৯ বছর পর জামায়াতের ইফতার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৯ বছর পর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেল ইফতার মাহফিল করেছে। প্রকাশ্য রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টায় থাকা দলটি সবশেষ ২০১৫ সালে রাজনীতিকদের নিয়ে ইফতার করেছিল। এর পরের দুই বছর তারিখ ঘোষণা করেও ইফতার মাহফিল করতে পারেনি। 

আজ শনিবার (৩০ মার্চ) ইফতার মাহফিল আয়োজন করল দলটি।

জামায়াতের অভিযোগ ছিল, সরকারের বাধার কারণে ইফতার মাহফিলের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে। তবে এবার অনেকটা নির্বিঘ্নে ইফতার করতে পেরেছে দলটি।

তবে জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, শনিবার দুপুরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাধা সৃষ্টি করেছিল। ইফতার মাহফিলের ব্যানার লাগাতে দেওয়া হয়নি। এমনকি জামায়াত লেখা রয়েছে, এমন ফেস্টুনও লাগাতে দেওয়া হয়নি। তাই ব্যানার ছাড়াই ইফতার মাহফিল করতে হয়েছে তারা।

২০১৫ সালে জামায়াতের ইফতারে বিএনপি চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। এবার দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা জামায়াতের ইফতারে উপস্থিত ছিলেন। তবে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও আসেননি। তিনি কী কারণে জামায়াতের ইফতারে অনুপস্থিত ছিলেন তা জানা যায়নি। বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, মির্জা ফখরুল অসুস্থ।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত বছরের অক্টোবরে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে নামলেও ৭ জানুয়ারির ভোটের পর থেকে নীরব রয়েছে জামায়াত। এমনকি বিএনপির ইফতারে যোগ দিলেও দলটির কর্মসূচি আর অনুসরণ করছে না জামায়াত।

এদিকে বিএনপির সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সর্বাত্মকভাবে বর্জন করলেও নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীর নেতারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয়ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। যদিও কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা থাকবে না। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রকাশ্যেই এই কৌশলের কথা জানিয়েছেন।

২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর থেকেই চাপে ছিল জামায়াত। ২০২১ সালে তা আরও বাড়ে। সেই বছর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ অন্তত চার জ্যেষ্ঠ নেতা গ্রেপ্তার হন। পরের বছর গ্রেপ্তার হন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হন জামায়াতের সাড়ে ৩ হাজার নেতাকর্মী। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পর আমির শফিকুর রহমান সব জ্যেষ্ঠ নেতা একে একে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সরকারের সঙ্গে সংঘাতে না জড়িয়ে প্রকাশ্য রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করছে দলটি। এরই ধারবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন দলের নেতারা।

এদিকে কেন্দ্রীয়সহ বন্ধ থাকা জেলা কার্যালয়গুলো খোলার চেষ্টা করছে জামায়াত। ইতোমধ্যে কয়েক জেলায় কার্যালয় খোলা হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //