মধুসিটি ফুডকোর্টে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:২০ এএম

মধুসিটি ফুডকোর্টের অভ্যন্তরীণসজ্জা। ছবি: সংগৃহীত

মধুসিটি ফুডকোর্টের অভ্যন্তরীণসজ্জা। ছবি: সংগৃহীত

মধুসিটি ফুড কোর্ট কেরানীগঞ্জে অবস্থিত। নগরের ব্যস্ততা, কোলাহল ছেড়ে খানিকটা প্রশান্তি পেতে মধুসিটি হতে পারে উপযুক্ত স্থান। মধুসিটি ফুড কোর্টে পেট পুরে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি ঢাকার বাইরে নয়। মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড় থেকে খুব কাছেই অবস্থিত। যাতায়াত ব্যবস্থাও ভালো। মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড় থেকে মধুসিটি ফুড কোর্টে যেতে প্রতিজনের ভাড়াবাবদ খরচ হয় মাত্র ২০ টাকা।  

মধুসিটি এলাকাটি মূলত একটি নতুন প্রকল্প। এখানে রয়েছে মধুসিটি অফিস, ফুড কোর্ট এবং উন্মুক্ত স্থান। আশেপাশে অনেকের প্লট রয়েছে। কিছু কিছু স্থানে বাড়ি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। পাশেই রয়েছে কাশফুল। শরতে এখানে দুধ সাদা রঙের কাশফুলে ছেয়ে যায়। এই শরতে আপনি মধুসিটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। দেখে আসতে পারেন কাশফুলের সারি। 

ফুড কোর্টের অভ্যন্তরীণ সজ্জা দারুণ। এখানে আলাদা কৃত্রিম কোনো ছাদ নেই। আকাশই যেন মাথার উপরের ছাদ। চারপাশে গাছপালা, বসার স্থান এবং মাথার উপরে খোলা আকাশের বিস্তৃতি দেখলে খুব ভালো লাগে। তবে কিছু কিছু বসার টেবিলের উপর ছাদ রয়েছে। নয়তো তপ্ত দুপুরে এখানে বসা যায় না। বৃষ্টির দিনে হিমেল হিমেল হাওয়ার মাঝে এখানে বসে খাবার খেতে দারুণ লাগবে। মেঘলা দিনে এখানকার পরিবেশ কল্পনার মতো সুন্দর হয়ে ওঠে।

এখানে রয়েছে বেতের চেয়ার ও টেবিল। রয়েছে অনেকগুলো খাবারের দোকান। প্রতিটি দোকানে রয়েছে আলাদা আলাদা মেন্যু। মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। 

মধুসিটিতে যাওয়ার উপযুক্ত সময় অপরাহ্ন। কারণ দুপুরে গেলে খুব অস্বস্থিতে পড়তে হয়। এখানের খাবারের দোকানগুলোতে রান্না করা হয় দুপুরের পর থেকে। স্থানীয় বাজার থেকে তাজা সবজি, মাছ ও মাংস এনে রান্না করা হয় বলে, একদম সতেজ খাবার পাওয়া যায়।  

খোলা আকাশ আর নান্দনিক পরিবেশে বসে খাবার খাওয়ার জন্য মধুসিটি ফুড কোর্ট এক অনন্য স্থান। রাতে অবশ্য এখানকার পরিবেশ আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এখানের গাছে গাছে নান্দনিক  বাতির ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলো সন্ধ্যার পর থেকে আলোকিত হয়ে ওঠে।  

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh