শিক্ষায় অবদান

আন্তর্জাতিক 'ইদান প্রাইজ' পুরস্কার পাচ্ছেন ফজলে হাসান আবেদ

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:২৪ পিএম | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:২০ পিএম

স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ছবি: সংগৃহীত

স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে যুগান্তকারী অবদান রাখায় সবচেয়ে বড়ো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার ইমেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ইদান প্রাইজ নামে পরিচিত এ পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রায় ৩৩ কোটি টাকা, যা নগদ ও প্রকল্প তহবিল হিসেবে সমান দুই ভাগে দেওয়া হবে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার চলতি বছরে এ পুরস্কারের জন্য স্যার ফজলে হাসান আবেদের নাম ঘোষণা করে হংকংভিত্তিক ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন। ব্র্যাকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্যার ফজলে হাসান আবেদের উন্নয়ন দর্শনের একটি অন্যতম স্তম্ভ হলো শিক্ষা। তিনি সব সময় বিশ্বাস করেন বড়ো ধরনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই। গত প্রায় পাঁচ দশকে ব্র্যাকের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষা গ্রহণ করেছে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ শিশু। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে আনন্দময় পরিবেশে খেলাধুলার মধ্য দিয়ে পাঠদান করা হয়। একে বলা হয় প্লে-বেইজড এডুকেশন। ব্র্যাক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্লি চাইল্ড হুড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কিশোর-কিশোরীদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষাকেন্দ্র এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে বাংলাদেশ, উগান্ডা ও তানজানিয়ায় ব্র্যাকের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে মোট ৬৫৬টি প্লে-ল্যাব, যেখানে প্রতি দিন নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে অন্তত সাড়ে ১১ হাজার কর্মী। 

স্যার ফজলে আবেদ বলেন, ‘ইদান পুরস্কার থেকে পাওয়া অর্থ ব্র্যাকের শিক্ষা কার্যক্রম বিস্তারে বিশেষ সহায়ক হবে। এ তহবিল আমরা শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করতে এবং আরো নতুন নতুন প্লে ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে ব্যয় করব। তিনি বলেন, ‘শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে শৈশবেই অনুকূল পরিবেশে শেখার সুযোগ করে দেওয়া জরুরি। তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের জন্য খেলায় খেলায় শিক্ষালাভের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে থাকে ব্র্যাক। এর মধ্যে শরণার্থী শিবিরের শিশুরাও আছে, যারা নানাবিধ মানসিক সমস্যা নিয়ে বড়ো হচ্ছে। শৈশবেই খেলাধুলা এবং হাসি-খুশি থাকার পর্যাপ্ত সুযোগ দিলে তারাও সুস্থ মানুষ হিসেবে বড়ো হয়ে উঠতে পারবে। আমি আশা করি, বিশ্বনেতারা এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে এর উন্নয়ন ও প্রসারে এগিয়ে আসবেন।’

আগামী ডিসেম্বরে হংকংয়ে আয়োজিত হবে ইদান প্রাইজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সেখানে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে একটি স্বর্ণপদক এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ ৩০ মিলিয়ন হংকং ডলার (৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩৩ কোটি টাকা) দেওয়া হবে। ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশনের অপর পুরস্কারটি হলো শিক্ষা গবেষণা। এ বছর এ পুরস্কারটি পাচ্ছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কগনিটিভ ডেভেলপমেন্টাল নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক ঊষা গোস্বামী।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh