আওয়ামী লীগে যোগ আর বিয়োগের অঙ্ক

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড করে আওয়ামী লীগে যা যোগ করেন, ছাত্রলীগ অপকর্ম করে তা মুহূর্তেই বিয়োগ করে ফেলে। দুধে চনা পড়লে যা হয়, তাই হচ্ছে- কথাগুলো এক রাজনৈতিক আড্ডায় বললেন ঢাকার বাইরের এক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। সমাজবিজ্ঞানের যোগ-বিয়োগ ফল গণিতের যোগফলের মতো ২+২= ৪ হবে না জেনেও বললাম, ‘পুরোটাই কি বিয়োগ হয়।’

তিনি বললেন, ‘এতক্ষণ কী কথা হলো? পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল? নাকি পাকিস্তান ও ভারতে রিজার্ভ কমলেও বাংলাদেশে বাড়ছে খবরটি? সারাক্ষণ তো চলল, ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তদের নিয়ে কথাবার্তা। আপনাকে উন্নয়নের ওসব কথা কি কেউ বলতে দিল। তাতে রাজনৈতিক পরিমণ্ডল কোন দিকে ঝুঁকল? আওয়ামী লীগের সমর্থনে যোগ নাকি বিয়োগ হলো।’ আমি বললাম, ‘তা হলে কি যোগ বিয়োগে সমান সমান? ক্ষুব্ধাহত কণ্ঠে তিনি বললেন, ‘দেখেন!’ আড্ডা শেষ হওয়ার পর থেকে সহযোদ্ধার কথাগুলো নিয়েই ভাবছি।

রাজনীতি আসলেই জটিল যোগ-বিয়োগের হিসেব। এটা তো ঠিক যে, ক্ষমতা সামনে রেখেই রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয়। সামনে নির্বাচন। এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে স্থিরীকৃত হতে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় বসবে নাকি ক্ষমতার পটপরিবর্তন হবে?’ স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চাইবে রাজনৈতিক পরিমণ্ডল তার দিকে ঝুঁকে থাকুক। যোগের অঙ্ক বৃদ্ধিই হবে দলটির কাম্য।  বিয়োগের অঙ্ক এখন করতে চাইবে না আওয়ামী লীগ। কিন্তু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, ধারাবাহিকভাবে বিয়োগের অঙ্কের ঘেরাটোপেও পড়ছে দলটি।

চলমান সময়ে বিয়োগের অঙ্ককে যোগ অঙ্কে রূপান্তর করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের প্রচেষ্টা কতটুকু কী তা প্রথমে বিবেচনায় নেওয়া প্রাসঙ্গিক। বিয়োগের অঙ্ক বাড়তে থাকলে ১২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ ছিনতাই, মারধর, হেনস্তা, লাঞ্ছনা, চাঁদাবাজি প্রভৃতি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ২১ জন নেতা-কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার এবং ১ জনকে অব্যাহতি দেয়। এই শাস্তিকে যে ছাত্রলীগের মধ্যে থাকা দুর্বৃত্তরা ন্যূনতম পাত্তা দিচ্ছে না, আমলে নিচ্ছে না, তা পরবর্তী ঘটনা থেকে সুস্পষ্ট।

১৬ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের শিকার হন আরও ৪ জন ছাত্রী। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিতা ছাত্রী ফুলপরী খাতুন তো এখন টক অব দি কান্ট্রি। বিষয়টা এমনি হয়েছে যে, শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ৫-দফা নির্দেশ দিতে হয়েছে হাইকোর্টকে। ছাত্রলীগের ‘নৈরাজ্য ও নিপীড়নের’ প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনশনও সারা দেশকে আলোড়িত করে তুলেছে। মহান একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় গ্রুপের দুই অংশের মারামারিতে ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

এসব ঘটনাগুলোকে বোধকরি প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক দলাদলি-পাল্টাপাল্টি কিংবা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের অংশ হিসেবে দেখানোর কোনো উপায় নেই। যদি থাকত তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১৮ ফেব্রুয়ারি এমনটা বলতেন না যে, ‘ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে যেসব অপকর্ম হচ্ছে, তা দুর্বৃত্তদের কাজ।

এই দুর্বৃত্তদের আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠনে থাকার অধিকার নেই। অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ একই দিনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন নারায়ণগঞ্জের বিশেষ কর্মিসভায় বলেছেন ‘যারাই মেয়েদের শ্লীলতাহানি কিংবা বিরক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আান্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ছাত্রলীগে লাঞ্ছনাকারী, চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই।’ 

এসব বক্তব্য বিবেচনায় নিয়ে বলতে হয়, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মানুষের এমন উপলব্ধি হয়েছে যে, দোষী ক্ষমতাসীন দলের হলে তার সাত খুন মাপ। আওয়ামী লীগ যা-ই বলুক বা পদক্ষেপ নিক, এটাই বাস্তব যে, ক্ষমতায় থাকার তিন টার্ম শেষ হতে চললেও এই উপলব্ধির কোনো নড়চড় দেশের ঐতিহ্যবাহী দলটি করতে পারেনি। প্রসঙ্গত অভিজ্ঞতা থেকে এটাও বলা যায় যে, আওয়ামী লীগ ছাড়া গণ-আস্থাসম্পন্ন এমন কোনো দল কিংবা শক্তি নেই, যে দল বা শক্তি সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টরারেন্স’ বাস্তবায়িত করতে পারে। তাই মনে প্রশ্ন জাগে, এটাই কি জাতির জন্য ভবিতব্য হবে!

শ্লীলতাহানি ও বিরক্তি ইস্যুতে ‘সামাজিক আন্দোলন’ গড়ে তোলার কথা বলেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি। উত্তম কথা। ছাত্রলীগ সমাজে কিংবা নিদেনপক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তুললে বাদ কেউ সাধবে বলে মনে হয় না বরং সংগঠনটিকে সাধুবাদ জানাবে। নারায়ণগঞ্জের বিশেষ কর্মিসভায় ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেছেন, ‘ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ানো ছাত্রলীগের লক্ষ্য নয়। ছাত্রলীগ কর্মীরা আদর্শের বলীয়ান হবে, ভালো কর্মী হবে। ছাত্রলীগ আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান।’

প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় থেকে আইন প্রয়োগ হোক আর সামাজিক আন্দোলনই হোক, এর অভিজ্ঞতা কিন্তু খুব একটা সুখকর নয়। বঙ্গবন্ধু আমলে পুলিশ-আর্মি নামিয়ে যখন দুর্নীতি দমনে কিছু করা গেল না, তখন  ১৬ জানুয়ারি সংসদে  দুর্নীতিবিরোধী বিল ১৯৭৪ পাস হলো। এরপর ২৪ জানুয়ারি পালন করা হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ দিবস। মানুষ আশায় বুক বাঁধল। কিন্তু শর্ষেতেই যে ছিল ভূত! মাত্র ১২ দিনের মাথায় সূর্যসেন হলে ৭ জন ছাত্র খুন হলো। 

তখন কে না জানত ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসের লালন-পালন কর্তা। কিন্তু তিনি স্বপদে ছিলেন বহাল তবিয়তে। এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা জানেন কোন নেতা কী করে? কার ব্যাংক ব্যালেন্স আছে? চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি করছে কে? চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় গ্রুপের কথা কে না জানে? প্রশ্নটা হলো, ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কমবেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে নাকি সংগঠনের গোড়ায় গলদ দূর করা হবে? অভিজ্ঞতা থেকে বলতেই হয়, দুটো পদক্ষেপ একসঙ্গে গ্রহণ করা ভিন্ন বিকল্প নেই।

বাস্তবে বত্তৃতায় ‘স্থান নেই’ বলা আর কার্যক্ষেত্রে স্থান না দেওয়ার ফারাক আকাশ-পাতাল। ছাত্রলীগ সভাপতির ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ কথাটা খুবই আগ্রহোদ্দীপক। ছাত্রদের তো ব্যাংক ব্যালেন্স থাকার কথা না! এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও কিন্তু আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথামতো ‘জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

আওয়ামী লীগ যদি বিয়োগের অঙ্ক ক্রমে সংকুচিত করতে চায়, তবে মানুষের অভিজ্ঞতালব্ধ উপলব্ধির জায়গায় পরিবর্তন আনার কাজ শুরু করতে হবে। ‘সরকার ও দল দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে’ কথাটা মানুষের মুখে মুখে যদি প্রচার হতে থাকে, তবে বিয়োগটা যোগে রূপান্তর হবে। সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের দশ ফোঁড় কথাটা স্মরণে রেখে বলতেই হয়,  নির্বাচন সামনে রেখে এখনই সময়।

ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ‘আদর্শে বলীয়ান’ হবে- এটাই হচ্ছে সময়ের আহ্বান। পাকিস্তান আমলের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, ছাত্রলীগ চলেছে আগে আগে আর আওয়ামী লীগ পেছনে পেছনে। ইতিহাস বলে, বঙ্গবন্ধুই এই কৌশল নিয়েছিলেন।

ষাটের দশকের শুরুতেই গোপনে অনুষ্ঠিত হয়, শেখ মুজিব-মানিক মিয়ার সঙ্গে আত্মগোপনে থাকা মণি সিংহ- খোকা রায়ের বৈঠক। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, একুশে ফেব্রুয়ারি সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন শুরু করা হবে। নেতা সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করায় আগেই শুরু হয়ে যায়, ছাত্র ইউনিয়ন- ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে স্বাধীনতা গ্রুপ গড়ে ওঠে এবং কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বাস্তবে ছাত্রলীগ ছিল আওয়ামী লীগের স্ট্রাইকিং ফোর্স। স্বাধীনতার আগে ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের যোগের অঙ্ককে বাড়িয়ে তুলত। স্বাধীনতার পর ওই সংগঠনই বিয়োগের অঙ্ককে বাড়িয়ে তুলল। পঁচাত্তরের পর থেকে আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে, তখন গণতন্ত্রের সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এখন আবার ছাত্রলীগ বিয়োগের অঙ্ককে বড় করে তুলছে।

বিরোধী দলে থাকলে যোগ আর ক্ষমতায় থাকলে বিয়োগ- এই ঘোরপ্যাঁচ থেকে ছাত্রলীগকে বের হয়ে আসতেই হবে। অগণিত ছাত্র সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মধ্যে অন্তর্নিহিত এমন শক্তি যে রয়েছে, তা সহজেই ধারণা করা যায়। বিষয়টা হলো ওই শক্তিকে ক্রমে টেনে সামনে আনা। এটা খুব সহজ কাজ নয়। এ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য বুদ্ধিজীবী মহল থেকে খুব একটা সহজ সমাধান দেওয়া হয়। বলা হয় গণতন্ত্র চর্চা হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 

বৃহত্তর অর্থে কথাটা সঠিক হলেও বাস্তবতার নিরিখে কথাটা আলোচনার দাবি রাখে। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে গণতন্ত্র শুরু হলে ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ প্রয়োগের সঙ্গে পেশিশক্তির প্রয়োগ কতটা হবে, তা কি কল্পনা করা যায়! অর্থ ও রক্তের খেলা চরমে ওঠার সম্ভাবনা দাঁড়াবে।

তাই দেশের ও দলের আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলে গণতন্ত্রের চর্চাকে প্রসারিত করা ভিন্ন বিকল্প নেই। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সূচনা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার ভেতর দিয়েই শুরু হয়েছিল। এখন আবার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলন ছাত্রলীগের ভেতর দিয়ে শুরু হলে তা ভালোই হয়।

ছাত্রলীগ সভাপতি গণমাধ্যমের সমালোচনা করে ওই বক্তৃতায় বলেছেন, ‘আমরা দেখি ছাত্রলীগ যদি একশটি ভালো কাজ করে একটি নিউজও হয় না, আর ছাত্রলীগ যদি একটি খারাপ কাজ করে তাহলে একশটি নিউজ হয়। এ ব্যাপারে আমরা গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখতে চাই।’ কথাটার সত্য-অসত্য বিচারে যাওয়া এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। তবে ছাত্রলীগকে পাকিস্তানি আমলের কঠিন-কঠোর দিনগুলোর পত্রিকা সেন্সরশিপের কথা স্মরণ করতে বলি। ৬ দফা রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মসূচি হওয়ায় প্রচারে ছিল বাধা। আন্দোলনের কর্মসূচিও প্রচার করতে পারা যেত না। 

তবু গ্রাম-গঞ্জে তা প্রচারিত হলো কীভাবে! মানুষ কীভাবে মনে করল এই কর্মসূচি ‘মুক্তিসনদ’। ১১-দফাইবা কীভাবে জনগণের প্রাণের দাবি হয়ে উঠল। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও ছিল না। বাস্তবে সংগঠনকেই হতে হয় প্রচারের হাতিয়ার। সংগঠন যদি সচল ও সক্রিয় থাকে, ভালো কাজ যদি থাকে একশটি; তবে ছাত্রলীগের সংগঠন তা প্রচারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, এলাকায় এলাকায় নামে না কেন?

সামাজিক আন্দোলন বলতে এটাই তো বোঝায়। ছাত্রলীগ অতীতের গৌবরময় ঐতিহ্য ধারণ করে জাতীয় পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে যোগের অঙ্ককে অগ্রসর করে নিক; এটাই স্বাধীনতার মাস সামনে রেখে ভাষার মাসে একান্ত কামনা।

কলাম লেখক, রাজনীতিক

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //