জনি ডেপ : প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা জিতলেন আমেরিকান অভিনেতা জনি ডেপ। আদালতের জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বার গার্হস্থ্য হিংসার যে অভিযোগ জনির বিরুদ্ধে এনেছিলেন তা মিথ্যা এবং অবমাননাকর। অ্যাম্বারকে প্রায় ১১৭ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জিম ক্যারি : অস্ট্রেলিয়ার একটি ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জিম ক্যারি। ওই ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জিম ক্যারির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীকে যৌন হয়রানির অপবাদ আনা হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ড্রু ব্যারিমোর এবং অ্যালিসিয়া সিলভারস্টোনের মতো কয়েকজন অভিনেত্রী জিম ক্যারির সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এ সমস্ত অভিযোগকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছিলেন এই অভিনেতা। এটি তার ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে।
টম ক্রুজ : টম ক্রুজ একজন সমকামী পর্ণ অভিনেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা লড়েছেন। ওই অ্যাডাল্ট অভিনেতা দাবি করেন, টম ক্রুজের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওটেপ আছে বলেও দাবি করা হয় সেসময়। তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে ১০ মিলিয়ন ডলার জিতেছিলেন টম ক্রুজ।
কেটি হোমস : স্টার ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কেটি হোমস। ম্যাগাজিনটি তাদের প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে হোমসকে মাদকাসক্ত হিসেবে উল্লেখ করে। মামলায় হেরে যাওয়ায় তাকে অর্থ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হয় ম্যাগাজিনটি। এমনকি তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিল।
কেট উইন্সলেট : বেশ কয়েকবার সেলিব্রেটিদের সাথে ঝামেলায় জড়ানো ডেইলি মেইলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কেট উইন্সলেট। 'বিশ্বের সবচেয়ে বিরক্তিকর অভিনেত্রীর জন্য কি অস্কার পেতে পারেন কেট উইন্সলেট?' শিরোনামে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করে তারা। আর্টিকেলে এই অভিনেত্রীর ওয়ার্কআউটের বেশকিছু ছবি শেয়ার করে ডেইলি মেইল। এইকারণেও মামলা করেছিলেন তিনি। মামলায় জিতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ৪০ হাজার মিলিয়ন ডলার পান কেট উইন্সলেট।
শন পেন : শন পেন আমেরিকান মুভি ডিরেক্টর লি ড্যানিয়েলসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। একটি সাক্ষাৎকারে টেরেন্স হাওয়ার্ডের সাথে শন পেনের তুলনা করে ড্যানিয়েলস বলেন, তিনি (হাওয়ার্ড) নারীদের মারধর করতেন এবং এ বিষয়ে কিছু আইনি সমস্যায়ও পড়েছিলেন। এই তুলনার জন্যই তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন পেন।
কেট হাডসন : কেট হাডসন ন্যাশনাল এনকোয়ারারের ইউকে সংস্করণের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ট্যাবলয়েডটি তাদের একটি আর্টিকেলে দাবি করে হাডসনের ইটিং ডিজঅর্ডার আছে। হাডসনের এমন একটি ছবি পোস্ট করে তারা যেখানে তাকে বেশ রোগা দেখা যাচ্ছে। তাকে নিয়ে মিথ্যা খবর ছাপানোয় প্রকাশনাটিকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেন হাডসন। তারা ক্ষমা না চাওয়ার পর তিনি তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। কেট হাডসন এই মামলা জেতার পর তাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। মিথ্যা রটানোর জন্য ক্ষমাও চায় প্রকাশনাটি।
কেইরা নাইটলি : কেইরা নাইটলি ডেইলি মেইলের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেন। অ্যানোরেক্সিয়াতে (ক্ষুধাহীনতা) মারা যাওয়া এক মেয়ে সম্পর্কে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে তারা এই অভিনেত্রীর ছবি ব্যবহার করেন; এটা বুঝাতে যে তিনিও একই রোগে ভুগছেন। ডেইলি মেইলের বিরুদ্ধে মামলাটি জিতে পাওয়া অর্থ তিনি একটি ইটিং ডিজঅর্ডার দাতব্য সংস্থায় দান করেন।