রিপাবলিক শিবিরে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কারা

আগামী ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন নিয়ে লড়াই পর্বটা বেশ জমে উঠতে যাচ্ছে। এদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নির্বাচন করবেন সে বিষয়ে বহুবার বলে আসছেন। আর এবার তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো বড় মাপের আরও দু’জন প্রতিদ্বন্দ্বীও মাঠে নেমে পড়েছেন যাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। 

সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রার্থী হওয়ার মনোভাবও ঘোষণা করেছেন তিনি। আর নিউজার্সি রাজ্যের সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টিও শিগগির এ ঘোষণা দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, জনমত জরিপে এখনো এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আমলে মাইক পেন্স ছিলেন তারই ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে বিশ্লেষকদের মতামত- রিপাবলিকান শিবিরে চূড়ান্ত প্রার্থী শেষ পর্যন্ত যে-ই হোন,  লড়াইটা হবে এক তিক্ত প্রতিযোগিতা। আর যিনি কিনা এই দৌঁড়ে জিতবেন তাকে খুব সম্ভবত ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে মোকাবেলা করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবার দেখে নেওয়া যাক- রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী তালিকায় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কারা রয়েছেন।

মাইক পেন্স
মাইক পেন্স তার প্রচারাভিযান শুরুর আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জুন। তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন বিশ্বস্ত ডেপুটি হিসেবে। কিন্তু ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার জেরে সেই সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়।

মাইক পেন্সের পিতা সৈনিক হিসেবে কোরিয়ান যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর হয়ে অংশ নিয়েছিলেন। পেন্স রেডিওতে একজন টক শো-র উপস্থাপক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন একসময়।

পরে ২০২০ সালে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে সদস্য নির্বাচিত হয়ে এ পদে ছিলেন ২০১৩ সাল পর্যন্ত। তিনি রিপাবলিক শিবিরের অভ্যন্তরীণ টি পার্টি আন্দোলনের সাথেও জড়িত ছিলেন। মূলত তিনি নিজেকে বর্ণনা করেন একজন নীতিবান রক্ষণশীল হিসেবে।

এর আগে পেন্স ইন্ডিয়ানা রাজ্যের গভর্নর ছিলেন ২০১৩-১৭ সময়কালে। তার আমলে রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের কর ছাঁটাই, ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা ও গর্ভপাতের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ সংক্রান্ত দুটি বিল পাস হয়।

৬৩ বছর বয়স্ক মাইক পেন্সকে ২০১৬ সালে ট্রাম্প তার রানিং মেট করার পর তার পক্ষে ভোট সংহতের ক্ষেত্রে এক বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। স্বাভাবজাত বৈশিষ্ট্যের দিক হতে মাইক পেন্স একজন মৃদুভাষী ও ধীর-স্থির প্রকৃতির লোক। যা ট্রাম্পের সম্পূর্ণ বিপরীত।

ক্রিস ক্রিস্টি
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রথম রিপাবলিকান প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হবে নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে। আর এখান থেকেই নির্বাচনে তার প্রার্থিতার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে যাচ্ছেন ক্রিস ক্রিস্টি।

ক্রিস্টি নিউজার্সি রাজ্যের সাবেক গভর্নর। এর আগে ২০১৬ সালেও রিপাবলিকান প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন কিন্তু সফল হননি তিনি। আর এরপর তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দেওয়া শুরু করেন।

সেই নির্বাচনে বিজয়ী ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের সময় তার ট্রানজিশন টিমের প্রধান ছিলেন ক্রিস্টি। কিন্তু ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গার পর ক্রিস্টি পরিণত হয়েছিলেন ট্রাম্পের একজন কড়া সমালোচক হিসেবে।

এপ্রিলে নিউ হ্যাম্পশায়ারের টাউন হলে ক্ষুরধার বক্তব্যে ক্রিস্টি বলেছিলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন টিভি স্টার, এর চেয়ে বেশি কিছু না, কমও না। আপনাদের আমি বলে রাখতে চাই, তাকে যদি আবার হোয়াইট হাউসে ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে আসল অনুষ্ঠানের চেয়ে তার পুনঃপ্রচার খারাপ হবার মতোই একটা ঘটনা ঘটবে।’

ক্রিস্টি ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নিউজার্সি রাজ্যের গভর্নর ছিলেন। তবে একটি সেতুর আর্থিক ইস্যুতে জড়িয়ে রাজনৈতিক জীবনের ওপর ছায়া নেমে আসে। 

তিনি গভর্নর নির্বাচিত হওয়ার আগে ২০০২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের অধীনে নিউজার্সির শীর্ষ কৌঁসুলি ছিলেন।

রস ডেসান্টিস
ফ্লোরিডার বর্তমান গভর্নর রস ডেসান্টিস অনেক দিন ধরে চেষ্টা করে আসছেন ট্রাম্পের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে। মনে করা হয়ে থাকে তিনিই হচ্ছেন একমাত্র প্রার্থী যিনি মুখোমুখি লড়াইয়ে ট্রাম্পকে হারাতে সবচেয়ে বেশি সক্ষম।

এর আগে ট্রাম্পের সম্মতিতেই গভর্নর হয়েছিলেন ডেসান্টিস। গত বছরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ১৫ লাখেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়ে পুনঃনির্বাচিত হন। ফ্লোরিডা রাজ্যে গত চার দশকের মধ্যে এত বড় ব্যবধানে কেউ পুনঃনির্বাচনে জয়ী হননি।

৪৪ বছর বয়সী ডেসান্টিস হার্ভার্ড ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং মার্কিন রাজনীতিতে তাকে এখনো একজন নবাগত বলেই মনে করা হয়। একসময় মার্কিন নৌবাহিনীতেও কাজ করেছেন ডেসান্টিস এবং সেময় কিছুদিনের জন্য ইরাকেও ছিলেন তিনি। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যও ছিলেন। পরে ২০১৯ সালে গভর্নর হওয়ার পর দ্রুত লাইমলাইটে চলে আসেন।

টিম স্কট
সিনেটর টিম স্কট হচ্ছেন একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ যিনি মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ ও নিম্ন উভয় কক্ষেই সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সিনেটে ২০১৩ সাল থেকে সাউথ ক্যারোলাইনার প্রতিনিধিত্ব করেছেন ৫৭ বছর বয়স্ক এই টিম স্কট।এ রাজ্যে তিনি কয়েক দশক ধরে রাজনীতি করে আসছেন। 

মে মাসে তিনি রিপাবলিকান মনোনয়নের লড়াইয়ে নামেন নগদ প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলার হাতে নিয়ে– যা তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে অনেক বেশি। তার শ্লোগান হচ্ছে ‌‘পিছিয়ে পড়তে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া’ এবং আমেরিকার ‘মহত্ত্বের সংস্কৃতিকে’ পুনরুজ্জীবিত করা। টিম স্কটের দাদা ছিলেন একজন তুলা ক্ষেত শ্রমিক ও ‘একক মায়ের’ (সিংগেল মাদার) সন্তান। 

নিকি হ্যালি
নিকি হ্যালি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে ঘোষণা করেন ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি। নিকি হ্যালি হলেন ট্রাম্পকে মোকাবিলা করার ইচ্ছা প্রকাশকারী প্রথম গুরুত্বপূর্ণ রিপাবলিকান প্রার্থী। ৫১ বছর বয়স্কা মিজ হ্যালিকে এক সময় রিপাবলিকান পার্টির তরুণ সম্ভাবনাপূর্ণ নেতাদের মধ্যে অন্যতম বলে মনে করা হতো। 

নিকির জন্ম সাউথ ক্যারোলিনায় এবং তিনি পাঞ্জাবি শিখ অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান। ২০০৯ সালে তিনি দেশের সবচেয়ে কমবয়েসি গভর্নর হন। একসময় সাউথ ক্যারোলাইনার রাজধানী থেকে কনফেডারেট পতাকা অপসারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি সবার নজর কাড়েন ২০১৫ সালে।

২০১৬ সালে বলেছিলেন, তিনি ট্রাম্পের ভক্ত নন, তবে ট্রাম্প যখন তাকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মনোনীত করেন তখন তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন। তার মেয়াদের সময় একটি আলোচিত ঘটনা ছিল নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে ফিলিস্তিনি দূত ভাষণ দেওয়ার সময় নাটকীয়ভাবে তার কক্ষ ত্যাগ।

বিবেক রামস্বামী

৩৭ বছর বয়স্ক বিবেক রামাসোয়ামী গত ফেব্রুয়ারিতে ফক্স নিউজ চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে প্রার্থীতার ঘোষণা করেন। তবে তাকে একজন ‘ডার্ক হর্স’ প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই ভারতীয়-আমেরিকানের কোন পূর্ব রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। 

তিনি একজন বায়োটেক উদ্যোক্তা, এবং ফক্স নিউজের টাকার কার্লসনের অনুষ্ঠানে তাকে নিয়মিত দেখা যেতো। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি দর্শক নন্দিত টিভি অনুষ্ঠান। বিবেক রামস্বামী হার্ভার্ড ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট। তিনি “ওক ইনকর্পোরেটেড: ইনসাইড কর্পোরেট আমেরিকা’স সোশ্যাল জাস্টিস স্ক্যাম” নামে একটি বইও লিখেছেন।

আসা হাচিনসন
আসা হাচিনসন দুই মেয়াদে আরকানসাস রাজ্যের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তার প্রার্থিতার কথা ঘোষণা করেন এপ্রিলে এবিসি টিভির এক সাক্ষাৎকারে। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হবার পর ট্রাম্পের উচিত প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানো।

হাচিনসনের বয়স ৭২ বছর। তিনি একজন সাবেক এটর্নি ও ব্যবসায়ী। রোনাল্ড রিগান প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তিনি দেশের সবচেয়ে কমবয়স্ক ফেডারেল প্রসিকিউটর হয়েছিলেন।  এছাড়াও আসা হাচিনসন দুই মেয়াদে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের অভিশংসনের প্রক্রিয়াতেও তিনি একজন কৌঁসুলি ছিলেন।

ল্যারি এল্ডার
৭১ বছর বয়সী ল্যারি এল্ডার পেশায় একজন আইনজীবী ও টক রেডিও উপস্থাপক। এর আগে ২০২১ সালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। লস এঞ্জেলেসের মধ্যদক্ষিণ এলাকায় বেড়ে উঠা এল্ডার ডেমোক্র্যাটদের বিভিন্ন এজেন্ডা ও কাঠামোগত বর্ণবাদের কড়া সমালোচক।

গ্লেন ইয়ংকিন
২০২১ সালে রাজনীতিতে নবাগত হলেও ভার্জিনিয়ার গভর্নর নির্বাচনে একজন ৪০ বছর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছেন গেন ইয়ংকিন। এর আগে তিনি ২৫ বছর কার্লাইল গ্রুপ নামে একটি প্রাইভেট ইকুইটি ফার্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

সে নির্বাচনের পর থেকে ৫৫ বছর বয়স্ক ইয়ংকিন কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে স্কুলে ক্রিটিক্যাল রেস থিওরি নামের এক বিতর্কিত বিষয় পড়ানো নিষিদ্ধের পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচিত হয়েছেন। যদিও একবার বলেছিলেন, তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না কিন্তু এখন প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন বলে খবর বেরিয়েছে। 

পেরি জনসন
পেরি জনসন ৭৫ বছর বয়স্ক একজন ব্যবসায়ী যিনি গত বছর মিশিগান রাজ্যের গভর্নর পদে প্রার্থী হতে গিয়েও যোগ্য বলে বিবেচিত হননি। গত মার্চে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যোগ দেন জনসন।

আরো সম্ভাব্য প্রার্থী যারা
ডগ বারগাম: বারগাম একজন সাবেক সফটওয়্যার নির্বাহী এবং বর্তমানে নর্থ ডাকোটার গভর্নর। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে টিভি বিজ্ঞাপনের শুটিংও করেছেন তিনি।

ফ্রান্সিস সুয়ারেজ: মিয়ামির মেয়র যার জন্ম কিউবাতে। তিনি হচ্ছেন প্রথম মার্কিন রাজনীতিবিদ যিনি ক্রিপটোকারেন্সিতে তার বেতন নেন। তিনিও প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে।

উইল হার্ড: সাবেক টেক্সাস কংগ্রেসম্যান যিনি ২০২১ সালে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যপদ থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি জানান, ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে আবার আরেকটি নির্বাচনী যুদ্ধ হোক-  তা খুব কম মার্কিনীরাই চায়। 

লিজ চেনি: সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ একসময় রিপাবলিকান পার্টির একজন উদীয়মান তারকা ছিলেন, কিন্তু কট্টর ট্রাম্প বিরোধিতার কারণে ২০২১ সালে তিনি তার কংগ্রেস আসনটি হারান।

গ্রেগ অ্যাবট: টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট আমেরিকার অভিবাসন, গর্ভপাত এবং বন্দুক সংক্রান্ত আইনের মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় বিতর্কে অংশ নিয়ে আলোচিত হয়েছেন। সূত্র: বিবিসি

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //