বর্ষাকাল কেবল সৌন্দর্য দিয়েই ভরা নয়, এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। এ সময়ে জামাকাপড় কাচা মানেই যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া। একে তো শুকাতে চায় না। তারপর জামাকাপড় থেকে সোঁদা গন্ধ বের হয়।
আবার কাপড় দীর্ঘ সময় ভেজা থাকলে ফাঙ্গাস জমে এবং তিলা পড়ার ঝুঁকিও থাকে। আছে জামা কাটার পোকার উপদ্রব। আর যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, বৃষ্টির সময়ে কাপড়ে এক ধরনের ভেজাভাব থেকেই যায়। আর সেটা যতটা না ভেজা আবহাওয়ার জন্য তার চেয়েও বেশি হয় কাপড় শুকানোর পদ্ধতিতে ভুল থাকা।
এজন্য রইল কয়েকটি টিপস-
- অনেকেই নোংরা কাপড় একসঙ্গে লন্ড্রির ঝুড়ি বা বালতিতে রেখে দেয়। অনেকগুলো জমলে পরে একসঙ্গে ধুতে দেয়। এভাবে রাখলে বর্ষাকালে কাপড়ের দুর্গন্ধ আরও বেড়ে যায়। তাই ময়লা কাপড় একসঙ্গে না রেখে বরং আলাদা আলাদা করে ঝুলিয়ে রাখা ভালো।
- জীবাণু ও ছত্রাকের হাত থেকে পোশাক বাঁচাতে বর্ষাকালে ঘামে ভেজা কাপড় কাচার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর কাপড় ধুয়ে জীবাণুনাশক তরলে চুবিয়ে তারপর শুকাতে হবে।
- ডিটারজেন্টের সঙ্গে ভিনেগার ও বেকিং সোডা দিয়ে জামাকাপড় কাচুন। ফাঙ্গাস দূর করতে ভিনেগার ও বেকিং সোডা বেশ কার্যকর। এছাড়াও দুর্গন্ধ দূর করতে এগুলো ভালো কাজ করে।
- কখন রোদ উঠবে তার জন্য অপেক্ষা না করে ঘরেই শুকানোর ব্যবস্থা করুন। জানালার কাছাকাছি স্থানে বা ফ্যানের নিচে কাপড় ঝুলিয়ে বাতাসে শুকানো যায়।
- লেবুর মধ্যে থাকা অ্যাসিড কাপড়ের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ফাঙ্গাস দূর করতে সাহায্য করে। কাপড়ে সজীব ঘ্রাণ আনতে লেবু বা গোলাপের সুগন্ধযুক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- ওয়ারড্রব বা আলমারিতে চক বা সিলিকনের পাউচ রাখলেও তা কাপড়ের গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। তাই ওয়ারড্রব-আলমারিতে শুকনো কাপড় ভাঁজ করে রাখার সময় তা দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে চক বা সিলিকনের পাউচ রেখে দিতে পারেন।
- বর্ষা মৌসুমে একদিন আলমারির দরজা খুলে ফ্যান ছেড়ে দিন খানিকটা সময়ের জন্য। এতে একটু আলো-বাতাস ঢুকবে বদ্ধ আলমারিতে। এছাড়া বর্ষার সময় যেদিন রোদ ওঠে, সেদিন আলমারি থেকে কাপড় বের করে রোদে দিন।
- আলমারিতে ন্যাপথলিন, কালিজিরা বা তেজপাতা রাখুন। পোকার প্রাদুর্ভাব কম হবে। এগুলো অনেক দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে, তবে পুরনো হয়ে গেলে বদলে দিতে হবে।