ঐতিহাসিক সাত মার্চ সেদিন আর এদিন

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সকালে দিনটিকে নিয়ে লিখতে গিয়ে ভাবনার জগৎকে নিয়ে গেলাম আজ থেকে ৫২ বছর আগে ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের ওই অগ্নিঝরা দিনে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি ওই দিনটিতে ছিলাম লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে শ্রোতার কাতারে রেসকোর্স ময়দানে। সংগ্রামী চেতনায় উদ্দীপ্ত, লক্ষ্য অর্জনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন কি বঙ্গবন্ধু? লক্ষ্য অর্জনের জন্য কোনো নির্দেশ? এ দুই প্রশ্ন নিয়েই ছিলাম আন্দোলিত।

কী ঘোষণা ও নির্দেশ দেবেন বাঙালির অবিসংবাদিত ও পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও দেশ-বিদেশের পত্রিকাগুলোতে চরম ঔৎসুক্য প্রকাশ পাচ্ছিল। তবে বাংলার মানুষ ধরেই নিয়েছিল, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন। বিদেশি পত্রিকাগুলোতেও এই ধারণা প্রতিফলিত হয়। ৫ মার্চ দি গার্ডিয়ান, দি সানডে টাইমস, দি অবজারভার এবং ৬ মার্চ দি ডেইলি টেলিগ্রাফ নিবন্ধে স্বাধীনতার ঘোষণার পূর্বাভাস দেয়। সারা বিশ্বে প্রচারিত হয় শেখ মুজিবুর রহমান ‘এককভাবে’ স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেন।

৭ মার্চ দিনটি হঠাৎ করে আসেনি। ৪৮-৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের নির্বাচন, ৬২-৬৪’র সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন প্রভৃতির ভেতর দিয়ে মানুষের মনে এই প্রত্যয় সৃষ্টি হয়েছিল যে, পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে থাকা যাবে না। জনগণ শেখ মুজিবকে কেবল নেতা নয়, বন্ধু হিসেবে হৃদয়ে আপন করে নিয়েছিল। তিনি স্বাধীনতা চাইছেন, এমনটা জনগণ দৃঢ়ভাবে মনে করছিল।

মনে করার কারণটাও বঙ্গবন্ধুই জনগণকে সঙ্গে রেখে তার সামগ্রিক কর্মতৎপরতা দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের পটভূমিতে বাধ্য হয়ে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান ‘এক লোক এক ভোট’ দাবি মেনে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিলে দৃঢ় আস্থা ও প্রত্যয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। শুরুতেই ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯, সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারের সামনে আলোচনা সভায় মুহুর্মুহু ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মধ্যে আবেগময় ও তেজোদীপ্ত ভাষায় তিনি ‘পূর্ব পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ’ হবে বলে ঘোষণা করেন। কার্যত এই ঘোষণা জনগণের মনোভাব ও চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার কারণেই সত্তরের নির্বাচনে বাংলার জনগণের ঐতিহাসিক গণরায় অর্জন সম্ভব হয়।

তবে গণরায় মেনে নেওয়া পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবু বাধ্য হয়ে ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ১৯৭১ ঢাকায় পার্লামেন্ট অধিবেশন আহ্বান করলেন। পশ্চিম পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের বিজয়ী নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো তাতে বাদ সাধলেন। সংসদকে বললেন ‘কসাইখানা’। ১ মার্চ জাতীয় সংসদ অধিবেশন স্থগিত করা হলো। বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন।

তিনি বললেন, ৭ মার্চ আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তারই আহ্বানে শুরু হলো মরণজয়ী হরতাল-জমায়েত-মিছিল। ইয়াহিয়া নয়, তখন কার্যত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই দেশ চলছিল। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের পর বিদ্যুৎগতিতে সারা দেশের সরকারি ভবন ও বাড়িতে বাড়িতে তা উত্তোলিত হতে থাকল। ৬ মার্চ লে. জেনারেল টিক্কা খান গভর্নর হিসেবে ঢাকায় এলে প্রধান বিচারপতি তাকে শপথ গ্রহণ করাতে রাজি হলেন না। 

প্রসঙ্গত, ৭ মার্চের জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু কী ভাষণ দেবেন তা নিয়ে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হয়। সবটা নেতার ওপরই ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার অন্যতম পরামর্শক লে. জেনারেল পীরজাদার সহকারী বাঙালি ব্রিগেডিয়ার করিমও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ভাষণ নিয়ে কথা বলেন। সকলের কথায় কান দিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ না করে দূরদর্শিতা ও সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মাত্র ১৮ মিনিটে সেই ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।

ভাষণের শুরুতেই তিনি স্বল্প কথায় মানুষের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বলেন, ‘আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।’ তিনি ২৩ বছরের ‘করুণ ইতিহাস’, ‘রক্তের ইতিহাস’, ‘আর্তনাদের ইতিহাস’ তুলে ধরেন। ‘পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে’ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে অ্যাসেম্বলিআহ্বানের ‘অনুরোধ’ করেছেন উল্লেখ করে তিনি রাজনীতিতে সহনশীলতার সংস্কৃতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন। ‘একজন যদিও সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব’- এই অভিমত ব্যক্ত করা ছিল তার আজন্ম লালিত গণতান্ত্রিক মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। 

তিনি এটা বলতেও ভুল করলেন না যে, ‘আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতায় যেতে চেষ্টা করেছি, তখনই তারা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’ নির্বাচনের পর পার্লমেন্ট থাকা সত্ত্বেও ইয়াহিয়ার অন্যায্য রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সের প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। ‘কিসের আরটিসি? কার সঙ্গে বসব?’- এভাবে প্রশ্ন তোলাটা ছিল তার আত্মবিশ্বাস ও প্রতিজ্ঞারই বহিঃপ্রকাশ।

নরম-গরমে চলমান ভাষণের মধ্য দিয়ে লক্ষ্য সুদৃঢ় রেখে কৌশলে নমনীয় হয়ে তিনি আলোচনা ও আন্দোলন, শান্তিপূর্ণ ও সশস্ত্র- দুই বিপরীত মত-পথের সম্মিলন ঘটাতে সফল হন। বাস্তবে সময়টা সন্ধিক্ষণ হওয়ায় গান্ধী ও লেনিনের মত-পথের সমন্বয় ঘটান তিনি ওই ভাষণের ভেতর দিয়ে। 

ঐতিহাসিক ওই ভাষণে তিনি লক্ষ্য অর্জনের কৌশল সামনে নিয়ে চার শর্ত আরোপ করেন। এক. সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে, দুই. সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে, তিন. পাখির মতো মানুষ হত্যার তদন্ত করতে হবে, চার. নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এই চার শর্ত ছিল গণতন্ত্রসম্মত, যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবানুগ এবং রাজনীতিতে আগুপিছু, কঠিন-নমনীয় কৌশল ছাড়া যে লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয় না তার প্রমাণ।

কিন্তু তার এই চার শর্ত মেনে নেওয়া পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের পক্ষে আদৌ সম্ভব ছিল না। ওই শর্তগুলো থাকার কারণেই পরে ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর যখন ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের যৌক্তিকতা বিশ্ববাসী গ্রহণ করে।

‘প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না’ ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু এমন সাহসী, সুকৌশলী, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতাপূর্ণ বক্তব্য দেন, যাতে একদিকে তিনি বাংলার জনগণকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান আর অন্যদিকে পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত তথা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার ফাঁদেও পা দেন না। যা ছিল জনগণের মনোভাব এবং পাকিস্তান ও বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য ও ভারসাম্যপূর্ণ। 

ভাষণটি সংগ্রামী জনতাকে যারপরনাই আন্দোলিত করে এবং দিকনির্দেশমূলক ভাষণে পরিণত হয়। সামরিক সশস্ত্র প্রতিরোধের পাশাপাশি দেশবাসীকে তিনি সম্ভাব্য গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে দ্ব্যর্থহীন আবেগমিশ্রিত ভাষায় বলেন, ‘... প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু- আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে।’ তাকে যে হত্যা কিংবা গ্রেপ্তার করা হবে, তা তিনি আগেই অনুধাবন করেছিলেন। 

ওই দিনই বঙ্গবন্ধু সরাসরি প্রশাসন হাতে নিয়ে ১০ দফা নির্দেশ দেন। সামরিক শাসকরা ক্ষমতায় থাকা সত্তে¡ও প্রশাসনকে নিজ হাতে নিয়ে তিনি ভীত হননি। এক. খাজনা বন্ধ; দুই. সরকারি-বেসরকারি অফিস ও কোর্ট-কাচারি বন্ধ; তিন. রেলওয়ে, বন্দর চালু, তবে সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র বহন বন্ধ; চার. কেবল আন্তঃজেলা ট্রাংককল চালু; পাঁচ. বেতার-টিভিতে আন্দোলনের সব সংবাদ ও বিবৃতি প্রচার; ছয়. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ; সাত. স্টেট ব্যাংক বা অন্য কোনো ব্যাংক থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে টাকা পাঠানো বন্ধ; আট. সব ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন; নয়. হরতাল প্রত্যাহার করা হলেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আংশিক বা পূর্ণ হরতাল আহ্বান। ২৮ তারিখ গিয়ে বেতন নিয়ে আসারও ঘোষণা দেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর কাছে সংগ্রাম-আন্দোলনের লক্ষ্য অরাজকতা সৃষ্টি বা ধ্বংস করা ছিল না। ছিল নীতিতে সুদৃঢ় ও কৌশলে নমনীয় হয়ে গণঐক্য বজায় রেখে গণ দাবি আদায়ের পন্থা। তাই দায়িত্বশীলতার সুস্পষ্ট প্রমাণ রেখে তিনি বলেন, ‘শোনেন, মনে রাখবেন শত্রুবাহিনী ঢুকেছে নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটতরাজ করবে। এই বাংলায় হিন্দু-মুসলমান, বাঙালি-অবাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের ওপরে, আমাদের যেন বদনাম না হয়।’

আন্দোলন-সংগ্রামের হাতিয়ার হলো জনগণ- এটা স্মরণে রেখে তিনি প্রত্যেক পাড়া, মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ‘যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত’ থাকার আহ্বান জানিয়ে সবশেষে বলেন, ‘মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব- এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছ্ড়াব ইনশাআল্লাহ।’ একটু গভীরে গিয়ে নজর দিলেই বোঝা যাবে, নেতা-জনতার পার্থক্য রেখা তিনি পুরো বক্তৃতার কোথাও রাখেননি। তিনি ছিলেন জনতারই একজন। পথ রক্তাক্ত হবে এবং আত্মত্যাগ করতে হবে, তা স্মরণ করিয়ে দিতে তিনি ভুল করেননি। 

সবশেষে সুস্পষ্ট ও উদ্দীপ্ত ভাষায় তিনি কার্যত স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ভাষণ সম্পর্কে দি ডেইলি টেলিগ্রাফ প্রতিবেদনে লেখে, ‘দ্য এন্ড অব পাকিস্তান’- পাকিস্তানের কবর রচিত হয়েছে। বস্তুতপক্ষে উল্লিখিত ভাষণের পর বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন রূপান্তর হয় স্বাধীনতা অন্দোলনে, মুক্তিযুদ্ধে। এই ভাষণের ভেতর দিয়েই ৭ মার্চ জাতীয় জীবনের এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের উৎসমুখের এই দিনটি ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে।

বঙ্গবন্ধুর এই বক্তৃতা যুগান্ত সৃষ্টিকারী ও কালজয়ী। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর অন্যতম এবং বিশ্ব ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ। ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইউনেস্কো এই ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ তথা বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ রেজিস্ট্রারে যুক্ত করে। এই ভাষণের ভেতর দিয়েই তিনি দেশের মানুষের অন্তরে ‘রাজনৈতিক কবি’ হিসেবে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি। দেশি-বিদেশি ঘাতকচক্র তার জীবন ছিনিয়ে নিয়েছে। জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা তার যোগ্য সম্মান ও মর্যাদাটুকুও দিতে পারিনি। জীবন দিয়ে তিনি তার আদর্শ, যা জাতীয় চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা তিনি জাতির জন্য রেখে গেছেন।

একাত্তরের ৭ মার্চ ভাষণের পর আমরা অস্ত্র নিয়ে ট্রেনিং শুরু করেছিলাম। কিন্তু আজ! ভালো-মন্দ, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমরা রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে কতটা প্রতিষ্ঠা করতে পারছি, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হচ্ছে। সেদিন আর এদিনের মধ্যে দোল খেতে খেতে রেসকোর্স ময়দানে নেতা-জনতার মিলনে সৃষ্ট গণদেবতার উদ্দেশে মাথা নত করলাম। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //