মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু

মুক্তিযুদ্ধ কি শুধু বাঙালি জাতির যুদ্ধ ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি, কারণ মুক্তিযুদ্ধে কিছু মানুষ নিজেদের অবস্থান থেকে এমন অবদান রেখেছেন, ভয়ানক সংকটপূর্ণ সময়ে জীবন বিপন্ন করে কাজ করেছেন, যা বলে শেষ করা যাবে না।

মজার ব্যাপার হলো, এরা কেউই বাংলাদেশের মানুষ নন। তারা অন্যায়ের জবাব দিতে গিয়ে কখন যে আমাদের যুদ্ধে জড়িয়ে গেছেন তা নিজেরাও বলতে পারবেন না। যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া এই মানুষগুলো আমাদের পরম বন্ধু, পরম মিত্র, শ্রদ্ধার পাত্র। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তিকে অনেক গুণে বলশালী করেছেন, রণাঙ্গনের সশস্ত্র যোদ্ধাদের উদ্দীপনা জুগিয়েছেন।

এই লেখার মাধ্যমে আজ তাদের কয়েকজনের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।


ইন্দিরা গান্ধী
মুক্তিযুদ্ধে যিনি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন, পুরো সময়জুড়ে বিপন্ন বাঙালিদের অভিভাবক হিসেবে থেকেছেন, ১ কোটি উদ্বাস্তুকে তার দেশে শুধু আশ্রয় নয়- থাকা-খাওয়া-চিকিৎসাসহ অন্যান্য সাহায্যও করেছেন, এমনকি বীরের জাতি বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং দেওয়ারও সু-ব্যবস্থা করেছেন তিনি হলেন ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। 

একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তাই করেছিলেন তিনি। যে স্বাধীনতা আমরা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে পেয়েছি, তার দেশের সহায়তা না পেলে হয়তো আমাদের আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতো। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন এবং অবদান রেখেছেন, সেজন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশ তাকে সর্বোচ্চ মরণোত্তর সম্মান জানিয়েছে।

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
একজন দিলেন আশ্রয়, আরেকজন লিখলেন অসাধারণ দুটি গান। বলছিলাম একাত্তরের অনুপ্রেরণা গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় দারুণ দুটি গান রচনা করেছেন। সেই দুটি গানের একটি- ‘শোনো একটি মুজিবুরের থেকে/লক্ষ মুজিবুরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি/আকাশে-বাতাসে ওঠে রণি:/ বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ’। অন্যটি ‘মা গো ভাবনা কেন/আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে/তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি/তোমার ভয় নেই মা আমরা/ প্রতিবাদ করতে জানি।’

এই দুটি গান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নয়টি মাস আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যত গান লেখা হয়েছে তারমধ্যে শ্রেষ্ঠ গান হলো এটি এবং এই একটি গানে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে পাওয়া যায়, আর কোনো গানে সেভাবে পাওয়া যায় না। মজার ব্যাপার হলো, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও এই গান দুটির আবেদন এখনো রয়ে গেছে।

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার এক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। আমার বাড়ি ছিল পাবনায়। ১৯৪৭ সালে ভারতে চলে আসি। কিন্তু আমার মন পড়ে ছিল বাংলাদেশে। তাই গান দুটি লিখে সেই জন্মস্থানের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করেছি। মাতৃভূমির প্রতি কি অগাধ ভালোবাসা! 

সাইমন ড্রিং
শুধু কি গান? একাত্তরে লেখালেখির যে কত অবদান ছিল তা বর্ণনাতীত। মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর নির্বিচারে অত্যাচার আর গণহত্যা চালাচ্ছিল, সেই সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণহত্যা ঘুরে ঘুরে দেখেছেন সাংবাদিক সাইমন ড্রিং। যিনি একাত্তরের পরম বন্ধু।

১৯৭১ সালে সাইমন লন্ডনের দৈনিক দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফার রিপোর্টার ছিলেন। লন্ডনের সদর দপ্তর থেকে ফোন করে তাকে বলা হলো, পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। সেখানে বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে, তুমি ঢাকা যাও। সাইমন ঢাকায় এসে পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলেন। ২৫ মার্চ গণহত্যার সময় সকল বিদেশি সাংবাদিকদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সাইমনও তাদের মধ্যে ছিলেন। ২৭ মার্চ সকালে তিনি হোটেলের কর্মচারীদের সহযোগিতায় ছোট্ট একটি মোটরভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল, রাজারবাগ পুলিশ ব্যারাক ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা।

ঘুরে দেখা সেই দৃশ্য তিনি সহ্য করতে পারেননি। তাই লিখে ফেলেন ভয়ানক এক প্রতিবেদন। ট্যাংকস ক্র্যাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান শিরোনামের বিখ্যাত সেই প্রতিবেদন লন্ডনের দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ৩০ মার্চ ছাপা হয়। মূলত এই প্রতিবেদনের পরপরই সারা পৃথিবীর মানুষ জানতে পারে পাকিস্তানিরা এই দেশের নিরপরাধ মানুষের ওপর কিভাবে অত্যাচার, নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়েছে।

জর্জ হ্যারিসন
‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শব্দটি শুনলেই দু’জন মানুষের মুখ ভেসে ওঠে। একজন শাস্ত্রীয় সংগীতের গুরু প-িত রবিশঙ্কর, আরেকজন ষাটের দশকে বিশ্বে সাড়াজাগানো বিখ্যাত ব্রিটিশ ব্যান্ড বিটলসের অন্যতম সদস্য জর্জ হ্যারিসন। এই দু’জন আমাদের একাত্তরের পরম বন্ধু।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। অগণিত মানুষ শহীদ হতে লাগল, কোটি মানুষ ভিটেছাড়া। জন্মভূমির মানুষের জন্য পণ্ডিত রবিশঙ্করের প্রাণ কেঁদে উঠল। দেরি না করে ছুটে গেলেন জর্জ হ্যারিসনের কাছে। বললেন, যুদ্ধে আক্রান্ত অসহায়দের জন্য কিছু করতে হবে। দুজনে ঠিক করলেন, বাংলাদেশের মানুষের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহের জন্য একটি কনসার্ট করা হবে। ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হলো সাড়া জাগানো সেই কনসার্ট ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।

কনসার্টের শুরুতে বাংলাদেশের পল্লীগীতির সুরে ‘বাংলা ধুন’ নামে একটা পরিবেশনা করেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর। আর শেষে নিজের লেখা ও সুরে ৪০ হাজার মানুষের সামনে জর্জ হ্যারিসন গাইলেন সেই বিখ্যাত গান, ‘বন্ধু আমার এলো একদিন/চোখ ভরা তার শুধু হাহাকার/বলল কেবল সহায়তা চাই/বাঁচাতে হবে যে দেশটাকে তার/ বেদনা যদিবা না-ও থাকে তবু/জানি আমি, কিছু করতেই হবে/সকলের কাছে মিনতি জানাই/আজ আমি তাই/কয়েকটি প্রাণ এসো না বাঁচাই/বাংলাদেশ, বাংলাদেশ/’। এই একটি গানের মধ্যদিয়ে সারাবিশ্বের মানুষ জেনে গেল বাংলাদেশের কথা। 

লিয়ার লেভিন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের চিত্র ধারণ করেছেন লিয়ার লেভিন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার চিত্রগ্রাহক ও পরম বন্ধু। লিয়ার লেভিন একাত্তরে এসেছিলেন বাংলাদেশে, নিজের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে ‘বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা’ নামক একটি দলের সঙ্গে সারাদেশে ঘুরে-ঘুরে ভিডিও করেছেন। তার দৃশ্যপটে উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধের বিরল সব চিত্র।

শিল্পীদের সঙ্গে থেকে তিনি সেই সময় প্রচুর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করবেন। অর্থের অভাবে তার সেই ইচ্ছে আর পূরণ হয়নি। লিয়ার লেভিন অত্যন্ত যত্ন সহকারে সেগুলো তুলে রেখেছিলেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। দীর্ঘ বিশ বছর পর তার অপেক্ষার অবসান ঘটে। বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ নিউ ইয়র্কে তাকে খুঁজে বের করেন। তার তৈরি ৭২ মিনিটের ফুটেজ দিয়ে ‘জয় বাংলা’ ও ‘মুক্তির গান’ শিরোনামে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, যা মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত।

চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ তার নিবন্ধ সংকলন ‘চলচ্চিত্র যাত্রা’র ‘লিয়ার লেভিন: আমাদের মুক্তির সারথী’ নামক প্রবন্ধে লিখেছেন- “শুধু লিয়ার লেভিনের ফুটেজ নয়, মুক্তির গানের জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, কানাডা, ফ্রান্স, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেগুলো দেখে মনে হয়েছে লিয়ারের কাজের সামনে লাখো ঘণ্টার ফুটেজও কিছু না। তার ফুটেজ ও সহযোগিতায় ‘মুক্তির গান’ এর অস্থিমজ্জা দাঁড়িয়েছে।”

অ্যালেন গিনসবার্গ
একাত্তরের ভিডিও ফুটেজ দিয়ে যেমন ‘জয় বাংলা’ ও ‘মুক্তির গান’ চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, তেমনি একাত্তরের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাড়াজাগানো একটি কবিতাও লেখা হয়। মুক্তিযুদ্ধের এই কবিতার অনন্য রূপকার হলেন কবি অ্যালেন গিনসবার্গ। যিনি জনপ্রিয় মার্কিন কবি।

১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, অ্যালেন গিনসবার্গ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উদ্বাস্তু শিবিরগুলো পরিদর্শন করতে কলকাতা থেকে যশোর রোডে বেরিয়ে পড়েন। শরণার্থীদের মৃত্যুময় দৃশ্যপটের মধ্যে বন্যার পানি ভেঙে ঢুকে পড়েন মার্কিন এই কবি। শরণার্থীদের তাঁবুতে তাঁবুতে তিনি ঘুরেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেখেছেন খাদ্যের অভাবে কীভাবে ধুঁকছে লাখ লাখ মানুষ, মরণাপন্ন বাবা-মায়ের জন্য ওষুধ না পেয়ে কীভাবে মাথা কুটছে সন্তান, বমি করতে করতে কীভাবে মরছে শিশুরা। এইসব স্মৃতিতে নিয়ে তিনি ফিরে গেলেন নিউ ইয়র্কে। এরপর অনেক সময় কেটে যায়। নভেম্বরের ১৪ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত এ অভিজ্ঞতা একটি কবিতায় রূপ দেন। ভিলেজ ভয়েস ও নিউ ইয়র্ক টাইমসে ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ নামে কবিতাটি প্রকাশিত হয়। কবিতাটি প্রকাশের পর হুলস্থূল পড়ে যায় সর্বত্র।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “শরণার্থী শিবিরে ঘুরে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল আমার। অক্টোবরে নিউইয়র্কে ফিরে গেলাম। প্রতিদিনই ভাবতে থাকি, বাংলাদেশের জন্য আমি কী করতে পারি। হঠাৎ মাথায় এল, আমি কবিতা লিখতে তো পারি। লিখেও প্রতিবাদ করা যায়। কয়েক দিন ঘরে থেকে লিখলাম একটি দীর্ঘ কবিতা- ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’। আমার ‘বিক্সবি ক্যানিয়ন টু যশোর রোড’ নামের বইটিতে কবিতাটি ছাপা হয়েছে।”

লুসি হল্ট
একাত্তরের যে ক’জন বিদেশি বন্ধুর কথা বলেছি, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তিনি যেদিন জন্মেছেন সেদিন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। শুনে অবাক লাগছে? অবাক হলেও ঘটনা সত্যি। বলছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সেবাদানকারী বন্ধু লুসি হল্টের কথা। ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

ব্রিটেনের নাগরিক লুসি বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৬০ সালে। সেবার প্রথম বাংলাদেশে এসে যোগ দেন বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনে। এখানে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পড়াতেন। ১৯৭১ সালে লুসি যশোর ক্যাথলিক চার্চ স্কুলে ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হলে চার্চের সহকর্মীরা খুলনা চলে যান। কিন্তু লুসি যুদ্ধাহতদের সেবা করার ইচ্ছায় যোগ দেন যশোরের ফাতেমা হাসপাতালে। লুসি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি ডাক্তার নই, কিন্তু তখন অনেককে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। ডাক্তাররাও তখন আগের মতো হাসপাতালে আসতেন না। ডাক্তারও অবশ্য বেশি ছিল না।”

লুসি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত। ১৯৭১ সালে যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন ব্রিটেনে নিজ বন্ধু ও স্বজনদের চিঠি লিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর লুসি আর নিজ দেশে ফিরে যাননি। কর্মজীবন থেকে ২০০৪ সালে অবসরে নেওয়ার পর লুসি এখনো বাংলাদেশে থেকে দুস্থ শিশুদের মানসিক বিকাশ ও ইংরেজি শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি শিশুদের জন্য তহবিলও সংগ্রহ করছেন। বাংলাদেশের প্রতি লুসি ভালোবাসা দেখে বর্তমান সরকার লুসি হল্টকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেন।

এইরকম মহান কিছু বিদেশি বন্ধুদের কল্যাণে বাংলাদেশ আজকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছে। নিজেদের অধিকার আদায় করতে পেরেছে। এইসব বিদেশি বন্ধুদের ঋণ আমরা কখনোই শোধ করতে পারব না। তাই বার বার স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই।

লেখক: বিনয় দত্ত, 
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //