অলসতাকে বিদায় জানানোর টোটকা

মানুষের সফলতার পথে অন্যতম বড় বাধা অলসতা। আমরা আসলে অলস নই, আমরা অনুপ্রাণিত নই বলেই আলস্য আমাদের ওপর ভর করে। জীবনে সজীবতা নেই বলে আমরা পেশাজীবনে যেমন আলস্য দেখাই, তেমনি ব্যক্তিজীবনে হয়ে উঠি বর্ণহীন। 

অলসতা এড়ানোর কাজটি পরিপূর্ণভাবে আমাদের মন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অলসতা থেকে বাঁচতে আমাদের জানা দরকার অলসতা দূর করার উপায়। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে অলসতা দূর করা যায়-

অলসতার অভ্যাস চিনুন

অলসতা কাটিয়ে ওঠার প্রথম ধাপ হলো এই খারাপ অভ্যাসকে স্বীকার করা ও চিহ্নিত করা। এজন্য কোন কোন সময় বা ক্ষেত্রে আপনার অলসতা বোধ হয় সেটি শনাক্ত করুন।

নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন

পুরোনো যা অভ্যাস আছে, যা কাটানোর জন্য নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। পুরোনোকে বাদ দেওয়ার চেয়ে নতুন অভ্যাস গড়ে তুললে নিজের আলস্য কাটানো যায়। ছোট ছোট অভ্যাসে নিজের অলসতা কাটানো শুরু করুন। আজই লিফটে না চড়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটুন কিংবা পুরো পত্রিকা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজই শুরু করুন।

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

অলস ব্যক্তিদের উচিত লক্ষ্য নির্ধারণ করা। ছোট ও বড় কাজগুলোকে ধাপে ধাপে ভাগ করুন। আগে ছোট ছোট কাজগুলো করার অভ্যাস গড়ু, দেখবেন বড় কাজগুলোর ক্ষেত্রে আর অলসতা বোধ করবেন না। 

নিজেকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুন

চোরাবালি দেখেছেন কখনো? কিছু পড়লেই চোরাবালি যেমন গিলে খায়, তেমনি নিজেকে দোষ দেওয়াও এমন একটি অভ্যাস। নিজের দোষ নিয়ে যত ভাববেন, ততই আপনি ডুবে যাবেন। নিজের ওপর দোষ দিতে থাকলে আসলে নিজের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। কাজে কী সমস্যা, কাজে কেন দেরি হচ্ছে, কাজের মান খারাপ কেন? এসব নিয়ে ভাবুন, সমাধানে মনোযোগ দিন। দোষারোপ বাদ দিন।

রুটিন তৈরি করুন

একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ রুটিন তৈরি করুন, যা আপনার অলসতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। কাজ, ব্যায়াম, শিথিলকরণ ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য নির্দিষ্ট সময় আলাদা করুন। একটি সুগঠিত সময়সূচী থাকা ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অলসতা কাটাতে সাহায্য করবে।

পোমোডোরো কৌশল

পোমোডোরো কৌশল হলো একটি সময়-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, যা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে। এজন্য কাজগুলোকে ২৫ মিনিটের ব্যবধানে বিভক্ত করুন, যাকে ‘পোমোডোরোস’ বলা হয়, তারপরে একটি ছোট বিরতি নিন। এই কৌশল কাজের প্রতি ফোকাস বজায় রাখতে সাহায্য করে।

গুরুত্ব বুঝে কাজ ভাগ করুন

ব্যক্তিজীবন ও কর্মক্ষেত্রে কোনো কাজের গুরুত্ব কেমন তা বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। কাজের প্রকৃতিকে যদি গুরুত্ব ও প্রয়োজন বুঝে কাজ ভাগ করতে পারেন, তাহলে সহজেই অলসতা কাটানো যায়। স্বাস্থ্যকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা শুরু করলে আজই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন কিন্তু। আপনার কাছে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ হলে বাড়িঘর পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা কিন্তু প্রয়োজন।

মানসিকতার বিকাশ ঘটান

ইতিবাচক মানসিকতা গড়ার চেষ্টা করুন, এক্ষেত্রে শেখার ও কাজের উন্নতিতে ফোকাস দিন। যে কোনো কাজে নিরুৎসাহিত হওয়ার পরিবর্তে, তা সমাধান করার চেষ্টা করুন।

অগ্রগতি উদযাপন

নিজের অগ্রগতির জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করুন। ছোট অর্জন উদযাপনের মাধ্যমে আপনার মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা ও কাজের প্রতি আরও আগ্রহ বাড়বে। যা আপনাকে অলসতা কাটিয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //