গত ৬ ও ৭ আগস্ট যথাক্রমে দৈনিক দেশ রূপান্তর এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ‘রবীন্দ্রনাথ কেন জরুরি’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ আগস্ট অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে ‘প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া’র দাবি জানিয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠায় দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাতের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম। আমরা বিদ্বান, প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবী ও জনগণের পক্ষের একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে তার কলম থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টাকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতামতের সঙ্গে আমাদের ভিন্নতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তিনি যা লিখেছেন, সে বিষয়ে তার সঙ্গে আমাদের মতপার্থক্য রয়েছে। মতপার্থক্য থাকলেও, তিনি বিভিন্ন সময় তার ধারালো লেখনীর মাধ্যমে জনগণের বিপক্ষের সমস্ত অগণতান্ত্রিক আইন-কানুন, সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সংবাদমাধ্যমে লিখেছেন; যা ব্যাপক জনগণের পক্ষে যায়। তাই আমরা তার লেখনীকে স্তব্ধ করে দেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদ জানাই। মৌলবাদী অবস্থান থেকে তাকে বিরোধিতা করতে দেয়ার মাধ্যমে মৌলবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। পূর্বেও এভাবে রাষ্ট্র-সরকার কর্তৃক মৌলবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে ধর্মীয় স্পর্শকাতরতা জাগিয়ে তোলার ঘৃণ্য চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এসবেরও তীব্র নিন্দা জানাই। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে পাঠানো উকিল নোটিশটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানাই এবং তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাধাহীন করার আহ্বান করছি।
সভাপতি, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা