সহকর্মীদের সঙ্গে যেমন আচারণ করা উচিত

প্রতিযোগিতামূলক কর্মজীবনে সবাই নিজের স্থানে সফল হতে চায়। নিজের ক্যারিয়ারে অগ্রসর হতে চায়। ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে অবশ্যই কর্মস্থলে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। শুধু দক্ষতা এবং কাজের মানই কর্মস্থলে উন্নতির জন্য যথেষ্ট নয়। কর্মস্থলে সহকর্মীদের সঙ্গে আচার-ব্যবহারের দিকেও সতর্ক থাকতে হয়। এই সতর্কতা ব্যতীত চাকরিক্ষেত্রে নিজের নিরপেক্ষতা ধরে রাখা সম্ভব নয়৷ কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ ব্যক্তিগত জীবনকেও প্রভাবিত করে। তাই কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থান স্বাভাবিক রাখা উচিত।

কর্মস্থলে সহকর্মীদের সঙ্গে যেমন আচারণ করা উচিত:

১. কর্মস্থলে অসামাজিক হওয়া যাবে না:

প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজ মনযোগ সহকারে কাজ করতে হয় এটাই স্বাভাবিক। তবে কাজ তো আর একা একা হয় না। অন্যদের সঙ্গে নিজের সমন্বয় করে কাজ করতে হয়। একটা দল হয়ে কাজ করতে হয়৷ অফিসে সবার সঙ্গেই ভাব জমাতে হবে। অন্তত সামাজিক সৌজন্যটুকু রাখতে হবে। সবার সঙ্গেই হাসিমুখে কথা বলতে হবে৷ টুকিটাকি খোঁজ নিতে। অসামাজিক হওয়া যাবে না

২. নিজেকে সংযত রাখতে হবে:

বদরাগী বা আবেগ প্রবণ আমুদে বা ভীষণ চুপচাপ, চরিত্রে যেকোনো বৈশিষ্ট্যই থাকতে পারে। তবে অফিসে নিজের স্বকীয়তা না হারিয়েও এমন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ধরে রাখা যায়৷ অফিসে উচ্চ-সুরে কথা বলা যাবে না। এতে মনোযোগে বিঘ্ন ঘটলে অন্যরা বিরক্ত হতে পারেন। দূর থেকে অনেকে বিরক্ত হন আসল ঘটনা না বুঝে। এটা ভালো নয়। কেউ যেন আপনাকে ভুল না বোঝে। 

৩. কোনো কোরামে যুক্ত হওয়া যাবে না: 

অফিসে পক্ষপাতিত্ব বা কোরাম থাকবেই। মূলত প্রায় সব অফিসেই এমন একাধিক কোরাম থাকে। এমন কিছুতে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের কাজের বাইরে অন্য কিছু নিয়ে ভাববেন না। কলিগরা যদি আপনার কাজের আওতায় কিছু সাহায্য চায়, অবশ্যই করবেন। তবে কারো খুঁত খুঁজে নালিশের খোজ করবেন না। এটাও দীর্ঘমেয়াদে ক্যারিয়ার গ্রাফের জন্য ক্ষতি। 

৪. নালিশ করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে: 

কর্মস্থলে অনেক সময় সহকর্মীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হতেই পারে। তবে এই মনোমালিন্যকে ধরে রাখা উচিত নয়। সহকর্মীদের কোনো কথায় কষ্ট পেলে অন্যজনের কাছে বললে অথবা সোজা বসকেই জানালে সমস্যার সমাধান হবে না। যার সাথে মনো মালিন্য হবে তার সাথে খোলামেলা ঠান্ডা মাথায় কথা বললে এর সমাধান হতে পারে। 

৫. অন্যকে সহযোগিতা করলে ভালো:

সহযোগিতাই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে ভালো পথ। কারণ সহকর্মী যদি নিরাপদ অনুভব করে তবে নালিশ করার সুযোগ পাবে না। ফলে ট্র‍্যাক রেকর্ড হবে ভালো৷ তাই সহযোগী হতে হবে। দক্ষতা ও ব্যক্তিত্ব থাকলে সবই সম্ভব। 

৬. অপ্রয়োজনে কাউকে বিরক্ত করা যাবে না:

অফিসের বাইরে সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। নিজের ব্যক্তিগত জীবন আলাদা রাখার স্বার্থেই করুন এমন কিছু। অযথা তাদের সঙ্গে হুটহাট যোগাযোগে সমস্যা হতেই পারে। একটু দূরত্ব রাখতে হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //