ইয়েমেন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:০১ এএম
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:১৩ পিএম
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:০১ এএম
ইয়েমেন
ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:১৩ পিএম
ইয়েমেন ও সৌদি আরবের সীমান্ত অঞ্চলে বড় ধরনের হামলা চালিয়ে বহু সৈন্য ও গাড়ি আটকের দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি শহর নাজরানের কাছে সৌদি সেনাদের তিনটি ব্রিগেড আত্মসমর্পণ করেছে।
হুতিদের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র শনিবার এক বিবৃতিতে জানান, কয়েক হাজার সৈন্য আটক করা হয়েছে ও অনেকে নিহত হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় মাপের অভিযান। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।
৭২ ঘণ্টা আগে নাজরানের কাছে হামলাটি চালানো হয় এবং হামলায় হুতিদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো সমর্থন যুগিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
এক টুইটে হুতি মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল-সালাম বলেছেন, ‘নিষ্ঠুর আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ‘খোদার দেওয়া জয়’ ছিল সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। শত্রুদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে বিশাল একটি অঞ্চল মুক্ত করা হয়েছে।’
কর্নেল ইয়াহইয়া সারেয়া বলেছেন, হামলায় সৌদি সেনাবাহিনী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সেনা সদস্য হারিয়েছে। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের প্যারেড আজ রবিবার হুতি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে।
হুতিদের দাবি, ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি তেল শোধনাগারে তারা হামলা চালিয়েছিল, যার ফলে বৈশ্বিক তেলের বাজার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পাশাপাশি সৌদি আরবও ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।
২০১৬ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দু রাব্বু মনসুর হাদি ও তার মন্ত্রীসভা হুতিদের কারণে রাজধানী সানা থেকে পালাতে বাধ্য হন। সেসময় থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে ইয়েমেনে। হুতিরা ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা দখল করে রেখেছে। সৌদি আরব প্রেসিডেন্ট হাদিকে সমর্থন করে এবং ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দেশগুলোর সমন্বয়ে তাদের বিরুদ্ধে চলমান বিমান হামলার নেতৃত্ব দেয়।
এই গৃহযুদ্ধের ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইয়েমেন। মোট জনসংখ্যার ৮০% মানুষ বা প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এদের মধ্যে প্রায় এক কোটি মানুষ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের জন্য সম্পূর্ণভাবে ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল।
প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের জানা নেই, তাদের পরবর্তী বেলার খাবার জুটবে কিনা। পাঁচ বছরের নিচের চার লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। দেশটিতে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে, কলেরা আর ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের ধারণা অনুযায়ী, সংঘাতের কারণে ২০১৬ থেকে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ এখন পর্যন্ত মারা গেছে। -বিবিসি
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh