প্রাচীনকাল থেকেই অকেজো কিছু ধারণা এখনও মানুষ আঁকড়ে ধরে আছেন। এগুলো হতে পারে ধর্মীয়, হতে পারে পারিবারিক কোনো প্রথা। পরিবারের প্রবীণ মানুষের কাছে এসব প্রথার মূল্য বেশি। তবে এই মুহূর্তে সব থেকে আলোচ্য বিষয়টি চন্দ্রগ্রহণ।
চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছু কুসংস্কার প্রচলিত আছে। যদিও এর কোনো সত্যতা বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
- প্রচলিত রীতি অনুসারে, চন্দ্রগ্রহণ চলাকালীন কাঁচা খাবার, ফল ও শাকসবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কারণ এ সময় নাকি চাঁদ থেকে নির্গত রশ্মি খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দিতে পারে। যার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
- এমনকি ভুল ধারণা হিসেবে, গ্রহণের সময় মাংসজাতীয় খাবার খেতেও নিষেধ করা হয়। কারণ চন্দ্রগ্রহণের সময় নাকি খাবার হজম করতে বেশি সময় লাগে! এই তথ্যেরও কোনো যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ নেই।
- চন্দ্রগ্রহণের আগে খাবার রান্না করে না রাখাই ভালো। এক্ষেত্রে নাকি চাঁদ থেকে নির্গত শক্তিশালী রশ্মি খাদ্য দূষিত বা ক্ষয় করতে পারে। এটিও ভুল ধারণা।
- আবার অনেকের মতে, চন্দ্রগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গোসল করে নেওয়া উচিত। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
- গর্ভবতীকে এই সময় বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। একই সঙ্গে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়। যদিও এ বিষয়ে বিজ্ঞানের কোনো ব্যাখ্যা নেই। এমনকি চন্দ্রগ্রহণের প্রভাবে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে বলেও কোনো প্রমাণ নেই।
- চন্দ্রগ্রহণের সময় ছুরি, কাঁচি বা সূচের মতো ধারালো জিনিস ব্যবহার করার বিষয়টিও প্রচলিত আছে। এটিরও কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
- অনেকেই চন্দ্রগ্রহণের সময় খাবারে হলুদের ব্যবহার বাধ্যতামূলক মনে করেন, যা মোটেও বিজ্ঞানসম্মত নয়।
- খালি চোখে চন্দ্রগ্রহণ দেখতে নিষেধ করা হয়। তবে বিজ্ঞান বলছে, চন্দ্রগ্রহণ খালি চোখে দেখা নিরাপদ। চন্দ্রগ্রহণ দেখতে আপনার বিশেষ কোনো সতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজন নেই। তবে সূর্যগ্রহণের সময় সতর্ক থাকতে হবে।