শিক্ষকতা পেশাকে নেশা করার সুযোগ কোথায়?

দেশের প্রাচীন পত্রিকা দৈনিক সংবাদে এক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ১২ মে ২০১৩ তারিখের লেখা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নয়, নেশা হিসেবে গ্রহণের অনুরোধ পড়লাম। শিক্ষকদের দায়িত্ব কর্তব্যবোধে সজাগ করার জন্য লেখাটি চমৎকার। সাধুবাদযোগ্য লেখাটিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে, ঝরেপড়ারোধে, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে উপস্থাপিত হয়েছে তা অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। লেখাটি পড়ার সময় বারবার মনে হচ্ছিল আমাদের শিক্ষকরা এই বিষয়গুলো কি অনুধাবন করেন না?

শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, আমাদের শিক্ষকরা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের সব স্তরের প্রশাসকদের মতো শিক্ষকরা ভালো করেই জানেন কী করলে কী হয়। কিন্তু কেউ নিজেদের পরিবর্তন করতে চায় না, তাই বোধ করি শিক্ষকরাও নিজেদের পরিবর্তন করতে চায় না। সে কারণে প্রাথমিক দায়িত্ব হিসেবে নিজেদের পরিবর্তন জরুরি। শুধু নরম মাটি মনে করে শিক্ষকদের আঁচড়ে লাভ হবে না। বন্দুকের নল অন্যের ঘাড়ে রেখে গুলি করার চেষ্টা না করে যদি সার্বিক সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়নে আমাদের নীতি নির্ধারকরা সচেষ্ট হতো তাহলে বাংলাদেশ স্বপ্নের দেশ হয়ে উঠতো।

বাংলাদেশে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করার মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। একান্ত বাধ্য না হলে কেউ শিক্ষকতা নামের চাকরিতে যোগদান করেন না। সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সাংবাদিকগণ এলাকার মেধাবী মুখ খুঁজে তাদের প্রত্যাশার কথা প্রকাশ করে থাকেন। সারাদেশের দৈনিকে প্রকাশিত মেধাবী মুখের প্রত্যাশাগুলোর একটা সমন্বয় করা গেলে দেখা যাবে যে একজন মেধাবীও শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণে ইচ্ছুক নন। দেশের মেধাবী মুখগুলো ডাক্তার হতে চায়, প্রকৌশলী হতে চায়, ব্যাংকার হতে চায়, চার্টার্ড অ্যাকান্ট্যান্ট হতে চায়, প্রশাসক হতে চায়। তবে সবাই মানবতার সেবা করতে চায়। জনগণের সেবা করতে চায়, জনকল্যাণে নিবেদিত হতে চায়। শিক্ষকতা জনহিতের মধ্যে মেধাবীদের বিবেচনায় হয়তো পড়ে না, তাই তারা এই পেশা গ্রহণের কথা চিন্তাই করে না। অভিভাবকদের পাশে বসেই মেধাবীরা তাদের ভবিষ্যৎ আকাক্সক্ষার কথা প্রকাশ করে থাকে। তাতে বিশ্বাস করতে হয় যে, আমাদের অভিভাবকদের ইচ্ছাটাও এদের মুখ দিয়ে প্রকাশ পায়। এইচএসসি পরীক্ষা চলছে ফলাফল প্রকাশের পর এখানেও ব্যতিক্রম পাওয়া যাবে না। বর্তমানে এটা যদি দেশের সামগ্রিক অবস্থা বলে স্বীকার করতে হয় তবে বলতেই হবে, যেখানে শিক্ষকতাকে কেউ পেশা হিসেবেই গ্রহণ করতে চাইছে না সেখানে নেশা হিসেবে গ্রহণের সুযোগ কোথায়?

শিক্ষকতা পেশা হিসেবে গ্রহণে আমাদের মেধাবীদের অনীহা কেন? সমাজে এখনো শিক্ষকদের একটা সম্মানের অবস্থান আছে। গ্রাম থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত শিক্ষকদের বিচরণ দেখলেই তা স্বীকার করতে হবে। আর শিক্ষকদের মধ্যে যারা ন্যূনতম পেশার সম্মান রেখে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখেন তারা তো দাপটের সাথেই সমাজে চলে থাকেন। শিক্ষকতার এই অংশের দিকে তাকালে পেশা হিসেবে লোভ হওয়ার কথা কিন্তু অন্য অংশের দিকে তাকালে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। শুধু সামাজিক সম্মান নিয়ে সমাজে বাস করা যাচ্ছে না। জীবনটাকে উদ্বেগহীন রাখতে না পারলে মননের কাজ যথাযথভাবে করা যায় না। আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আশাহীন জীবনের প্রতিফলন পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্রাস করে নিয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম সোপানকে অবহেলার ফল জাতির সামনে দিনের আলোর মত পরিষ্কার। তারপরও এখানে বছরের পর বছর ধরে আশার বাণীর সাথে খুদকুঁড়ো দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া দেখা যায়। শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে তার প্রথম সোপানকে মঙ্গলের পথে নিতে চাইলে খুদকুড়োতে কাজ হবে না। শিক্ষকদের প্রধান নিয়ামক বিবেচনায় ব্যাপক উন্নয়নের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। তা হলেই পেশাকে নেশায় পরিণত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

একজন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানেন তিনি তার মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতা এবং বর্তমানকালের দলীয় রাজনীতির প্রভাব বলয়ের মধ্যে স্থান করে ধাপে ধাপে সর্বোচ্চ পদে যাবার সুযোগ খোলা আছে। একজন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চোখের সামনে কী আছে? অন্ধগলি, একবার প্রবেশ করলে আর নড়ার কোনো সুযোগ নেই। একজন তরুণ দেখে অভিমন্যুর চক্রব্যূহ হচ্ছে শিক্ষকতা। প্রবেশের পথ জানা থাকলেও বেরুনোর কোনো পথ নেই। একই পদ-পদবীতে অনন্তযাত্রা। সরকার প্রশাসনকে গতিশীল রাখতে প্রয়োজন অপ্রয়োজনে পদোন্নতির ব্যবস্থা করে চলেছে। শূন্যপদের কয়েকগুণ বেশি পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। তাই স্বাভাবিক প্রশ্ন এসে যায় যে সরকার কি শিক্ষা ব্যবস্থাকে গতিশীল রাখতে চায়? সরকারের যদি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ন্যূনতম কোনো ইচ্ছা থাকতো তবে কি শিক্ষকদের শুধু আশ্বাস বাণী শুনিয়ে সময় পার করে দিতো? শিক্ষকদের টাইম বার পদোন্নতির ব্যবস্থা করে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। অন্ধকারগলি হলেও আলোর ব্যবস্থা হয়। এতে শিক্ষকদের জীবনের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে এবং পেশার উৎকর্ষ সাধনে আন্তরিক হবে।

মহাজোট সরকার শিক্ষকদের পৃথক বেতন কাঠামোর আওতায় আনার ঘোষণা করে। মন্ত্রী মহোদয় কতবার এই ঘোষণা দিয়েছে তা গবেষণার বিষয়। সরকারের সময়কাল শেষ হওয়ার পথে। এখন আর নতুন বেতন কমিশন গঠন করে কিছু করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। এখন সরকারের পক্ষে ঘোষণা আসতে পারে আগামীতে মহাজোট ক্ষমতায় এলে শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামোর ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের শিক্ষকদের সাথে প্রশাসনের এমন বিমাতাসুলভ ব্যবস্থা দীর্ঘকাল ধরে চলছে। বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকদের দেবো-দিচ্ছি করেই সময় পার করে চলছে। এটা কোনো পেশার মানুষকে উৎসাহিত করে না। আমাদের শিক্ষকরা সরকারের মতো করছি-করবো বলে সময় পার করে দিলে তাদের দোষ দেওয়া যায় না। দেশ ও জাতির উন্নয়ন চাইলে শিক্ষকদের চাহিদা পূরণ করতে হবে। অভূক্ত শিক্ষক কোনোদিন শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষা দিতে পারে না। অথচ সরকার শিক্ষক সমাজের প্রতি সবচেয়ে বৈরি মনোভাব রেখে চলেছে। নেশা করার মতো সামর্থ তৈরি করা গেলেই তবে পেশাকে নেশা হিসেবে গ্রহণ করা যায়।

বাংলাদেশের এক পেশাজীবী সংগঠন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করে। বিদ্যালয়টি দেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে তাদের সুপারিশের মডেল। বিশাল এক দায়িত্বের তালিকা হাতে দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, শিক্ষকরা সুনাম ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছে। এলাকার মানুষ সুফল পেয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। শিক্ষার আলোয় গ্রামগুলো উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। স্থানীয় জনগণ নিজেরা উদ্বুদ্ধ হয়ে পাশেই একটা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। শহরতলীর দরিদ্র এলাকার শিশুরা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় আজ বিদ্যালয়মুখি। অথচ এই শিক্ষকরা প্রচণ্ডভাবে বঞ্চিত। শ্রমের ও সাফল্যের কোনো মূল্যায়ন নেই, মূল্যও নেই। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফসল বিবেচনায় নয়, তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতার বিবেচনায় নয়, তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কয়েকবার বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু তা আজো এই পেশাজীবী সংগঠনের কর্মরত পিওন-দারোয়ানের বেতনের সমান হয়নি। একজন পিওনের চাইতে শিক্ষকের বেতন কম। শিক্ষকদের এমন মূল্যায়ন আমাদের দেশে সর্বত্র দেওয়া যায়। এমন মূল্যায়ন পেলে পেশাকে নেশা করার সুযোগ কোথায়?

আমাদের শিক্ষার উন্নয়নে বহু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়ে থাকে। শিক্ষা প্রশাসনের সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান। শিক্ষার উন্নয়নে প্রধান নিয়ামক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। একপক্ষ বিতরণ করে অন্য পক্ষ গ্রহণ করে। সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায় যে উন্নয়ন প্রকল্পের এরাই সবচাইতে অবহেলিত থাকে। শিক্ষা সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে প্রশিক্ষণের একটা খাত থাকে। শিক্ষকদের দায়সারা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে প্রকল্পের টার্গেট পূরণ করা হয়। গত ১০ বছরে বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের তালিকা প্রকাশ করা হলে আমরা দেখতে পেতাম শিক্ষার উন্নয়নে তাদের ভূমিকা। শোনা যায় বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের ৯০ ভাগকেই আর শিক্ষা প্রশাসনে খুঁজে পাওয়া যায় না। শিক্ষার প্রশিক্ষণ নিয়ে পানির উন্নয়নে, রেলের উন্নয়নে, পরিবেশ উন্নয়নে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়, ইত্যাদি সেবায় নিয়োজিত থাকেন। শিক্ষা প্রশাসন শিক্ষার উন্নয়নে প্রতিনিয়ত পাঠ্যসূচির, পাঠ্যক্রমের, পাঠ্যদানের পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছে। এসবের সাথে শিক্ষকদের মিলিয়ে চলার উদ্যোগ নেই বললেই চলে। যেটার বেশি প্রয়োজন তার খোঁজ করার লোকের অভাব। এভাবে চললে পেশাকে নেশায় পরিণত করার সুযোগ হবে কীভাবে?

আমাদের দেশে শিক্ষা প্রশাসনের দুর্নীতি সর্বজনবিদিত। উপজেলা পর্যায় থেকে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত বিস্তৃত। কেউ কাউকে সামনে রেখে চলতে চায় না। সকল ধাপেই ব্যাপক প্রতিযোগিতা। শিক্ষা প্রশাসনের এই প্রতিযোগিতার বড় শিকার শিক্ষক। আদর্শ পরিবেশের মধ্যে লালন করা হলে আদর্শবান মনুষ পাওয়া যায়। শিক্ষকদের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিতে প্রথম প্রয়োজন আদর্শ পরিবেশ। যা আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। 

শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে এমপিওভুক্তি, বেতন উত্তোলন, ইত্যাদিতে শিক্ষা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যত কম লেখা যায় ততই মঙ্গল। জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকগুলোর দিকে তাকালে ভয়াবহতা অনুভব করা যায়। শিক্ষকদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানে শিক্ষা প্রশাসনের দুর্নীতির মানসে টানাহেচড়ার কারণে পরিবেশ আরো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রশাসন শিক্ষকদের জন্য একটা আদর্শ পরিবেশ গড়ে তুলুক। তারপর শিক্ষকদের আদর্শবান হওয়ার পরামর্শ দিলেই ব্যাপারটা শোভন হবে। সাধারণ মানুষ তখন শিক্ষকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবে। শিক্ষকরা একটা সরকারিসেবা যেখানে উৎকোচের বাইরে পায় না সেখানে সমাজ শিক্ষকদের দায়িত্ব কর্তব্যের কথা বলতে পারছে না। 

বর্তমানে সার্বিক অবস্থা চিন্তা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার মানসিক প্রস্তুতি দুই চার জনের মধ্যে দেখা গেলেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার কোনো মানসিক প্রস্তুতি সমাজে দেখা যায় না। ব্যতিক্রম নেই তা বলা যাবে না, তবে তা হিসেবের মধ্যে নেই। এখনো আমাদের সমাজে বাধ্য হয়ে শিক্ষকতায় এসে পেশাকে আন্তরিকভাবে অনেকেই ভালোবেসে ফেলে। এদের সংখ্যা একেবারে কম নয়। বস্তুত এই শিক্ষকরাই পুরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে টেনে নিয়ে চলেছে।

আমাদের সরকারগুলো বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকদের অবহলো করেই শিক্ষায় ধস নামিয়েছে। শিক্ষকদের বঞ্চিত করতে করতে ক্ষোভে দুঃখে আজ শিক্ষকরা পেশার প্রতি সম্মান রাখতে ভুলে গিয়েছে। ব্যবসায়ী মানসিকতার সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি শিক্ষকদের বিক্ষুব্ধ মন শিক্ষাকে পণ্যে পরিণত করতে সহায়ক হয়েছে। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে চলেছে। এই বঞ্চনাই শিক্ষকদের কোনো প্রাপ্তির কাল এলেই সামনে এসে দাঁড়ায়। তাই উত্তরণের পথ শিক্ষকদেরই বের করতে হবে। শিক্ষকদের জ্ঞানের আলোয় সমাজ আলোকিত, তাই শিক্ষকদের জ্ঞান দেওয়ার ধৃষ্টতা রাখি না। তবে দেশের শিক্ষকদের প্রতি নিবেদন রাখবো আর যেন শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত না করেন। আগামীতে এই শিক্ষার্থীরাই সামাজিক মানুষ হিসেবে শিক্ষকের সকল পাওনা বুঝে দেবার দায়িত্ব নেবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //