প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:০৯ পিএম | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:০৯ পিএম
বশেমুরবিপ্রবিতে ভিসির অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: সাম্পতিক দেশকাল
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের
অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তাদের এক দফা এক দাবি -ভিসির
অপসারণ।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের
আইন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেইলি সান পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
ফাতেমা তুজ জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ গত বুধবার যে প্রক্রিয়ায় প্রত্যাহার করা হয়েছে
এবং বৃহষ্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীদের ১৪ দফার বিষয় উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
যে অফিস আদেশ জারি করেছে - দুটি বিষয়ই সাজানো। কারণ, জিনিয়া কারও কাছে ক্ষমা চায়নি
বা কাউকে ক্ষমা চাইতেও বলেনি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেছেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর
জিনিয়ার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরিস্থিতি
বেগতিক দেখে আন্দোলন থামাতে সুচতুর ভাইস-চ্যান্সেলর সাজানো কারণ দেখিয়ে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ
তুলে নেন এবং কিছু শিক্ষার্থী দিয়ে ১৪ দফার নামে কথিত আন্দোলন করিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেসব
দাবী মেনেও নেন। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পেরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৃহষ্পতিবার সকাল থেকেই
ভিসির অপসারণ ও জিনিয়ার নিশ্চিত নিরাপত্তাসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু করে।
বিকেলে সে আন্দোলন রূপ নেয় এক দফা এক দাবিতে। ভিসির অপসারণ দাবিতে তারা শুরু করে আমরণ
অনশন।
শুক্রবার ছুটির দিনে আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারী
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিন নারী কেলেঙ্কারি, ভর্তি-বাণিজ্য ও
অর্থ-আত্মসাৎ সহ এমন কোন দূর্ণীতি নেই, যার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
একারণে ভিসির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনে বেশ কয়েকজন
শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।