ত্বক ও চুলের যত্নে শসা

শসা সহজলভ্য, তবে বেশ উপকারি সবজি। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার। শসা শরীরের জন্য খুব ভালো। বেশির ভাগ রোগের ক্ষেত্রেই রোগীরা শশা খেতে পারেন, কারণ শশার খাদ্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। শরীরকে ভেতর থেকে ঠিক রাখতে শশা নিয়মিত খাওয়া দরকার। শসার ব্যবহার এখন শুধু সালাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, রূপচর্চাতেও শসার ব্যবহার লক্ষণীয়।

শশায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও শশা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো পুষ্টিতে পরিপূর্ণ থাকে। যা  মুখমণ্ডলকে পরিষ্কার রাখতে দুর্দান্ত সব উপাদান তৈরি করে। লো ক্যালরি এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ এই সবজিটি তাই স্থান করে নিয়েছে সৌন্দর্য সচেতন নারীদের ডায়েট চার্টে।

ত্বক ও চুলের যত্নে শসা:

১. অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ, লেবুর রস এবং শশা পেস্ট একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে মুখ ভালো মত ধুয়ে ফেলতে হবে। এগুলো সবই প্রাকৃতিক উপাদান। যার ফলে ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর হবে। 

২. শশাতে রয়েছে বিচিং প্রপার্টিজ, যা ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বক আরো উজ্জ্বল করে তোলে। রোদে কোথাও বের হলে ঘরে ফিরে মুখ ধুয়ে শশার রস লাগালে মুখমণ্ডলের পোড়া দাগ উধাও করে দেবে।

৩.  ত্বক যদি রুক্ষ বা শুষ্ক হয়, তবে শশা থেকে এর প্রতিকার করা যায়। একটি পাত্রে শশার পেস্ট তৈরি করে এবং ২ চামচ লেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগাতে হবে। এরপর ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। চমৎকার এই প্যাকটি ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে চেহারা উজ্জ্বল করে তোলে।

৪. শশার ৯৫% উপাদানই হচ্ছে পানি। এর ফলে শশা খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড থাকে। শশার বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম, যা ফাইন লাইস, ব্রণসহ বার্ধক্যের বিভিন্ন ছাপ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং যৌবনদ্বীপ্ত রাখে।

৫. শশাতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট এবং সিলিকা চোখের নিচের কালো দাগ কমিয়ে চোখের চারপাশের চামড়া ভালো রাখে। শশা টুকরো করে কেটে অথবা তুলায় শশার রস লাগিয়ে তুলা চোখের উপর ২০ মিনিট রাখতে হবে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল চলে যাবে।

৬. ব্রণ প্রতিরোধে শশার ভূমিকা অপরিসীম। মুখমণ্ডল থেকে ব্রণ দূর করতে ২ চা চামচ শশার রসের সাথে গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরী করে মুখে ভালো মতো লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ কমে যাবে।

৭.চুলের বৃদ্ধিতে শশার ভুমিকা অতুলনীয়। শশাতে রয়েছে সালফার সোডিয়াম, সিলিকন, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম। যা চুলের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক উপাদান। একটি শশার খোসা ছাড়িয়ে শুধু খোসার মিশ্রণ করে একটি ডিমের মধ্যে ৩ চা চামচ অলিভ অয়েল ভালোমত মিশিয়ে এর সাথে শশার খোসা পেস্ট মিশিয়ে নিতে হবে।

মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল স্বাস্থ্যজ্জল করে তোলে। এছাড়াও এটি চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। শশা এবং টমেটো ব্লেন্ডারে মিক্স করে জুস বানিয়েও খাওয়া যায়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //