এই প্রথম উত্তর কোরিয়ায় কোনো মার্কিন সেনা আটক হয়েছেন। কিম জং-উনের প্রশাসন জানিয়েছে, ওই সেনাকে লাগাতার জেরা করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে যে জবানবন্দি মিলেছে, তা-ও সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া হয়েছে।
আটক মার্কিন সেনার নাম ট্র্যাভিস কিং। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, ট্র্যাভিস উত্তর কোরিয়ায় থাকতে চান। আমেরিকা তার পছন্দ নয়। উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনকে তিনি জানিয়েছেন, বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের দেশ আমেরিকা। তার মতো কৃষ্ণবর্ণের মানুষদের এখনো আমেরিকায় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বাঁচতে হয়। সে কারণেই আর দেশে ফিরে যেতে চান না ট্র্যাভিস। তিনি উত্তর কোরিয়ায় থাকতে চান।
বস্তুত, এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ট্র্যাভিস। একটি পাবে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর পুলিশের সঙ্গে লড়াই হয় তার। দক্ষিণ কোরিয়ায় হাজতবাস শেষ করে তিনি বিমানবন্দরে যান। সেখানে তার টেক্সাসের উড়ান ছিল। আমেরিকায় পৌঁছে তার সেনাবাহিনীর আদালতে বিচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টেক্সাসের উড়ান না ধরে প্রাইভেট একটি ট্য়ুরে যোগ দেন। তাদের সঙ্গে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যবর্তী ডিমিলিটারাইজড জোনে ঢুকে পড়েন তিনি। সেখান থেকেই অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় ঢোকেন এই মার্কিন সেনা।
এই প্রথম কোনো মার্কিন সেনা এভাবে অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে ধরা পড়লেন।
পেন্টাগন অবশ্য জানিয়েছে, ট্র্যাভিসের সুস্থতাই তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর কোরিয়া সংবাদমাধ্যমকে যা-ই বলুক, তারা চায় ট্র্যাভিস দ্রুত দেশে ফিরে যান। এবং সে জন্য সমস্ত চ্যানেলে আলাপ আলোচনা চলছে বলে পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে। ট্র্যাভিসকে অ্যামেরিকায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য পেন্টাগন সমস্ত ব্যবস্থা করবে বলেও জানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়া ট্র্যাভিসের বিষয়ে যা বলছে, তা আদৌ সত্য কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, গত ১৮ জুলাই টেক্সাসের বিমান না ধরে ট্র্যাভিস উত্তর কোরিয়ার দিকে গেছিলেন। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : উত্তর কোরিয়া আটক মার্কিন সেনা বিশ্ব
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh