নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিতর্ক

নতুন কারিকুলাম বাতিল, নম্বরভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা চালুসহ ৮ দফা দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছে শিক্ষার্থী অভিভাবক ফোরাম। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হওয়া নতুন কারিকুলামে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন-শেখানোর মাধ্যমে যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখস্থ করার পরিবর্তে নিজ দক্ষতা ও কাজের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রী আত্মস্থ করবে জ্ঞান। এতে পরীক্ষানির্ভর মূল্যায়ন ব্যবস্থাও বদলে যাবে। তবে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে  ব্যাপক পরিবর্তন ঘটায় নতুন কারিকুলাম পরীক্ষাবিহীন পড়াশোনার মতো মনে হচ্ছে অভিভাবকদের কাছে।

সাধারণত আমরা পড়াশোনা নিয়ে ছেলেমেয়েদের ভীষণ ব্যস্ত রাখার পরিবেশে অভ্যস্ত, যেখানে প্রচুর হোমওয়ার্ক, টিউটরের কাছে ও কোচিংয়ে দৌড়াদৌড়ি থাকবে। কিন্তু এই কারিকুলামে সাময়িক পরীক্ষার মতো লিখিত পরীক্ষা নেই, প্রতিদিনের শেখার মূল্যায়ন এবং সামষ্টিক মূল্যায়নের নামে রয়েছে দলগত কাজ, প্রজেক্ট বা অ্যাসাইনমেন্ট। নতুন কারিকুলামে যেভাবে পড়ালেখা হবে, সেখানে অভিভাবকরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীরা তেমন লেখাপড়া করতে হবে না। বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। বরং তাদের বুদ্ধিবৃত্তি আর চিন্তার প্রখরতায় আরও বেশি পড়াশোনা করতে হবে।

এজন্য শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্য বই, জার্নাল, সংবাদপত্র পড়তে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। শিক্ষক প্রশিক্ষিত এবং যথোপযুক্ত না হলে কারিকুলামের সঠিক সফলতা পেতে আরও দেরি হবে।

লেখক:  মৌরি সুলতানা, ধানমন্ডি, ঢাকা

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //