সঙ্গে সিলেটের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ফলে আসামে এনআরসি থেকে বাদ পড়া লোকজন বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।