ভাষা ও মানুষ

কোনো ভাষা নিয়ে কথা এক নয়, অবিভাজ্য নয়। ভাষার কথা ঠিকঠাক মতো বলতে গেলে তার ভেতরের মানুষদের ‘উঁচু-নীচু’র কথাও আসে। এসব বিষয় শুধু বাংলা কেন, সব ভাষার মানুষদের অভিজ্ঞতাতেই আছে। যেসব ভাষার শাসকেরা ঔপনিবেশিক শাসক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন সেসব ভাষার অন্য মানুষদের অভিজ্ঞতায় ঔপনিবেশিক আধিপত্যের বিষয়টি না থাকলেও ভেতরের শ্রেণি-বর্ণ-লিঙ্গ ইত্যাদি ভেদ ও নিপীড়ন বৈষম্যের অভিজ্ঞতা আছে। একটি জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন অংশের ‘মুখের ভাষা’ ‘লেখার ভাষা’ বিশ্লেষণ করলে তাই সমাজে তাদের অবস্থানকেও চিহ্নিত করা যায়। অনেক দীর্ঘশ্বাস, অবদমিত অবস্থান, নিপীড়ন, অধস্তনতার ছাপ ভাষার শব্দভাণ্ডার থেকেই উদ্ধার করা যায়।

মানুষের ইতিহাসে বহুভাষার উদ্ভব হয়েছে যার মধ্যে অনেক ভাষা বিলুপ্তও হয়েছে। কোন কোন ভাষার বিকাশ ঘটেছে দ্রুত, কোন কোনটির বিকাশ রুদ্ধ থেকেছে। কেন কিছু ভাষার বিকাশ ঘটতে পেরেছে, অন্য কিছুর বিকাশ ঘটতে পারেনি, কিংবা কোনটি কেন আটকে থেকেছে বৃত্তে এই প্রশ্নগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো শুধু ভাষার প্রশ্ন নয়, ওই ভাষায় যারা কথা বলেন, লেখেন, ভাবেন তাদের ‘বিকাশ’, তাদের ক্ষমতা ও প্রভাবেরও প্রশ্ন। প্রশ্ন তারা যে সমাজের মধ্যে বসবাস করেন তার অবস্থানেরও।

ভাষা নিজে নিজে বিকশিত হয় না, ভাষা নিজে নিজে প্রভাবশালী হয় না, ভাষা নিজে নিজে দাপট ধারণ করতে পারে না। ভাষার ক্ষমতা, প্রভাব, দাপট সৃষ্টি হয় ওই ভাষাভাষীদের ক্ষমতা, দাপট ও প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে। জনগোষ্ঠীর ক্ষমতা, দাপট ও প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে তাদের সমাজ, অর্থনীতির প্রশ্নটি অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পর্কিত। বর্তমান বিশ্বে সবচাইতে ‘বিকশিত’ ভাষা ইংরেজি, সবচাইতে ক্ষমতাবান, সবচাইতে বেশি বিস্তার তার, প্রভাবও তার। এটি এখন সবচাইতে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক ভাষা যা আয়ত্ত্বে থাকলে একজনের পক্ষে বেঁচে থাকার সুবিধা তুলনামূলক বেশি। আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজির অনেক পর এখন যেগুলোর অবস্থান সেগুলোর মধ্যে আছে : স্প্যানিশ, জার্মান, ফ্রেঞ্চ। অর্থনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চীনা ভাষাও এখন ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠছে। 

এসব ভাষার এই যে ‘বিকাশ’, বিস্তার ও ক্ষমতা তা কী কারণে সৃষ্টি হয়েছে? তা কি ভাষার গঠনের কারণে, তার শৈলীর কারণে? ভাষাতাত্ত্বিকেরা এসব বিষয় নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। কারও কারও কাজ ভাষার গঠনকে অতিক্রম করে ভাষাধারণকারী মানুষদের সমাজ রাজনীতি অর্থনীতিকেও স্পর্শ করেছে। দেখা গেছে ভাষা নিজে নিজে তার মানুষদের ক্ষমতা দান করে না। মানুষের ক্ষমতাই ভাষাকে ক্ষমতাশালী করে তোলে। এবং ভাষার আধিপত্য কখনো কখনো এত প্রবল হয়ে উঠে যে, তার পেছনের রাজনীতি অর্থনীতি আর চোখে পড়ে না, ঝাপসা হয়ে যায়। 

ইউরোপীয় যে ভাষাগুলো বর্তমানে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃত সেগুলোর আদি দেশ ও ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে সেসব ভাষার বিস্তারের সঙ্গে ঔপনিবেশিক শাসনের বিস্তার সরাসরি সম্পর্কিত। উপনিবেশ স্থাপন ও বিস্তারে সবচাইতে এগিয়ে ছিল ব্রিটেন, সে কারণে ইংরেজি ভাষাও সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়েছে অনেক বেশি। ল্যাটিন আমেরিকায় স্প্যানিশদের আধিপত্য স্প্যানিশ ভাষার আধিপত্য তৈরি করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ফ্রেঞ্চ ভাষার ‘দ্বিতীয়’ ভাষা হিসেবে অবস্থান, তাদের ঔপনিবেশিক ইতিহাসের সাথেই সম্পর্কিত। সেজন্য এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকায় ইংরেজি ভাষার একক যে দাপট তার শুরু এসব অঞ্চলে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময়েই।

একটি জনগোষ্ঠীর ভাষার বিকাশ তার জীবন ও যাপনের সামগ্রিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ঘটতে থাকে। শিক্ষা, উৎপাদন ব্যবস্থা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও পরিবহণ সবকিছুই এর অন্তর্ভূক্ত। সর্বোপরি ওই নির্দিষ্ট ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠী কতভাবে অন্যান্য ভাষাভাষীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছে মিথষ্ক্রিয়া করছে সেটাও তাদের নিজেদের সচলতার উপর প্রভাব বিস্তার করে, তার শক্তি বৃদ্ধি করে।

ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক শাসন বিস্তারের মধ্য দিয়ে ইংরেজি ভাষা গেছে বহু দেশে, বহু ভাষাভাষীর মানুষের উপর শাসন-নিয়ন্ত্রণ বিস্তারের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে ইংরেজি ভাষা। এই কাজ করতে গিয়ে ইংরেজি ভাষা নতুন নতুন স্থানে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হতে শুরু করেছে অন্যদিকে ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চলে ব্যবহৃত শব্দ, উচ্চারণ, ধরন ইংরেজি ভাষায় প্রবেশ করে খোদ ইংরেজি ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে, অনেকক্ষেত্রে তাকে বদলেও দিয়েছে। সেজন্য বর্তমান ইংরেজি ভাষা অনুসন্ধান করলে সেখানে অন্য যেকোন ভাষার চাইতে অনেকবেশি বহুদেশীয়, বহুভাষীয় শব্দ পাওয়া যাবে। ইংরেজি ভাষা নিজেই এখন তাই দখল, দাপট এবং জবরদস্তির দলিলে পরিণত হয়েছে। 

লক্ষণ পাওয়া যায় পাল্টা দখলেরও। বর্তমানের ইংরেজি ভাষাও তাই অনেক বদলে গেছে- অনেক দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ঔপনিবেশিক শাসকদের ভাষা হিসেবে যতস্থানে গেছে সবস্থানেই অঞ্চলের একটি ছাপ ইংরেজি ভাষায় ঢুকে গেছে। কেনিয়ার লেখক নগুগি কিংবা ভারতের অরুন্ধতি বা প্রবাসী সালমান রুশদির লেখায় যে ইংরেজি পাওয়া যায় তার চেহারা ভিন্ন। একে কেউ কেউ বলেছেন পাল্টা দখল।

বাংলাভাষাতেও আমরা বিদেশি শব্দ পাই। কিন্তু বাংলাভাষায় বিদেশি শব্দের প্রবেশ, বলাই বাহুল্য, ইংরেজি ভাষায় বিদেশি শব্দের প্রবেশের ধরনের চাইতে গুণগতভাবেই ভিন্ন। বাংলা ভাষা অন্যদেশে গিয়ে বিদেশি শব্দ গ্রহণ করেনি বরঞ্চ বিদেশি ভাষাভাষী যারাই এদেশে এসেছেন এবং জনজীবনে প্রভাব ফেলেছেন তাদেরই ভাষার কিছু কিছু শব্দ বাংলাভাষায় প্রবেশ করেছে। আরবীয়রা এদেশে বাণিজ্য করতে এসেছেন অনেক আগেই, পারসীয় ও পশ্চিম এশিয় অনেকে এসেছেন ধর্ম প্রচার করতে কিংবা রাজ্য দখল করতে, ইংরেজরা এসেছেন প্রথমে বাণিজ্য ও পরে দখল করতে, তার আগে এসেছিলেন পর্তুগীজরা। এসব ভাষাভাষীর অনেক শব্দই বাংলাভাষায় স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে।

বাংলাভাষা একসময় সংস্কৃত পণ্ডিতদের কাছে অপভাষা বা ‘ছোটলোকের’ ভাষা হিসেবেই পরিগণিত হতো। বাংলাভাষা সম্পর্কে শাসকগোষ্ঠীর অন্তর্গত প্রভাবশালী ক্ষমতাবান পন্ডিতদের এই দৃষ্টিভঙ্গী আসলে সেই সময়ের বাংলাভাষী ‘ছোটলোক’ শ্রমজীবী বা নিম্নবর্গের মানুষদের প্রতি অলস-পরজীবী কিন্তু শক্তিমান শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গীর একটি খণ্ড অংশ। ত্রমান্বয়ে কীভাবে ইতরজনের বাংলা ভাষা আনুষ্ঠানিক একটি ভাষায় রূপান্তরিত হয় সেটা এক বিস্তারিত আলোচনার বিষয়। আমরা দেখি ঊনিশ শতকের মধ্যে বাংলা ভাষা শুধু বলার নয় লেখার ভাষা হিসেবেও প্রবল প্রতাপে দাঁড়িয়ে যায়।

‘ভদ্রলোকেরা’ অর্থাৎ ইংরেজ শাসনের মধ্যে দিয়ে গঠিত জমিদার-ব্যবসায়ী-রাজকর্মচারি সাহেব-বাবু-মিঞারা যখন বাংলা ভাষা তাদের ‘দরবারে’ গ্রহণ করলেন এবং তাদের জীবনযাপন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যখন বাংলা ক্রমে একটি ‘শুদ্ধ’ এবং ‘স্ট্যান্ডার্ড’ রূপ লাভ করতে থাকলো তখন আরেকটি ঘটনা ঘটতে থাকলো সবার অগোচরে। যে শ্রমজীবী ‘ছোটলোক’ ও নিম্নবর্গের মানুষদের ভাষা বলে বাংলা এতদিন অপমানিত হতো, তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার হতো সেই ভাষাকে আবার এই মানুষদের থেকে আলাদা করার, তাদের মুখের বুলির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা জোরদার হলো এবার। বাংলাভাষার বিকাশ ঘটতে থাকলো, কিন্তু একদিকে ‘শুদ্ধ’ বাংলাভাষা প্রান্তিক বাঙালীদের কাছে ইংরেজি বা সংস্কৃত ভাষার মতোই অন্যদের ভাষা শাসকদের ভাষা হিসেবে দাঁড়াতে থাকলো এবং তাঁদের বাংলা ভদ্রলোক বাঙালীর কাছে, অন্যভাষাভাষী শাসকদের মতোই, হয়ে দাঁড়ালো ‘ছোটলোক’, ‘চাষা’দের ভাষা। এই সংঘাত এখনো জারি আছে। 

বিশ্বায়নের কথা এখন খুব শোনা যায়। শুধু শোনা যায় কেন, বাস্তবেই বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত বিকাশের প্রক্রিয়ায় অনেক কাছাকাছি। স্থানিক/ভাষিক দূরত্ব কমার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সব ভাষা ও স্থানের মানুষের ক্ষেত্রে ফলাফল এক হচ্ছে না। বিশ্বায়নের জোরদার প্রক্রিয়া এগুচ্ছে দু’ভাবে। প্রথমত কিছু কিছু জাতি ও ভাষার মানুষ পরস্পরের ভাষা বোঝার চেষ্টা করে পরস্পরের কাছে আসছে; দ্বিতীয়ত দুর্বল কিংবা নিজেদের স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় অনিচ্ছুক কিছু কিছু জাতি ও ভাষার মানুষদের হজম বা অদৃশ্য করে দখল করছে প্রবল জাতি ও ভাষার শাসকেরা।

বলাবাহুল্য বাংলাদেশের ঘটনা দ্বিতীয়টি। বিশ্বায়ন নামে যা হচ্ছে তাতে টিকে থাকছে তারাই যারা নিজেদের শেকড়কে ধরে অগ্রসর হচ্ছে-আর ভেসে যাচ্ছে তারাই যারা শেকড়কে অস্বীকারের মধ্য দিয়ে গর্ব অনুসন্ধান করছে। বলাই বাহুল্য, ভেসে যেতে যেতে আনন্দে উদ্বেল হচ্ছে বাঙালী উচ্চ ও মধ্যবিত্তের উল্লেখযোগ্য অংশ। 

জীবন্ত ভাষা কোথাও থেমে যায় না, তার মধ্যে গতিশীলতা থাকেই। এটা ভাষার সজীবতার লক্ষণ। জীবন্ত ভাষার নমনীয়তাও থাকে বেশি, গ্রহণ করবার ক্ষমতা থাকে অনেক। আগেই বলেছি, ভাষার জীবন এমনি এমনি তৈরি হয় না; সেই ভাষা যেই মানুষদের ওপর ভর করে থাকে, সেই মানুষেরা যেই জীবন ও উৎপাদন ব্যবস্থায় জড়াজড়ি করে থাকেন তার সবকিছু মিলেই জীবন্ত একক তৈরি হয়। কোন কোন ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণা করে দেখতে চেয়েছেন আদিতে সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষাভাষীর অভিন্ন সীমিত শব্দভাণ্ডার, অভিন্ন ভাবপ্রকাশের ধরন। অতীতে যে মাত্রাতেই থাকুক না কেন মানুষের ভবিষ্যৎ অনেক বিকশিত অভিন্নতার দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। ভৌগোলিক ভাষাগত বিচ্ছিন্নতা কেটে যাচ্ছে-মানুষ পরস্পরের কাছে আসছে সাংস্কৃতিকভাবে। প্রযুক্তিগত বিকাশ মানুষকে বৈশ্বিক ঐক্য গড়বার সম্ভাবনার সামনে এনেছে। প্রযুক্তিই এখন এমন অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম যখন মানুষ নিজ নিজ ভাষায় কথা বলবে, অন্যজন তার তার ভাষায় কথাগুলো বুঝে নেবে। নিজ নিজ ভাষায়, কোন রকম হীনমন্যতা ছাড়াই, খুব সহজভাবে বিচরণ করেও তখন মানুষ অন্য সকল মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে।

কিন্তু সেই প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা পুরোমাত্রায় কাজে লাগাতে গেলে তো বর্তমানের মতো নয় প্রকৃত অর্থেই বিশ্বায়ন লাগবে। বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষের আয়ের সমান সম্পদ ৩৫৮ জনের হাতে কেন্দ্রীভূত হলে কিংবা বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষের আয়ের সমান সম্পদ মানব জাতি ধ্বংসের মতো সমরাস্ত্র উৎপাদনে ব্যয় করলে কিংবা বিশ্বের কেবলমাত্র শতকরা ৫ ভাগ মানুষের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে তো প্রকৃত মানবিক ঐক্য সম্ভব হবে না। সম্পদের কেন্দ্রীভবন, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন ও ধ্বংসাত্মক খাতের বিকাশ যখন বিশ্বব্যবস্থার মূল প্রবণতা হয় তখন বেশিরভাগ মানুষের ভাষাও বাধার সম্মুখীন হয়।

একদিকে সমাজের ভেতর বৈষম্য আর নিপীড়ন বাড়তে থাকবে, জাতিগতভাবে গভীর হীনমন্যতা লালন করা হবে, সুযোগ পেলে দুর্বল জাতিগুলোর ওপর দমন-পীড়ন চলবে আর ভাষা নিজে নিজে স্বমহিমায় দাঁড়াবে এটা কী করে হয়? বাংলাভাষার ভবিষ্যৎ তাই ভবিষ্যৎ সেই বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কিত যে বিশ্বে সৃজনশীল বিভিন্ন জনগোষ্ঠী তাদের নিজ নিজ ভাষা নিয়ে বিশাল ঐক্যের জায়গা তৈরি করবে। সেখানে কেউ নিজ ভাষা বা জাতিগত পরিচয় নিয়ে আলগা ফুটানি করবে না আবার কেউ মন ছোটও করে রাখবে না। এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে না, বলাই বাহুল্য। বাংলাভাষার মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা না হলে ভাষার মর্যাদা কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে? 


লেখক: অর্থনীতিবিদ, সদস্য সচিব, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //