জরায়ু ক্যান্সার মেয়েদের জটিল রোগের একটি। এ রোগকে নীরবঘাতকও বলা হয়। কারণ এ রোগে আক্রান্ত হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন লক্ষণ দেখা দেয় না। দিন দিন বৃদ্ধি পায়। আবার এ ক্যান্সারের লক্ষণগুলো বুঝতেও পারে না অনেকে। বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে জরায়ু ক্যানসার। সাধারণত এ রোগ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের পরেই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের স্থান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী এই জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার নারী এর ফলে মারা যান। আর ৯০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার বা আইএআরসি'র তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর নতুন করে ৮ হাজার ২৬৮ জন নারীর শরীরে শনাক্ত হচ্ছে জরায়ু ক্যান্সার। আর বছরে ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী জরায়ু মুখের ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন।
জরায়ু ক্যান্সারের কারণ:
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসকে (এইচপিভি) জরায়ু ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১০০টিরও বেশি প্রজাতির এইচপিভি আছে। এর মধ্যে দুই ধরনের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের কারণে এই ক্যান্সার হয়ে থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের পরপরই কিন্তু ক্যান্সার হয় না।
গবেষক ও চিকিৎসকরা বলছেন, জীবাণু প্রবেশের পর ১৫ থেকে ২০ বছরও সময় লাগে জরায়ুমুখের ক্যান্সার হতে। তার মানে হলো এটি নির্ণয়ে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
অন্য ধরনের ক্যান্সারের তুলনায় জরায়ু মুখের ক্যান্সার কিন্তু খুব সহজে নির্ণয় করা যায়। তবে জরায়ু মুখের ক্যান্সারের মুল সমস্যা হল এটি শেষ পর্যায়ে গেলেই শুধুমাত্র ব্যথা দেখা দেয়।
আর এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে অনেকেই পিরিয়ডের মেয়েলী সমস্যা বলে ভুল করে থাকেন। এর ফলে রোগটি গুরুতর পর্যায়ে যায়। তাই এ ক্যানাসারের লক্ষণগুলো জানা উচিত।
জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার লক্ষণসমূহ:
সূত্র: বিবিসি
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : জরায়ু ক্যান্সার নারী আইএআরসি' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এইচপিভি আইএআরসি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh