চিকিৎশাস্ত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসলেই কী ভূমিকা রাখছে?

এক রোগী খুব উদ্বেগের সাথে একদিন ডাক্তারের চেম্বারে অপেক্ষায় রয়েছেন তার শারীরিক অবস্থার ডায়াগনেসিস রিপোর্ট জানতে। এসময় ডাক্তার এসে রোগীকে উদ্দেশ্য করে বললেন- আপনার ক্যান্সার হয়েছে। আর তা শুনেই রোগীর মুখমন্ডল কেমন যেন ফ্যাঁকাসে হয়ে গেল। আর তখন ডাক্তারের দ্বিতীয় বাক্যে আবার স্বস্তি ফিরে পেলেন তিনি। ডাক্তার তাকে জানান, ভয়ের কিছু নেই। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সম্পুর্ণ চিকিৎসা সম্ভব। দ্রুতই আরোগ্য লাভ করবেন। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে রোগীর সকল ইতিহাস পর্যালোচনা করে সতর্কতা ও সুস্থতার জন্য এমনই নির্দেশনা পেয়েছেন ওই চিকিৎসক বলে জানানলেন রোগীকে। আর তাই সুস্থ হবার প্রবল উন্মুক্ত সম্ভাবনার দুয়ারের কথা জানিয়ে আক্রান্ত রোগীকে এভাবেই আশ্বস্ত করলেন চিকিৎসক। আর সেই ধারাবাহিকতায় রোগীকে তখনই ইমেজিং টেস্টের জন্য পাঠিয়ে দেন তিনি।

ঘটনাটা নাটকের শেষ দৃশ্যের মত শোনালেও বর্তমান বিশ্বে এমন আশার প্রদীপ জালিয়ে শল্য চিকিৎসকেরা এভাবেই রোগীদের মনে যুগিয়ে যাচ্ছেন সাহস। আর এমনটি করা সম্ভব বলে মনে করছেন কারন এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেললিজেন্স ক্যান্সার রোগের প্রাথমিক পর্যায়টি বিশ্লেষণ করে এ থেকে সম্ভাব্য প্রতিকারের পথ নাকি বাতলে দিতে সক্ষম। এভাবেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিকিৎসকদের নানান পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করে আসছে বলে বলছেন চিকিৎসকরা। এমনকি ক্ষতিকর যেসব ওষুধ এমন রোগীদের জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে তা ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞার মত বিশাল কাজটি নাকি করছে এআই।

বাস্তবে কতটা কার্যকরী কিংবা তাদের পরামর্শ কতটা গ্রহণযোগ্য তা খুঁজতেই আমাদের আজকের আলোচনা। 

বর্তমানে এআইয়ের এমন সাহায্য বা বিশ্লেষণ স্বাস্থ্যখাতের প্রতিটা সেক্টরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেটিকে অনেকেই সায়েন্স ফিকশন বলছেন। আর বেশ কিছু গবেষক ও প্রতিষ্ঠান এআইকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যখাতে বর ধরনের পরিবর্তন আশা করছেন আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই। 

হালের আবিষ্কার চ্যাট জিপিটি এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। বলা হচ্ছে, এই মেশিন নাকি মানুষের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনে বেশ পটু। প্রোগ্রামটি মূলত ল্যাংগুয়েজ বেইজড যেটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আগের জেনারেশনের চেয়েও উন্নত। একইসঙ্গে নানা উপায়ে মানুষের জন্য বোধগম্য হতে পারে এমন তথ্য আবিষ্কারেও নাকি এটির জুড়ি মেলা ভার। আর তাই স্বাস্থ্যখাতের নতুন সংযোজন হিসেবে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে চ্যাট জিপিটি থেরাপি। 

প্রশ্ন হলো আসলেই কী একটি মেশিন একজন চিকিৎসকের জন্য সত্যিকার অর্থে রোগ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিশেষ কোন সহায়ক ভূমিকা পালনে সক্ষম? আর তাই যদি হয় তবে এটির নিয়ম গুলোই বা কী? আর কেমন ঝুঁকিও রয়েছে এটির সহায়তা নেয়া হলে? 

সংক্ষিপ্তভাবে যদি বলা যায় তবে বলতে হয়, এআই মূলত রোগের ডায়াগনোসিসের মাধ্যমে সম্ভাব্য কারনমুহ চিহ্নিতের মাধ্যমে এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নাকি সক্ষম এআই- বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে এখানেও রয়েছে প্রযুক্তির বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা যেগুলো এখনও আবিষ্কার করা যায়নি। 

১৯৭০ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আইয়ের মাধ্যমে চিকিৎসেবার এমওয়াইসিএন নামক একটি টুলের আবিষ্কার করেন। মূলত চিকিৎসকদের জন্য রোগের কারণ নির্ণয় ও প্রতিকারে কী ভূমিকা রাখা যায় সে বিষয়ে বলাই ছিল এই মেশিনের কাজ। 

একটি ইনটেলিজেন্ট ফ্লোচার্ট দিয়ে হ্যাঁ বা না সূচক উত্তরের মাধ্যমে একজন রোগীর অবস্থা বলে দিতে পারত মেশিনটি। তবে পরবর্তীতে খুব বেশিদূর যেতে পারেনি এই আবিস্কার। 

এ ধারাবাহিকতায় হাল না ছেড়ে দেওয়া বিজ্ঞানীরা যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ - ২০১৯ সাল পর্যন্ত অবিরাম গবেষণায় আধুনিক এআই প্রযুক্তি সম্পন্ন মেশিন আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছে। এমনকি এখাতে ২০২১ সালে অর্থলগ্নিও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। 

এক সমীক্ষায় দেখা যায়, গত বছর এ খাতে বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ছিল ৪ বিলিয়ন ডলার, যা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আর্টফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক (এএনএনএস) নামে পরিচিত এই টুলে নিউরনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এমন কিছু নড রাখা আছে যা কিনা মানব মস্তিষ্কের প্রতিটি স্তরের বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সক্ষম।  

এ প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব টিনেসির অধ্যাপক নাফিশে গাফফার নিয়া, পিএইচডি’র অ্যানালাইসিস অব এআই টেকনিকস ইন ডায়াগনসিস প্রবন্ধে বলেন- নিউরাল নেটওয়ার্ক একটি সীমিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ত কারও ব্রেইন টিউমার হলে এর টিস্যুগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তা হতে আরোগ্য লাভের জন্য হয়ত কিছু নির্দেশনা দিতে পারবে।   

এসময় টিউমারটির গতি প্রকৃতি ও ধরণ বিশ্লেষণ করে এ সংক্রান্ত তথ্যাদি সংরক্ষণ করে এর জটিল বৈশিষ্ট্যগুলো পর্যবেক্ষণেরও ক্ষমতা রাখছে এআই বলে জানান নাফিশে গাফফার। 

সিলিকন ভ্যালি হেলথকেয়ারের প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব আগারওয়াল বলছেন, এআই এনালাইটিকস কোম্পানি লিনটাস কয়েক হাজার ডেটা নিয়ে গবেষণা করলেও দিন শেষে হয়তবা একটি মানব মস্তিষ্কের বেশি তাদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার প্রসারতা ঘটাতে পারবে না।    

এর আগে অবশ্য ২০১২ সালে আবিষ্কৃত নেট লার্জ স্কেল ভিজুয়াল রিকোগনিশন চ্যালেঞ্জ নামের একটি এলগোরিদমে দেখা গেছে, একজন মানুষের চেয়ে বেশি দক্ষতার সঙ্গে ছবি দেখে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম এআই।  

আর তখন থেকেই এটির উৎকর্ষ সাধনে কিভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে ভাবনার জাল বিস্তার করেন গবেষকরা। 

আরেক প্রফেসর আব্বাসগোহলিজাদেহ (ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) বলছেন, সম্প্রতি  স্বাস্থ্যখাতের প্রাথমিক স্তরে বেশ কয়েকটি এআই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এআই নির্দিষ্টভাবে হৃদরোগ, অর্থোপেডিক সংক্রান্ত রোগীদের নানা রোগ নির্ণয়ে বেশ ভাল ভুমিকা রেখেছে।   

সম্প্রতি অবশ্য আমরা দেখছি, টাইপ২ ডায়াবেটিস, আলঝেইমার ও কিডনি চিকিৎসায় এটির বেশ কার্যকরি ভূমিকা পাওয়া যাচ্ছে।  

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ম্যাসাচুসেস্টস ইন্সটিউট প্রকাশিত এক জার্নালে দেখা যায়, গবেষকরা বলছেন- এআই ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি নির্ণয়েও নাকি ভাল কাজ করছে। আর এরপরেই মে মাসে হার্ভার্ড  প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদন বলছে, এআই উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সারের রোগীদের সঠিক ডায়াগনোসিস করতেও নাকি সক্ষম। 

এত স্বীকৃতির পরেও বেশ কিছু সংশয় থেকে যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই যন্ত্রটির ওপর। এর আগেও কোভিডের জন্য এই যন্ত্রটিকে কাজে লাগানো হলেও তেমন ফল বয়ে আনতে পারেনি। প্রমাণ হিসেবে আল-জাজিরার কাছে রয়েছে তথ্য। মাধ্যমটি বলছে, ৬৫০ এআই পাওয়ার্ড প্রোগ্রাম কোভিড-১৯ এর সঠিক উৎপত্তির কারণ নির্ণয়ে ব্যর্থ হয়েছে। 

এ বিষয়ে প্রফেসর আব্বাসগোহলিজাদেহর মত, ৯৫ ভাগ এআই টুলের উন্নতি ঘটিয়ে পাইলট টেস্ট হিসেবে ব্যবহার করলেও বাস্তব ক্ষেত্রে আর এটির প্রয়োগ করা হচ্ছে না। ফলে এর গুণগত মান ও কার্যকারিতা সম্পর্কে জানা সম্ভব হচ্ছে না। 

তবে সম্প্রতি বেশ কিছু ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয়, পরামর্শ কেন্দ্রে অবশ্য পাইলট প্রকল্পের আওতায় এটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন ও আমেরিকান সোসাইটি অব ন্যাপ্রোলজি এক সুপারিশে বলে, মার্কিন কৃষাঙ্গদের মধ্যে কিডনি নষ্ট হওয়ার সংখ্যা বেশি পাওয়া গেছে। মূলত রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করে এআই তাদের এমন তথ্য জানিয়েছে। যা কিনা এতদিন দৃশ্যমান হয়নি। 

সম্প্রতি এআই ও এক্স এআই নামের দুটো প্রোগ্রাম স্বাস্থ্যখাতের নানা বিষয় নিয়ে জটিল গবেষণা করে কীভাবে এর উন্নতি সাধন করা যায় সে বিষয়ে কাজ করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, চিকিৎসক ভুল করলে তাকে আমরা দোষারপ করতে পারি কিন্তু এআই যখন ভুল করবে তখন কার ওপর দোষ এসবে? তবে এক্ষেত্রে অবশ্য একজন চিকিৎসকের নিজস্ব দায়বদ্ধতার জায়গাটা আরও সুস্পষ্ট করতে হবে। 

যদিওবা চিকিৎসাক্ষেত্রে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ধারণাটি বেশ পুরনো। ৬০ এর দশকেই প্রথম চিকিৎসাক্ষেত্রে এর ব্যবহারের দেখা মিলে। ডেনড্রাল নামের একটি সিস্টেম যে সময় ডিজাইন করা হয়েছিল যা জৈব রাসায়ন প্রয়োগের জন্য নির্মিত হলেও পরে ওষুধের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হিসেবে  ব্যবহার করা হয়। পরে ৯০ দশকের দিকে মাইক্রো কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক সংযোগের প্রসার ঘটে। সে সময় ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে গবেষকরা নতুন নতুন তথ্য আরও নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় এ কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা নিয়ে থাকতেন। 

এআই উপরের উল্লেখিত রোগসমূহ ছাড়াও জিনোমিকস, প্রোটিওমিকস, পেশেন্ট ডাটা এমনকি হাতের লেখা বিশ্লেষণ করে অধিকতর ডায়াগনোসিস করতে সক্ষম বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও ঔষধের কার্যকারিতা অধিকতর দ্রুতকরণ- ওষুধের কার্যকারিতা উন্নয়ন (ব্যয়বহুল হলেও) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে চারটি ধাপের মাধ্যমে এটাও সহজ করা হচ্ছে। জিন এডিটিং উন্নয়ন- ক্রিসপার প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে জিনকে আরও উন্নতকরণ করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে ডিএনএ আরএনএ পর্যায়ে আরও নিখুঁত কাজ করতেই সক্ষম এআই। এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রোবটিক সার্জারি - পূর্ব  অস্ত্রোপাচার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে একজন শল্যবিদের যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আরও তথ্য দিতেও সক্ষম। যেটা কিনা একজন রোগীর হাসপাতালে অবস্থানের সময়কে ২১% পর্যন্ত কমিয়ে থাকে।

প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে রোবটিক সার্জারি করে চোখের চিকিৎসায় পাঁচ গুণ কম জটিলতার তৈরি হয়েছে, যা শল্যবিদের অস্ত্রোপচার থেকে বেশ এগিয়ে। আর স্মার্ট ক্যান্সার চিকিৎসায় - ক্যান্সার কে পরাজিত করা সময়ের বিপরীতে এটি অভাবনীয় আবিষ্কার বলেও বলছেন অনেকেই যেখানে রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে ডাক্তারদের কে টিউমার ধ্বংস করতে কয়েকদিন লেগে যায়।

তবে শঙ্কার জায়গাটা মারাত্মক। সাইবার ক্রাইম দিনদিন বেড়ে যাওয়ার ফলে এটি ব্যবহারেও রয়েছে বেশ ঝুঁকি। যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর প্রথম ছয়মাসের মধ্যে ২৯৫ টি হেলথ কেয়ারের তথ্য চুরির একটি সংবাদও আমরা কিন্তু দেখেছি। এর ফলে দেশটির ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক এর ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার হয়েছেন। এর আগেও ২০১৭ সালে লন্ডনের রয়েল ফ্রি হসপিটাল হতে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন রোগীর তথ্য চুরি হওয়ার খবরও প্রকাশিত হয়েছিলে। সেসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এর জন্য দায়ী করা হয়েছিল। বলা হয়, গুগল ডিপ মাইন্ডের মাধ্যমে এসব তথ্য চুরি হয়ে যায়।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, এত সহজেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর আমাদের শতভাগ নির্ভরতার স্থানটি এখনও নিরাপদ নয়। কারন তথ্য সংরক্ষনের নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। যদিও এটিকে সম্পূর্ণ  নিরাপদ করতে অবশ্য কাজ করে যাচ্ছেন গবেষকরা। তবে কতটা হুমকি মুক্ত করে গড়ে তোলা সম্ভব প্রযুক্তির এই সর্বশেষ আবিষ্কার যেটিকে আশির্বাদ আবার কেউ অভিশাপ বলেও অভিহিত করেছেন, দেখার বিষয় এখন সেটাই। ভবিষ্যতে সকল শঙ্কা কাটিয়ে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে কতটা নির্ভুলতা আর পরিপক্কতার সঙ্গে এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানব সভ্যতার জন্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়! 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //