প্রকৃতি কন্যা যমুনাকে কখনো আগ্রাসী, কখনো সর্বনাশী আবার কখনো রাক্ষসী নামেই অভিহিত করতো সিরাজগঞ্জবাসী।
কেননা যুগ যুগ ধরে প্রমত্তা যমুনা তার ভয়াল থাবায় গ্রামের পর গ্রাম, মাঠের পর মাঠ নিজ উদরে গ্রাস করে নিয়েছে। তীরবর্তী মানুষগুলোকে করেছে নিঃস্ব, ঘরছাড়া।
এভাবে যমুনার আগ্রাসনে ধীরে ধীরে বিলিন হচ্ছিল ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ শহর। ভাঙন আতংকে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছিল না প্রাচীন এই শহরটিতে।
শহর বা শহরতলীতে গড়ে উঠছিল না শিল্প কারখানা, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবন, মার্কেট, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো। এ অবস্থায় শহর রক্ষায় “হার্ডপয়েন্ট” নামে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এটি নির্মাণের পরই যমুনার অভিশাপমুক্ত হয় সিরাজগঞ্জ শহর।
আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এ বাঁধটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। বাঁধের এক পাশে তৈরি হয়েছে শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক, পূর্ব ও দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে যমুনা নদী।
“হার্ডপয়েন্ট”একদিকে আগ্রাসী যমুনাকে নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিয়েছে, অপরদিকে হাজারও বিনোদনপ্রেমীদের তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।