নীতিমালার বেড়াজালে আটকে আছে বেসরকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি

বেসরকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি নেই বললেই চলে। বর্তমান নীতিমালায় অর্ধেক শিক্ষক সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা, তেমনি কলেজপর্যায়ে আগে অনুপাত প্রথায় ডিগ্রি কলেজে ৫:২ অনুপাতে এবং ইন্টারমিডিয়েট কলেজে ৩:২ সহকারী অধ্যাপক হতে পারতো বাকি সবাই আজীবন প্রভাষক হয়ে অবসরে যেতেন।

বর্তমান নীতিমালায় ডিগ্রি কলেজে অর্ধেক প্রভাষক সহকারী অধ্যাপক হতে পারবে এবং ইন্টারমিডিয়েট কলেজে জৈষ্ঠ্য প্রভাষক হতে পারবে। তবে বেতন গ্রেড সহকারি অধ্যাপক ও জৈষ্ঠ্য প্রভাষক সমান থাকবে। সমযোগ্যতায় ডিগ্রি কলেজে সহকারি অধ্যাপক আবার ইন্টারমিডিয়েট কলেজে জৈষ্ঠ প্রভাষক পদবী পাবেন, আবার ইন্টারমিডিয়েট কলেজে আগে যারা সহকারী অধ্যাপক ছিলেন তাদের পদ ঠিক থাকবে। 

এটি হ য ব র ল নিয়ম ছাড়া আর কিছু নয় বলে আমি মনে করি। সহকারি অধ্যাপক পদ শিক্ষকদের অর্জিত অধিকার, অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষকগণ তাদের এতদূর পথ পর্যন্ত আসা; কিন্তু তাদের এই অর্জিত অধিকার কেড়ে নেয়া সত্যিই অমানবিক। দীর্ঘদিনের দাবি ছিল- সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিতে অনুপাত প্রথা বিলুপ্তি করে সরাসরি আট বছর পর সবাই সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবে; কিন্তু তা না করে তাদের অর্জিত অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা সত্যি দুঃখজনক।

তবে জৈষ্ঠ্য প্রভাষক, সহকারি অধ্যাপক যেই নামেই ডাকা হোক না কেনো দুঃখজনক হলো, নীতিমালা ঠিকই হয়েছে; কিন্তু তার কোনো বাস্তবায়ন এখনও আমরা দেখছি না। অবিলম্বে বর্তমান নীতমালা অনুযায়ী স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে দীর্ঘদিনের বঞ্চিত শিক্ষকদের অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।