আজকাল স্কুল আর প্রধান শিক্ষকের হাতে নেই

আমাদের দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্কুল ভিজিটে গিয়ে নাকি প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসেন। উন্নত দেশে কি এটা হয়? যে যার অফিসে রাজা। তার নিজের অফিসের চেয়ারে অন্য কেউ বসতে পারে না। অতিথি যদি রাষ্ট্রের উঁচু পদেরও কেউ হয় তার জন্য হয়তো আরো ভালো চেয়ার এনে বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে কিন্তু তার চেয়ারে বসতে পারে না।

তাছাড়া প্রধান শিক্ষক হলো একটি স্কুলের প্রধান নেতা। স্কুল কেমন মানের তা অনেকাংশে নির্ভর করে প্রধান শিক্ষক কেমন মানের। কিন্তু আজকাল স্কুল আর প্রধান শিক্ষকের হাতে নাই। এটি চলে গেছে ম্যানেজমেন্ট কমিটির হাতে আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের হাতে। দুইদিন পর পর মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন পাঠায় ফেসবুকে এইটা লেখা যাবে না বা ওইটা কেন লিখলো ইত্যাদি নিয়ে। প্রজ্ঞাপন আসে কোন কোন নির্দিষ্ট ইস্যুতে শিক্ষকরা যেন কিছু না বলে বা ফেসবুকে না লেখে। বর্তমান সময়ে যদি সত্যজিৎ রায় "হীরক রাজার দেশে" লিখতেন তাহলে স্কুলের শিক্ষক "উদয়ন পন্ডিত: কে সমাজ পরিবর্তনের কান্ডারি হিসাবে চিত্রিত করতেন না। আজকাল স্কুলের শিক্ষকতো দূর কি বাত খোদ ৭৩ এর অধ্যাদেশ দ্বারা ক্ষমতায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সমাজ ঠিক করার কান্ডারি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।

আমাদের সরকারেরা শিক্ষকদের (বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষকদের) টুটি চেপে ধরেছে। এই শিক্ষকরা কীভাবে মুক্তমনা মানুষ তৈরি করবে? এই দেশে কিভাবে সৃষ্টিশীল মানুষ তৈরি হবে?

লেখকঃ শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //