ভ্রমণ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৯ এএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৯ এএম
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৯ এএম
ভ্রমণ
ডেস্ক রিপোর্ট
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৯ এএম
বাংলার মাটি, প্রকৃতি, পর্যটন স্থানগুলো অপরূপ নৈসর্গে ভরা। এখানে রয়েছে মন হরণকারী প্রাকৃতিক নৈসর্গ। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের আধার। প্রকৃতির এক অনিন্দ্য রূপ, অফুরন্ত সবুজের মায়া আর উজাড় করে দেয়া প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্যের দেখা মিলে এই সমুদ্র সৈকতে। এত রূপ, নন্দন, সৌন্দর্য দেখে মনের ভেতরে অজান্তেই গেয়ে ওঠে, "হায়রে আমার মন মাতানো দেশ, হায়রে আমার সোনা ফলা মাটি। রূপ দেখে তোর কেন আমার নয়ন ভরে না, তোরে এত ভালোবাসি তবু পরান ভরে না"
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। এটি সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। স্থানীয় মানুষ এই সৈকতকে ‘মুরাদপুর বীচ’ নামেও চেনে। গুলিয়াখালি সৈকতের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এখানে রয়েছে সবুজ গালিচার বিস্তৃত ঘাস। কবিতার মতই অপরূপ গুলিয়াখালী সৈকতের সোনালি সূর্যাস্ত। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত দেখে মনে হয় প্রকৃতি যেন তার রূপ ঢেলে দিতে মোটেও কার্পণ্য করেনি।
এখানে উপভোগ করা যায় সোয়াম্প ফরেস্ট ও ম্যানগ্রোভ বনের মতো পরিবেশ। সাগরের সবুজ ঘাসের উন্মুক্ত প্রান্তর নিশ্চিতভাবেই আপনার চোখ জুড়াবে। সমুদ্র সৈকতের পাশে সবুজ ঘাসের এই মাঠে প্রাকৃতিক ভাবেই জেগে উঠেছে আঁকা বাঁকা নালা। এইসব নালায় জোয়ারের সময় পানি ভরে উঠে। চারপাশে সবুজ ঘাস আর তারই মধ্যে ছোট ছোট নালায় পানি পূর্ণ এই দৃশ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। একদিকে দিগন্তজোড়া সাগরের জলরাশি, অন্যদিকে রয়েছে কেওড়া বন। এই দুই মিলে গুলিয়াখালির পরিবেশকে করেছে অনন্য।
কিছুদিন আগেও গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত মানুষের কাছে পরিচিত ছিল না। তাই পুরো পরিবেশ ছিল নিরিবিলি। এখন অনেকেই এখানে বেড়াতে যায়। তবে গুলিয়াখালীতে গেলে অবশ্যই দল বেধে যাওয়া ভালো।
গুলিয়াখালীতে বেড়াতে গেলে এর আশেপাশের পর্যটন স্থানগুলোও ঘুরে দেখে আসতে পারেন। গুলিয়াখালীর আশেপাশের স্থান গুলোর মধ্যে আছে, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, চন্দ্রনাথ মন্দির ও পাহাড়, ঝরঝরি ঝর্না, কমলদহ ঝর্ণা, কুমিরা সন্দ্বীপ ঘাট, মহামায়া লেক, খৈয়াছড়া ঝর্ণা, নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা, সহস্রধারা ঝর্ণা ইত্যাদি।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাসে, ট্রেনে অথবা বিমানযোগে যেতে হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে যাবেন সীতাকুণ্ড। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজিতে পশ্চিমে ৩ কিলোমিটার গেলেই এই বিচ। সিএনজি রিজার্ভ নিলে ৩০০ টাকা নেবে ভাড়া। মুরাদপুর সি বিচ বললেই চিনবে।
ভ্রমণ টিপস
১. ভ্রমণ স্থানে চিপসের প্যাকেট ও অন্যান্য ময়লা ফেলে নোংরা করবেন না। নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বেপারে সচেতন হোন এবং অন্যকে সচেতন করার চেষ্টা করুন।
২. জোয়ার ভাটার সময় জেনে নিন। জোয়ারের সময় হলে বীচের কাছে না থাকাই ভালো। পানির ঢেউ যখন বাড়বে বীচ থেকে চলে আসবেন। আর জোয়ারের সময় পানি উঠে নালা গুলো পূর্ণ হয়ে যায়। তখন পারাপার হতে সমস্যা হতে পারে।
৩. যেহেতু এটা পর্যটক বান্ধব বীচ নয়, তাই সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। সাঁতার না জানলে বেশি দূর কখনো যাবেন না। ভ্রমণকে নিরাপদ করতে প্রয়োজনে ট্যুরিস্ট পুলিশের সাহায্য নিন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh