ইসরায়েলি চরদের হাতে আল কায়েদা নেতা মাসরি ইরানে নিহত

আল কায়েদার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ইরানে গত আগস্ট মাসে ইসরায়েলি গুপ্তচরদের হাতে নিহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আবু মোহাম্মদ আল মাসরি নামে বেশি পরিচিত আবদুল্লাহ আহমেদ আবদুল্লাহকে গত ৭ অগাস্ট তেহরানের রাস্তায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই ইসরায়েলি চর গুলি করে হত্যা করে।     

আল কায়েদার ওই শীর্ষ নেতা ১৯৯৮ সালে আফ্রিকায় অবস্থিত দুটি মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ধরা হয়। আল-মাসরিকে আল কায়েদার বর্তমান নেতা আয়মান আল-জাওয়াহরির উত্তরসূরি বলে মনে করা হতো।

তবে টাইমস জানিয়েছে, মিশরীয় বংশোদ্ভূত এই জঙ্গিকে হত্যার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এখনো স্পষ্ট নয়। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে ইরানে মাসরি ও আল-কায়েদার অন্যান্য কর্মীদের সন্ধান করে আসছিল। তবে আল কায়েদা এখনো মাসরির মৃত্যুর ঘোষণা দেয়নি। এছাড়া ইরানি কর্মকর্তারাও এটি প্রকাশ করেননি ও কোনো সরকার প্রকাশ্যে দায় স্বীকার করেনি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আল-কায়েদার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নেতা মাসরির সাথে তার মেয়েকেও হত্যা করা হয়েছে, যিনি এই জঙ্গি সংগঠনটির সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের স্ত্রী।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালান ওসামা বিন লাদেন। এরপর ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন অভিযানে নিহত হন তিনি।

টাইমস নাম প্রকাশ না করে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে জানায়, ২০০৩ সাল থেকে মাসরি ইরানের ‘হেফাজতে’ ছিলেন এবং ২০১৫ সাল থেকে তেহরানের একটি শহরে বসবাস করছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ৭ অগাস্ট তেহরানের স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে মাসরি তার বাড়ির কাছেই মেয়েকে নিয়ে নিজের সাদা রংয়ের রেনল্ট এল৯০ সিডান গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী দুই ব্যক্তি তার গাড়ির পাশে এসে সাইলেন্সার লাগানো পিস্তল থেকে মাসরি ও তার মেয়েকে লক্ষ্য করে গুলি করে।

ঘটনার পর ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গুলিতে হাবিব দাউদ নামে লেবাননের এক ইতিহাসের অধ্যাপক ও তার ২৭ বছর বয়সী মেয়ে মরিয়ম নিহত হয়েছে।

লেবাননের সংবাদভিত্তিক চ্যানেল এমটিভি ও ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দাউদ হিজবুল্লাহর সদস্য ছিলেন বলে জানানো হয়।

তবে লেবাননের সব ইতিহাসের অধ্যাপকের তালিকায় প্রবেশাধিকার রয়েছে এমন এক গবেষক জানিয়েছেন, হাবিব দাউদ নামে কোনো নথি তিনি দেখেননি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //